ভারতের সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করে বলেছেন, এই সম্ভাবনাকে ‘একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না’ এবং ‘এর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে’।
সামা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারত সীমান্তে ‘নোংরা খেলা’ খেলতে পারে এবং দাবি করেন যে, আফগানিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেও পাকিস্তান ‘দ্বিমুখী যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত। ‘যদি দ্বিমুখী যুদ্ধ শুরু হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়েছে কি, কীভাবে তা মোকাবিলা করবেন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে খাজা আসিফ বলেন, ‘হ্যাঁ, কৌশল নির্ধারণ করা আছে। আমি তা প্রকাশ্যে বলতে পারব না, তবে আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’
আফগানিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এর আগেও এক বক্তব্যে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ করার অভিযোগ করেছিলেন। জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই যে, যুদ্ধবিরতি টিকে থাকবে কি না। কারণ তালেবানদের সিদ্ধান্তগুলো দিল্লির পৃষ্ঠপোষকতায় নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে কাবুল দিল্লির জন্য প্রক্সি যুদ্ধ করছে।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিনের প্রথম দিকে সীমান্তে গোলাগুলিতে অসংখ্য সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ইসলামাবাদ ও কাবুল ৪৮ ঘণ্টার একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এই যুদ্ধবিরতি দুই দেশের মধ্যে সপ্তাহব্যাপী সহিংসতার পর আসে।
তালেবান পাকিস্তানের দক্ষিণ সীমান্তের কিছু অংশে আক্রমণ চালায়, যার পর ইসলামাবাদ কড়া জবাবের হুমকি দেয়। পাকিস্তান অভিযোগ করে আসছে যে আফগানিস্তান তাদের ভূখ-ে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানি সেনারা হালকা ও ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষে ১০০ বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং সীমান্ত চৌকি দখলের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই দাবিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করে।
২০২১ সালে আফগান তালেবানের ক্ষমতায় ফেরার পর টিটিপি আরও স্বাধীনভাবে চলাচল ও অস্ত্র সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছে। যার ফলে পাকিস্তানে বিশেষত আফগান সীমান্তঘেঁষা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেহসুদ নিজেকে পশতুন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপন করছেন এবং আফগান তালেবানের মতো একটি শাসনব্যবস্থা পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করতে চান।
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করে বলেছেন, এই সম্ভাবনাকে ‘একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না’ এবং ‘এর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে’।
সামা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারত সীমান্তে ‘নোংরা খেলা’ খেলতে পারে এবং দাবি করেন যে, আফগানিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেও পাকিস্তান ‘দ্বিমুখী যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত। ‘যদি দ্বিমুখী যুদ্ধ শুরু হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়েছে কি, কীভাবে তা মোকাবিলা করবেন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে খাজা আসিফ বলেন, ‘হ্যাঁ, কৌশল নির্ধারণ করা আছে। আমি তা প্রকাশ্যে বলতে পারব না, তবে আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’
আফগানিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এর আগেও এক বক্তব্যে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ করার অভিযোগ করেছিলেন। জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই যে, যুদ্ধবিরতি টিকে থাকবে কি না। কারণ তালেবানদের সিদ্ধান্তগুলো দিল্লির পৃষ্ঠপোষকতায় নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে কাবুল দিল্লির জন্য প্রক্সি যুদ্ধ করছে।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিনের প্রথম দিকে সীমান্তে গোলাগুলিতে অসংখ্য সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ইসলামাবাদ ও কাবুল ৪৮ ঘণ্টার একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এই যুদ্ধবিরতি দুই দেশের মধ্যে সপ্তাহব্যাপী সহিংসতার পর আসে।
তালেবান পাকিস্তানের দক্ষিণ সীমান্তের কিছু অংশে আক্রমণ চালায়, যার পর ইসলামাবাদ কড়া জবাবের হুমকি দেয়। পাকিস্তান অভিযোগ করে আসছে যে আফগানিস্তান তাদের ভূখ-ে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানি সেনারা হালকা ও ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষে ১০০ বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং সীমান্ত চৌকি দখলের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই দাবিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করে।
২০২১ সালে আফগান তালেবানের ক্ষমতায় ফেরার পর টিটিপি আরও স্বাধীনভাবে চলাচল ও অস্ত্র সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছে। যার ফলে পাকিস্তানে বিশেষত আফগান সীমান্তঘেঁষা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেহসুদ নিজেকে পশতুন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপন করছেন এবং আফগান তালেবানের মতো একটি শাসনব্যবস্থা পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করতে চান।