alt

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস ও ইসরায়েল, এরপর কী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: এএফপি

গাজায় প্রায় এক বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেইখে অনুষ্ঠিত আলোচনার তৃতীয় দিনে দুই পক্ষই বন্দিবিনিময় ও নির্দিষ্ট এলাকায় সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে।

এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্ক। আলোচনার ভিত্তি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা ‘শান্তি পরিকল্পনা’।

বুধবার রাতে ট্রাম্প নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম *ট্রুথ সোশ্যালে* লিখে জানান, “আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাস—দুই পক্ষই সই করেছে। এর অর্থ হলো, খুব শিগগির সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েল সমঝোতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট একটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। এটি শক্তিশালী ও টেকসই শান্তির পথে প্রথম ধাপ।”

ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শশা বেডরোসিয়ান জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। একই সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জিম্মি বিনিময় প্রক্রিয়াও শুরু হতে পারে।

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী, তিন ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। এতে গাজার প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরায়েলের হাতে—যেখানে বর্তমানে তারা নিয়ন্ত্রণ করছে ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা।

হামাস বলেছে, এই চুক্তি গাজায় সংঘাতের অবসান ঘটাবে, ত্রাণ প্রবেশের পথ খুলে দেবে এবং বন্দিবিনিময়ের প্রক্রিয়া সহজ করবে। সংগঠনের আলোচক দলের প্রধান খলিল আল-হায়া বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চিত করেছে যে যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।”

যুদ্ধবিরতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই গাজা সিটিসহ উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে মানুষ। রাস্তায় নামেন নারী-পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। খান ইউনিস এলাকার বাসিন্দা আবুল মাজেদ আবদ রাব্বো বলেন, “রক্তপাত বন্ধে এই যুদ্ধবিরতির জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।” তবে অনেকেই এখনো আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল আগের মতো যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে নতুন করে হামলা শুরু করতে পারে।

চুক্তিতে কী আছে

শারম আল-শেইখে আলোচিত ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর, জিম্মি বিনিময়, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, হামাসকে অস্ত্রমুক্ত করা এবং সংঘাত-পরবর্তী গাজা পরিচালনায় একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব রয়েছে।

চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ না হলেও, হোয়াইট হাউস বলছে, প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরই মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং জিম্মি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইসরায়েলে আটক ১ হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকেও মুক্তি দেওয়ার কথা আছে—যাঁদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতসহ অনেক দেশ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক্সে লিখেছেন, “যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে জাতিসংঘ গাজায় ত্রাণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করবে। সব পক্ষকেই চুক্তির শর্ত মেনে চলতে হবে।”

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ চুক্তির বাস্তবায়ন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এটিকে রাজনৈতিক সমাধানের পথে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

শান্তির পথে না সাময়িক বিরতি?

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি স্থায়ী শান্তির নিশ্চয়তা নয়, বরং এটি একটি প্রাথমিক সমঝোতা মাত্র। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে রাজনৈতিক সমাধান না হলে যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অধিকার সংগঠন *ডন*-এর কর্মকর্তা মাইকেল শেফার ওমের-মান বলেন, “ইসরায়েল যেন যুদ্ধবিরতির পর গাজায় নতুন করে হামলা বা অবরোধ আরোপ না করে—এটা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর শুরু হওয়া এই যুদ্ধ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, এ সময় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ।

ছবি

শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো

ছবি

গাজায় ২০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন কর‌বে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ফিলিপিন্সে ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি ইন্দোনেশিয়াতেও

ছবি

তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা

ছবি

সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরির ঔপন্যাসিক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই

ছবি

ইসরায়েল-হামাস চুক্তি, গাজায় ও তেল আবিবে আনন্দোল্লাস

ছবি

নেতানিয়াহুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

ছবি

অস্থির ফ্রান্সে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন ম্যাখোঁ

ছবি

গাজায় রক্তপাত বন্ধের জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনাই ‘সেরা’ : রাশিয়া

ছবি

তহবিল সংকট, শান্তিরক্ষী কমাচ্ছে জাতিসংঘ

ছবি

আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর, কড়া নজর

ছবি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হামাস ও ইসরায়েল

ছবি

ফেইসবুক-ইনস্টাগ্রামে কনটেন্ট ফিল্টার, ব্যবহারকারীদের ক্ষোভ

ছবি

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘বিশ্বের জন্য এক মহান দিন’ : ট্রাম্প

ছবি

‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক’র উন্নয়ন ঘটিয়ে রসায়নে নোবেল পাচ্ছেন তিন বিজ্ঞানী

ছবি

অস্ত্রে থমকে আছে গাজার ‘শান্তি’ আলোচনা

ছবি

ট্রাম্পের পরিকল্পনা ভেস্তে গেলে গাজায় হামলা বন্ধে কী করতে পারে বিশ্ব?

ছবি

অস্বাভাবিক আচরণ করছে পাখিরা: বিজ্ঞানীদের সতর্কতা

ছবি

পঞ্চম দফায়ও বিল পাসে ব্যর্থ সিনেট, যুক্তরাষ্ট্রে চলছে শাটডাউন

ছবি

মায়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বোমা হামলা, নিহত ৪০

ছবি

পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষে ভারত-রাশিয়ার সামরিক মহড়া

ছবি

টানা দ্বিতীয় দিন রাশিয়ায়-ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

ছবি

ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে ফ্রিডম ফ্লোটিলার জাহাজ, আছেন বাংলাদেশের শহিদুল আলম

ছবি

পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী

ছবি

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে হামাস-ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু

ছবি

শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ না নেওয়ার আহ্বান ব্রিটিশ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা কড়াকড়ি, ভোগান্তির শিকার ভারতীয় শিক্ষার্থীরা

ছবি

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই ইরানের’

ছবি

সেনা মোতায়েন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের

ছবি

ইসরায়েল ও হামাসের বৈঠকের প্রথম দিনে কী আলোচনায় হলো

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলার ২ বছর, বর্বতার শেষ কোথায়?

ছবি

কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

ছবি

মিসরে ইসরায়েল-হামাস আলোচনার প্রথম দিন ‘ইতিবাচক’, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে আশার আলো

ছবি

ভারতে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ

ছবি

বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারে যারাই আসুক, ‘তাদের সঙ্গেই কাজ করবে’ ভারত

ছবি

থাইল্যান্ডে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ে ভয়াবহ বন্যা: ১৬ প্রদেশ প্লাবিত, নিহত ১২

tab

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস ও ইসরায়েল, এরপর কী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ছবি: এএফপি

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় প্রায় এক বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেইখে অনুষ্ঠিত আলোচনার তৃতীয় দিনে দুই পক্ষই বন্দিবিনিময় ও নির্দিষ্ট এলাকায় সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে।

এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্ক। আলোচনার ভিত্তি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা ‘শান্তি পরিকল্পনা’।

বুধবার রাতে ট্রাম্প নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম *ট্রুথ সোশ্যালে* লিখে জানান, “আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাস—দুই পক্ষই সই করেছে। এর অর্থ হলো, খুব শিগগির সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েল সমঝোতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট একটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। এটি শক্তিশালী ও টেকসই শান্তির পথে প্রথম ধাপ।”

ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শশা বেডরোসিয়ান জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। একই সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জিম্মি বিনিময় প্রক্রিয়াও শুরু হতে পারে।

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী, তিন ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। এতে গাজার প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরায়েলের হাতে—যেখানে বর্তমানে তারা নিয়ন্ত্রণ করছে ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা।

হামাস বলেছে, এই চুক্তি গাজায় সংঘাতের অবসান ঘটাবে, ত্রাণ প্রবেশের পথ খুলে দেবে এবং বন্দিবিনিময়ের প্রক্রিয়া সহজ করবে। সংগঠনের আলোচক দলের প্রধান খলিল আল-হায়া বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চিত করেছে যে যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।”

যুদ্ধবিরতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই গাজা সিটিসহ উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে মানুষ। রাস্তায় নামেন নারী-পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। খান ইউনিস এলাকার বাসিন্দা আবুল মাজেদ আবদ রাব্বো বলেন, “রক্তপাত বন্ধে এই যুদ্ধবিরতির জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।” তবে অনেকেই এখনো আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল আগের মতো যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে নতুন করে হামলা শুরু করতে পারে।

চুক্তিতে কী আছে

শারম আল-শেইখে আলোচিত ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর, জিম্মি বিনিময়, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, হামাসকে অস্ত্রমুক্ত করা এবং সংঘাত-পরবর্তী গাজা পরিচালনায় একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব রয়েছে।

চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ না হলেও, হোয়াইট হাউস বলছে, প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরই মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং জিম্মি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইসরায়েলে আটক ১ হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকেও মুক্তি দেওয়ার কথা আছে—যাঁদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতসহ অনেক দেশ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক্সে লিখেছেন, “যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে জাতিসংঘ গাজায় ত্রাণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করবে। সব পক্ষকেই চুক্তির শর্ত মেনে চলতে হবে।”

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ চুক্তির বাস্তবায়ন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এটিকে রাজনৈতিক সমাধানের পথে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

শান্তির পথে না সাময়িক বিরতি?

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি স্থায়ী শান্তির নিশ্চয়তা নয়, বরং এটি একটি প্রাথমিক সমঝোতা মাত্র। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে রাজনৈতিক সমাধান না হলে যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অধিকার সংগঠন *ডন*-এর কর্মকর্তা মাইকেল শেফার ওমের-মান বলেন, “ইসরায়েল যেন যুদ্ধবিরতির পর গাজায় নতুন করে হামলা বা অবরোধ আরোপ না করে—এটা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর শুরু হওয়া এই যুদ্ধ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, এ সময় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ।

back to top