ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার ঘোষিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার জবাব দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসকে তিন থেকে চার দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, হামাস যদি পরিকল্পনাটি গ্রহণ না করে তা হলে পরিণতি “খুবই দুঃখজনক” হবে।
ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক ও পরে এক সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেছেন, “আমরা কেবল হামাসের জন্য অপেক্ষা করছি” এবং যোগ করেছেন যে পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে অনেক আরব ও মুসলিম দেশ, পাশাপাশি ইসরায়েলও সমর্থন দিয়েছে।
পরিকল্পনায় অস্থিরতা প্রশমনের পাশাপাশি জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন ও যুদ্ধাবস্থার পরে গাজার শাসন কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি আন্তর্জাতিক ‘বোর্ড অব পিস’ গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। তবু ট্রাম্পের প্রধান শর্তগুলোর মধ্যে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ও অস্ত্র হস্তান্তরের দাবিও রয়েছে — যা হামাসের পক্ষ থেকে আপাতত গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া কঠিন বলে বিশ্লেষণ লক্ষ্য করা হচ্ছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবটি “দায়িত্বশীলতার সঙ্গে” বিশ্লেষণ করছে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য রিপোর্টারও বলছেন, হামাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক জবাব পেতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে সম্মতি না হলে তিনি ইসরায়েলকে “যা করার তা” করতে সম্পূর্ণ সমর্থন দেবেন।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষ, জিম্মি ও সামরিক অপারেশন—এসব ইতিহাসগত ও নিরাপত্তাজনিত কারণগুলোর জন্যই গঠিত এই পরিকল্পনার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বিদ্যমান। বিশেষত যদি হামাস কোনোভাবে অস্ত্র ছাড়ে বা জিম্মিদের একপর্যায়ে ছাড়ে, তাহলে তাদের দরকষাকষির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার খসে যাবে—যা হামাসের আপত্তির কেন্দ্রে রয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষিত সময়সীমা শেষ হলে পরবর্তী ধাপ ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কী হবে—এই প্রশ্ন এখন অঞ্চলের রাজনৈতিক প্রবাহে নজরকাড়া বিষয়।
বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫
ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার ঘোষিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার জবাব দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসকে তিন থেকে চার দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, হামাস যদি পরিকল্পনাটি গ্রহণ না করে তা হলে পরিণতি “খুবই দুঃখজনক” হবে।
ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক ও পরে এক সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেছেন, “আমরা কেবল হামাসের জন্য অপেক্ষা করছি” এবং যোগ করেছেন যে পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে অনেক আরব ও মুসলিম দেশ, পাশাপাশি ইসরায়েলও সমর্থন দিয়েছে।
পরিকল্পনায় অস্থিরতা প্রশমনের পাশাপাশি জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন ও যুদ্ধাবস্থার পরে গাজার শাসন কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি আন্তর্জাতিক ‘বোর্ড অব পিস’ গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। তবু ট্রাম্পের প্রধান শর্তগুলোর মধ্যে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ও অস্ত্র হস্তান্তরের দাবিও রয়েছে — যা হামাসের পক্ষ থেকে আপাতত গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া কঠিন বলে বিশ্লেষণ লক্ষ্য করা হচ্ছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবটি “দায়িত্বশীলতার সঙ্গে” বিশ্লেষণ করছে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য রিপোর্টারও বলছেন, হামাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক জবাব পেতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে সম্মতি না হলে তিনি ইসরায়েলকে “যা করার তা” করতে সম্পূর্ণ সমর্থন দেবেন।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষ, জিম্মি ও সামরিক অপারেশন—এসব ইতিহাসগত ও নিরাপত্তাজনিত কারণগুলোর জন্যই গঠিত এই পরিকল্পনার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বিদ্যমান। বিশেষত যদি হামাস কোনোভাবে অস্ত্র ছাড়ে বা জিম্মিদের একপর্যায়ে ছাড়ে, তাহলে তাদের দরকষাকষির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার খসে যাবে—যা হামাসের আপত্তির কেন্দ্রে রয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষিত সময়সীমা শেষ হলে পরবর্তী ধাপ ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কী হবে—এই প্রশ্ন এখন অঞ্চলের রাজনৈতিক প্রবাহে নজরকাড়া বিষয়।