আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছবি: রয়টার্স
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছয় দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছেছেন। ২০২১ সালে তালেবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর দেশটির কোনো শীর্ষ নেতার এটাই প্রথম ভারত সফর।
তালেবান সরকার আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে চায়। এই সফর সেই প্রচেষ্টারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে আলোচনা করবেন মুত্তাকি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “আমরা তাঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করতে আগ্রহী।”
সফরের অংশ হিসেবে মুত্তাকি ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি তিনি আগ্রার তাজমহল ও একটি ঐতিহাসিক মাদ্রাসা পরিদর্শনেরও পরিকল্পনা করেছেন।
ভারত সফরের আগে মুত্তাকি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা কাবুলের অদূরে বাগরাম ঘাঁটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অভিপ্রায়ের বিরোধিতা করেছেন।
তালেবান প্রশাসনকে এখন পর্যন্ত রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দের তালিকায় রয়েছেন আমির খান মুত্তাকিও। তবে বিশেষ বিবেচনায় তাঁকে ভারত সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর ভারত সরকার তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পর নয়াদিল্লি কাবুলে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়।
এক বছর পর সীমিত আকারে মানবিক, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ভারত আফগানিস্তানে একটি মিশন খোলে। এরপর থেকে ভারতীয় কর্মকর্তারা তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছবি: রয়টার্স
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছয় দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছেছেন। ২০২১ সালে তালেবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর দেশটির কোনো শীর্ষ নেতার এটাই প্রথম ভারত সফর।
তালেবান সরকার আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে চায়। এই সফর সেই প্রচেষ্টারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে আলোচনা করবেন মুত্তাকি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “আমরা তাঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করতে আগ্রহী।”
সফরের অংশ হিসেবে মুত্তাকি ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি তিনি আগ্রার তাজমহল ও একটি ঐতিহাসিক মাদ্রাসা পরিদর্শনেরও পরিকল্পনা করেছেন।
ভারত সফরের আগে মুত্তাকি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা কাবুলের অদূরে বাগরাম ঘাঁটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অভিপ্রায়ের বিরোধিতা করেছেন।
তালেবান প্রশাসনকে এখন পর্যন্ত রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দের তালিকায় রয়েছেন আমির খান মুত্তাকিও। তবে বিশেষ বিবেচনায় তাঁকে ভারত সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর ভারত সরকার তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পর নয়াদিল্লি কাবুলে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়।
এক বছর পর সীমিত আকারে মানবিক, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ভারত আফগানিস্তানে একটি মিশন খোলে। এরপর থেকে ভারতীয় কর্মকর্তারা তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন।