যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিল।
বাজেট নিয়ে অচলাবস্থায় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের সমঝোতায় ব্যর্থতার কারণে শাটডাউনে গেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মী, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ অবৈতনিক ছুটিতে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সরকারি কার্যক্রমে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নানা সমস্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শাটডাউনে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে সরকারি কর্মীদের ওপর। যাঁরা ‘অপরিহার্য’ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন, তারাও বেতন পাবেন না। ফলে অনেককে জীবিকার জন্য বিকল্প চাকরির সন্ধান করতে হতে পারে। প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, পররাষ্ট্র ও নাসা—এই পাঁচটি বিভাগে সর্বাধিক কর্মী বরখাস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে সিডিসি ও এনআইএইচের মতো সংস্থার চলমান গবেষণা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ভ্রমণেও ভোগান্তি বাড়বে। শাটডাউনের কারণে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চেকিংয়ের লাইনে সময় লাগবে বেশি। টিএসএ ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কর্মীরা কাজে গেলেও বেতন পাবেন না, ফলে অনুপস্থিতি বাড়তে পারে, যা ফ্লাইটে দেরি তৈরি করবে। বিদেশ ভ্রমণেও সমস্যা হতে পারে, কারণ পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নেবে।
জাতীয় উদ্যান, পার্ক ও ফেডারেল জমিগুলো বন্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গতবার শাটডাউনের সময় পার্ক বন্ধ থাকায় ভাঙচুর, চুরি ও পরিবেশ ক্ষতির ঘটনা ঘটেছিল। এ কারণে এবার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার দাবি তুলেছেন সংরক্ষণকর্মীরা। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের জাদুঘরগুলো আপাতত খোলা থাকবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত, তবে তাদের পরিচালিত চিড়িয়াখানার জনপ্রিয় ওয়েবক্যাম সেবা বন্ধ হয়ে যাবে।
বয়স্ক ও দরিদ্রদের জন্য মেডিকেয়ার ও মেডিকেইড কার্যক্রম চালু থাকলেও পরিষেবায় দেরি হবে। নারী ও শিশুদের জন্য খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউআইসি) তহবিল সংকটে পড়তে পারে। দীর্ঘমেয়াদী শাটডাউন হলে ফেমার দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলও শেষ হয়ে যেতে পারে।
তবে ডাক বিভাগে কোনো প্রভাব পড়বে না। ডাকঘর খোলা থাকবে এবং চিঠিপত্র যথারীতি বিলি হবে, কারণ তারা সরকারের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং নিজেদের আয়ে পরিচালিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিল।
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫
বাজেট নিয়ে অচলাবস্থায় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের সমঝোতায় ব্যর্থতার কারণে শাটডাউনে গেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মী, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ অবৈতনিক ছুটিতে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সরকারি কার্যক্রমে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নানা সমস্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শাটডাউনে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে সরকারি কর্মীদের ওপর। যাঁরা ‘অপরিহার্য’ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন, তারাও বেতন পাবেন না। ফলে অনেককে জীবিকার জন্য বিকল্প চাকরির সন্ধান করতে হতে পারে। প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, পররাষ্ট্র ও নাসা—এই পাঁচটি বিভাগে সর্বাধিক কর্মী বরখাস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে সিডিসি ও এনআইএইচের মতো সংস্থার চলমান গবেষণা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ভ্রমণেও ভোগান্তি বাড়বে। শাটডাউনের কারণে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চেকিংয়ের লাইনে সময় লাগবে বেশি। টিএসএ ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কর্মীরা কাজে গেলেও বেতন পাবেন না, ফলে অনুপস্থিতি বাড়তে পারে, যা ফ্লাইটে দেরি তৈরি করবে। বিদেশ ভ্রমণেও সমস্যা হতে পারে, কারণ পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নেবে।
জাতীয় উদ্যান, পার্ক ও ফেডারেল জমিগুলো বন্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গতবার শাটডাউনের সময় পার্ক বন্ধ থাকায় ভাঙচুর, চুরি ও পরিবেশ ক্ষতির ঘটনা ঘটেছিল। এ কারণে এবার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার দাবি তুলেছেন সংরক্ষণকর্মীরা। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের জাদুঘরগুলো আপাতত খোলা থাকবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত, তবে তাদের পরিচালিত চিড়িয়াখানার জনপ্রিয় ওয়েবক্যাম সেবা বন্ধ হয়ে যাবে।
বয়স্ক ও দরিদ্রদের জন্য মেডিকেয়ার ও মেডিকেইড কার্যক্রম চালু থাকলেও পরিষেবায় দেরি হবে। নারী ও শিশুদের জন্য খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউআইসি) তহবিল সংকটে পড়তে পারে। দীর্ঘমেয়াদী শাটডাউন হলে ফেমার দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলও শেষ হয়ে যেতে পারে।
তবে ডাক বিভাগে কোনো প্রভাব পড়বে না। ডাকঘর খোলা থাকবে এবং চিঠিপত্র যথারীতি বিলি হবে, কারণ তারা সরকারের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং নিজেদের আয়ে পরিচালিত হয়।