এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হাঙ্গেরির ঔপন্যাসিক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই।
বৃহস্পতিবার, (০৯ অক্টোবর ২০২৫) সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১২২তম লেখক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
তার বিষয়ে এই অ্যাকাডেমি বলেছে, ‘তার মনোমুগ্ধকর এবং দূরদর্শী লেখা যা প্রলয়াতঙ্কের মাঝেও শিল্পের শক্তিকেই প্রতিবিম্বিত করে।’
পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে এক কোটি দশ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাবেন ক্রাসনাহোরকাই।
১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া ক্রাসনাহোরকাই দ্বিতীয় হাঙ্গেরিয়ান লেখক, যিনি এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেলেন। এর আগে প্রয়াত ইমরে কের্তেস ২০০২ সালে এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
লাসলো ক্রাসনাহোরকাই দুই ডজনের বেশি বই লিখেছেন। তার প্রথম উপন্যাস সাতানতাঙ্গো ২০১৫ সালের ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ এবং ২০১৩ সালের বেস্ট ট্রান্সলেটেড বুক অ্যাওয়ার্ডসহ (ফিকশন) বহু সাহিত্য পুরস্কার জিতেছে। এ উপন্যাসে তিনি বিশ্বের শেষ সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে একটি পোস্টমডার্ন চিত্রকল্প একেছেন। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত এই প্রথম উপন্যাসই তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দেয়।
এ উপন্যাসকে ভিত্তি করে ১৯৯৪ সালে একটি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়। হাঙ্গেরিয়ান নির্মাতা বেলা তারের বানানো সেই কালো-সাদা সিনেমা আলোচিত হয় এর সাত ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের জন্য। ক্রাসনাহোরকাইর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য মেলানকোলি অব রেসিস্ট্যান্স’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর ১৯৯৯ সালে ‘ওয়ার অ্যান্ড ওয়ার’ এবং ২০০৮ সালে ‘সেইবো দেয়ার বিলো’ প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে প্রকাশিত তার হারশট ০৭৭৬৯ বইটিকে সমকালীন জার্মান সাহিত্যের একটি অনন্য উপন্যাস হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
কোভিড মহামারীর আগে দেশটির সামাজিক অস্থিরতার চিত্র সেখানে ফুটিয়ে তুলেছেন ক্রাসনাহোরকাইর। উপন্যাসের গল্প এগিয়েছে জার্মানির ছোট্ট শহর থুরিঙ্গেনের সামাজিক অরাজকতা, হত্যা আর জ্বালাওপোড়াওয়ের ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে। নোবেল সাহিত্য কমিটি ক্রাসনাহোরকাইরকে বর্ণনা করেছে সেন্ট্রাল ইউরোপীয় ঐতিহ্যের ‘মহান একজন মহাকাব্যিক লেখক’ হিসেবে। তাকে তুলনা করেছে কাফকা আর টমাস বের্নহার্ডের মত লেখকদের সঙ্গে।
ক্রাসনাহোরকাইরের সর্বশেষ ব্যঙ্গাত্মক উপন্যাস জস্মলে ওদাভান পাঠককে আবার হাঙ্গেরিতে ফিরিয়ে নেয়। এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ৯১ বছর বয়সী আঙ্কল জোজসি কাদা সিংহাসনের গোপন দাবিদার, কিন্তু তিনি বিশ্ব থেকে সর্ম্পর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে থাকতে মরিয়া চেষ্টা চালি যান।
গত বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কপার পেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক, কবি হান কাং।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নোবেল পুরস্কার।
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হাঙ্গেরির ঔপন্যাসিক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই।
বৃহস্পতিবার, (০৯ অক্টোবর ২০২৫) সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১২২তম লেখক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
তার বিষয়ে এই অ্যাকাডেমি বলেছে, ‘তার মনোমুগ্ধকর এবং দূরদর্শী লেখা যা প্রলয়াতঙ্কের মাঝেও শিল্পের শক্তিকেই প্রতিবিম্বিত করে।’
পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে এক কোটি দশ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাবেন ক্রাসনাহোরকাই।
১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া ক্রাসনাহোরকাই দ্বিতীয় হাঙ্গেরিয়ান লেখক, যিনি এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেলেন। এর আগে প্রয়াত ইমরে কের্তেস ২০০২ সালে এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
লাসলো ক্রাসনাহোরকাই দুই ডজনের বেশি বই লিখেছেন। তার প্রথম উপন্যাস সাতানতাঙ্গো ২০১৫ সালের ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ এবং ২০১৩ সালের বেস্ট ট্রান্সলেটেড বুক অ্যাওয়ার্ডসহ (ফিকশন) বহু সাহিত্য পুরস্কার জিতেছে। এ উপন্যাসে তিনি বিশ্বের শেষ সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে একটি পোস্টমডার্ন চিত্রকল্প একেছেন। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত এই প্রথম উপন্যাসই তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দেয়।
এ উপন্যাসকে ভিত্তি করে ১৯৯৪ সালে একটি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়। হাঙ্গেরিয়ান নির্মাতা বেলা তারের বানানো সেই কালো-সাদা সিনেমা আলোচিত হয় এর সাত ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের জন্য। ক্রাসনাহোরকাইর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য মেলানকোলি অব রেসিস্ট্যান্স’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর ১৯৯৯ সালে ‘ওয়ার অ্যান্ড ওয়ার’ এবং ২০০৮ সালে ‘সেইবো দেয়ার বিলো’ প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে প্রকাশিত তার হারশট ০৭৭৬৯ বইটিকে সমকালীন জার্মান সাহিত্যের একটি অনন্য উপন্যাস হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
কোভিড মহামারীর আগে দেশটির সামাজিক অস্থিরতার চিত্র সেখানে ফুটিয়ে তুলেছেন ক্রাসনাহোরকাইর। উপন্যাসের গল্প এগিয়েছে জার্মানির ছোট্ট শহর থুরিঙ্গেনের সামাজিক অরাজকতা, হত্যা আর জ্বালাওপোড়াওয়ের ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে। নোবেল সাহিত্য কমিটি ক্রাসনাহোরকাইরকে বর্ণনা করেছে সেন্ট্রাল ইউরোপীয় ঐতিহ্যের ‘মহান একজন মহাকাব্যিক লেখক’ হিসেবে। তাকে তুলনা করেছে কাফকা আর টমাস বের্নহার্ডের মত লেখকদের সঙ্গে।
ক্রাসনাহোরকাইরের সর্বশেষ ব্যঙ্গাত্মক উপন্যাস জস্মলে ওদাভান পাঠককে আবার হাঙ্গেরিতে ফিরিয়ে নেয়। এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ৯১ বছর বয়সী আঙ্কল জোজসি কাদা সিংহাসনের গোপন দাবিদার, কিন্তু তিনি বিশ্ব থেকে সর্ম্পর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে থাকতে মরিয়া চেষ্টা চালি যান।
গত বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কপার পেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক, কবি হান কাং।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নোবেল পুরস্কার।