গাজায় এভাবেই প্রতিদিন আবাসিক এলাকায় ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার বোমাবর্ষণের পর ধোঁয়ার কুণ্ডলি
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা নিয়ে মিশরে চলমান আলোচনায় বন্দী বিনিময়ে অগ্রগতি হয়েছে। বন্দী অদলবদল চুক্তির অংশের জন্য ইসরায়েলি জিম্মি ও প্যালেস্টাইনের বন্দীদের নামের একটি তালিকা বিনিময় করেছে দুইপক্ষ।
তবে শান্তি আলোচনা কিছুটা বাধার মুখে পড়েছে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করার জন্য চাপ দেয়ার কারণে। হামাস এখনওা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আলোচনা করতে অনীহা প্রকাশ করছে। এর ফলে আলোচনায় অগ্রগতি থমকে আছে।
হামাস জানিয়েছে, আলোচনায় যুদ্ধ থামানোর প্রক্রিয়া, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং বন্দী বিনিময় চুক্তির বিষয়টিতে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, মিশরের অবকাশযাপন শহর শারম আল-শেখে চলা আলোচনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবের প্রথম পর্ব বাস্তবায়নের সময়কাল নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও গাজা যুদ্ধের সূচনার বর্ষপূর্তির দিন গতকাল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি চুক্তির জন্য হওয়া অগ্রগতির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
শারম আল-শেখে চলমান পরোক্ষ শান্তি আলোচনার তৃতীয় দিনে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। এ দলে বিশেষ মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারও আছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কুশনার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূতের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রধান আস্থাভাজন ইসরায়েলের কৌশলগতবিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার বুধবার বিকেলে আলোচনা যোগ দেবেন। দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখা কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রাহমান আল-থানিরও এ আলোচনায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
এ আলোচনায় আরেকজন অংশগ্রহণকারী হতে পারেন তুরস্কের গোয়েন্দাপ্রধান ইব্রাহিম কালিন। তার অংশগ্রহণ এক্ষেত্রে তুরস্কের বাড়তে থাকা ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করছে। ন্যাটোর প্রভাবশালী সদস্য তুরস্কের সঙ্গে হামাসের নিবিড় যোগাযোগ থাকলেও এতদিন দেশটিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিবেচনা করেনি ইসরায়েল।
তুরস্কের নিরাপত্তা সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, কালিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও হামাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ট্রাম্প তার পরিকল্পনায় সমর্থন জানাতে হামাসকে রাজি করাতে তুরস্কের সাহায্য চেয়েছেন আর তাই তুরস্ক হামাসের সঙ্গে একটি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য সর্বোত্তম পন্থার বিষয়ে আলোচনা করছে।
এরদোয়ান বলেছেন, যুদ্ধের পরবর্তীতে গাজা অবশ্যই একটি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের অংশ থাকবে এবং এটি শাসনও প্যালেস্টাইনিরাই করবে।
এদিকে সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে, মিসরে প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে। হামাসের কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে এবং সেনা প্রত্যাহার করে নেবে- এমন নিশ্চয়তা চান তারা।
মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে গতকাল মঙ্গলবার ওই আলোচনা হয়। এদিন ছিল গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার দ্বিতীয় বছর পূর্তি। হোয়াইট হাউজে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, গাজা নিয়ে চুক্তি হওয়ার ‘বাস্তব সম্ভাবনা’ আছে।
মিসরে বুধবার ও আলোচনা হয়েছে। ওই আলোচনায় যোগ দিতে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও মিসরে গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার হামাসসহ প্যালেস্টাইনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমন্বিত জোটের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে সব উপায়ে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। জোরালোভাবে বলা হয়েছে, ‘প্যালেস্টাইনের জনগণের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার অধিকার কারও নেই।’ কথাটি মূলত ট্রাম্পের পরিকল্পনায় হামাসের অস্ত্র সমর্পণের যে দাবির কথা বলা হয়েছে, সেটিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফাওজি বারহুম বলেছেন, তাদের আলোচকেরা যুদ্ধের অবসান চাইছেন। তারা চাইছেন, গাজা থেকে দখলদার সেনারা পুরোপুরি সরে যাক। কিন্তু ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্পষ্ট। ধাপে ধাপে সেনাদের কবে প্রত্যাহার করা হবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি দেয়া হয়নি। সেনাদের ধাপে ধাপে তখনই প্রত্যাহার করা হবে, যখন হামাস তাদের কাছে জিম্মি থাকা ৪৮ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জিম্মিদের মধ্যে ২০ জন এখনও বেঁচে আছেন।
হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দিন-তারিখ নির্ধারণ এবং ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শেষ ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনাদের চূড়ান্ত প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য হামাসের পক্ষ থেকে জোর দেয়া হয়েছে।
মিসরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, সংগঠনটি দখলদার বাহিনীকে এক সেকেন্ডের জন্যও বিশ্বাস করে না। আল-হায়া আরও বলেন, যুদ্ধ শেষ হবে এবং তা যে নতুন করে আর শুরু হবে না, তার নিশ্চয়তা চায় হামাস।
মিসরে আলোচনা চলার মধ্যেও গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। প্যালেস্টাইনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার তথ্যানুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান জানানোর পরও ইসরায়েল থামেনি। শুধু সেদিন থেকে বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১০৪ জন নিহত হয়েছেন।
গাজায় এভাবেই প্রতিদিন আবাসিক এলাকায় ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার বোমাবর্ষণের পর ধোঁয়ার কুণ্ডলি
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা নিয়ে মিশরে চলমান আলোচনায় বন্দী বিনিময়ে অগ্রগতি হয়েছে। বন্দী অদলবদল চুক্তির অংশের জন্য ইসরায়েলি জিম্মি ও প্যালেস্টাইনের বন্দীদের নামের একটি তালিকা বিনিময় করেছে দুইপক্ষ।
তবে শান্তি আলোচনা কিছুটা বাধার মুখে পড়েছে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করার জন্য চাপ দেয়ার কারণে। হামাস এখনওা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আলোচনা করতে অনীহা প্রকাশ করছে। এর ফলে আলোচনায় অগ্রগতি থমকে আছে।
হামাস জানিয়েছে, আলোচনায় যুদ্ধ থামানোর প্রক্রিয়া, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং বন্দী বিনিময় চুক্তির বিষয়টিতে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, মিশরের অবকাশযাপন শহর শারম আল-শেখে চলা আলোচনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবের প্রথম পর্ব বাস্তবায়নের সময়কাল নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও গাজা যুদ্ধের সূচনার বর্ষপূর্তির দিন গতকাল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি চুক্তির জন্য হওয়া অগ্রগতির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
শারম আল-শেখে চলমান পরোক্ষ শান্তি আলোচনার তৃতীয় দিনে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। এ দলে বিশেষ মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারও আছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কুশনার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূতের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রধান আস্থাভাজন ইসরায়েলের কৌশলগতবিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার বুধবার বিকেলে আলোচনা যোগ দেবেন। দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখা কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রাহমান আল-থানিরও এ আলোচনায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
এ আলোচনায় আরেকজন অংশগ্রহণকারী হতে পারেন তুরস্কের গোয়েন্দাপ্রধান ইব্রাহিম কালিন। তার অংশগ্রহণ এক্ষেত্রে তুরস্কের বাড়তে থাকা ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করছে। ন্যাটোর প্রভাবশালী সদস্য তুরস্কের সঙ্গে হামাসের নিবিড় যোগাযোগ থাকলেও এতদিন দেশটিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিবেচনা করেনি ইসরায়েল।
তুরস্কের নিরাপত্তা সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, কালিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও হামাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ট্রাম্প তার পরিকল্পনায় সমর্থন জানাতে হামাসকে রাজি করাতে তুরস্কের সাহায্য চেয়েছেন আর তাই তুরস্ক হামাসের সঙ্গে একটি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য সর্বোত্তম পন্থার বিষয়ে আলোচনা করছে।
এরদোয়ান বলেছেন, যুদ্ধের পরবর্তীতে গাজা অবশ্যই একটি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের অংশ থাকবে এবং এটি শাসনও প্যালেস্টাইনিরাই করবে।
এদিকে সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে, মিসরে প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে। হামাসের কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে এবং সেনা প্রত্যাহার করে নেবে- এমন নিশ্চয়তা চান তারা।
মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে গতকাল মঙ্গলবার ওই আলোচনা হয়। এদিন ছিল গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার দ্বিতীয় বছর পূর্তি। হোয়াইট হাউজে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, গাজা নিয়ে চুক্তি হওয়ার ‘বাস্তব সম্ভাবনা’ আছে।
মিসরে বুধবার ও আলোচনা হয়েছে। ওই আলোচনায় যোগ দিতে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও মিসরে গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার হামাসসহ প্যালেস্টাইনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমন্বিত জোটের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে সব উপায়ে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। জোরালোভাবে বলা হয়েছে, ‘প্যালেস্টাইনের জনগণের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার অধিকার কারও নেই।’ কথাটি মূলত ট্রাম্পের পরিকল্পনায় হামাসের অস্ত্র সমর্পণের যে দাবির কথা বলা হয়েছে, সেটিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফাওজি বারহুম বলেছেন, তাদের আলোচকেরা যুদ্ধের অবসান চাইছেন। তারা চাইছেন, গাজা থেকে দখলদার সেনারা পুরোপুরি সরে যাক। কিন্তু ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্পষ্ট। ধাপে ধাপে সেনাদের কবে প্রত্যাহার করা হবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি দেয়া হয়নি। সেনাদের ধাপে ধাপে তখনই প্রত্যাহার করা হবে, যখন হামাস তাদের কাছে জিম্মি থাকা ৪৮ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জিম্মিদের মধ্যে ২০ জন এখনও বেঁচে আছেন।
হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দিন-তারিখ নির্ধারণ এবং ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শেষ ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনাদের চূড়ান্ত প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য হামাসের পক্ষ থেকে জোর দেয়া হয়েছে।
মিসরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, সংগঠনটি দখলদার বাহিনীকে এক সেকেন্ডের জন্যও বিশ্বাস করে না। আল-হায়া আরও বলেন, যুদ্ধ শেষ হবে এবং তা যে নতুন করে আর শুরু হবে না, তার নিশ্চয়তা চায় হামাস।
মিসরে আলোচনা চলার মধ্যেও গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। প্যালেস্টাইনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার তথ্যানুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান জানানোর পরও ইসরায়েল থামেনি। শুধু সেদিন থেকে বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১০৪ জন নিহত হয়েছেন।