অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌন নিপীড়নের দায়ে দণ্ডিত অর্থায়নকারী জেফ্রি এপস্টেইনের সঙ্গে বড় বড় ব্যাংক এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাটের কথিত সম্পর্ক খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি ও এফবিআইয়ের প্রতি তার অনুরোধ থাকবে—তারা যেন ক্লিনটনসহ অন্যদের সঙ্গে এপস্টেইনের ‘সম্পর্ক ও যোগসাজশে’ নজর দেন।
এর জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেছেন, তার বিভাগ ‘গুরুত্ব ও সততার সঙ্গেই’ এ কাজ করবে।
মার্কিন কংগ্রেস এপস্টেইনের হাজারো ইমেইল প্রকাশ করার কয়েকদিন পর ট্রাম্পের এই মন্তব্য সামনে আসে। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ—এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের নিজের সম্পর্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্ন থেকে মনোযোগ সরাতেই তিনি এ বিষয়টি সামনে আনছেন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ওভারসাইট কমিটির প্রকাশিত ইমেইলগুলোতে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম রয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এসব ইমেইলে বহুবার ট্রাম্পের নামও এসেছে।
ওভারসাইট কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রবার্ট গার্সিয়া বলেছেন, “এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন যেসব গুরুতর প্রশ্ন এসেছে, তা থেকে মনোযোগ সরাতে চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি বিচার বিভাগকে ক্লিনটন ছাড়াও ব্যাংক জেপি মর্গ্যান অ্যান্ড চেজ, সাবেক অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামার্স, লিংকডইনের প্রতিষ্ঠাতা রেইড হফম্যানের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে বলেছেন। উল্লেখ্য, হফম্যান ডেমোক্র্যাটদের চাঁদা দেওয়া অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তি।
ট্রাম্প আরও বলেন, “এপস্টেইন ডেমোক্র্যাট ছিলেন, সে ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা, রিপাবলিকানদের নয়। তারা সবাই তার সম্বন্ধে জানে। ট্রাম্পকে নিয়ে সময় নষ্ট করো না। আমার একটা দেশ চালাতে হবে।”
এদিকে বিল ক্লিনটন জোরের সঙ্গে অস্বীকার করেছেন যে তিনি এপস্টেইনের অপরাধ সম্পর্কে জানতেন।
জেপি মর্গ্যান চেজের এক মুখপাত্র বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ‘এপস্টেইনের সঙ্গে সংযোগ রাখার’ জন্য দুঃখিত। তবে তারা ‘তার জঘন্য অপরাধে কোনও সহায়তা করেনি’।
ট্রাম্প ক্লিনটন ও অন্যদের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ বা নির্দেশনা পাঠিয়েছেন কি না—নাকি বন্ডি কেবল ট্রুথ সোশালে প্রেসিডেন্টের পোস্টের জবাব দিয়েছেন—তা এখনও পরিষ্কার নয়।
তবে পাম বন্ডি জানিয়েছেন, তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে ক্লিনটন ও অন্যদের সম্পর্ক তদন্তের নেতৃত্ব দিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জে ক্লেটনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌন নিপীড়নের দায়ে দণ্ডিত অর্থায়নকারী জেফ্রি এপস্টেইনের সঙ্গে বড় বড় ব্যাংক এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাটের কথিত সম্পর্ক খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি ও এফবিআইয়ের প্রতি তার অনুরোধ থাকবে—তারা যেন ক্লিনটনসহ অন্যদের সঙ্গে এপস্টেইনের ‘সম্পর্ক ও যোগসাজশে’ নজর দেন।
এর জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেছেন, তার বিভাগ ‘গুরুত্ব ও সততার সঙ্গেই’ এ কাজ করবে।
মার্কিন কংগ্রেস এপস্টেইনের হাজারো ইমেইল প্রকাশ করার কয়েকদিন পর ট্রাম্পের এই মন্তব্য সামনে আসে। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ—এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের নিজের সম্পর্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্ন থেকে মনোযোগ সরাতেই তিনি এ বিষয়টি সামনে আনছেন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ওভারসাইট কমিটির প্রকাশিত ইমেইলগুলোতে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম রয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এসব ইমেইলে বহুবার ট্রাম্পের নামও এসেছে।
ওভারসাইট কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রবার্ট গার্সিয়া বলেছেন, “এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন যেসব গুরুতর প্রশ্ন এসেছে, তা থেকে মনোযোগ সরাতে চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি বিচার বিভাগকে ক্লিনটন ছাড়াও ব্যাংক জেপি মর্গ্যান অ্যান্ড চেজ, সাবেক অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামার্স, লিংকডইনের প্রতিষ্ঠাতা রেইড হফম্যানের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে বলেছেন। উল্লেখ্য, হফম্যান ডেমোক্র্যাটদের চাঁদা দেওয়া অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তি।
ট্রাম্প আরও বলেন, “এপস্টেইন ডেমোক্র্যাট ছিলেন, সে ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা, রিপাবলিকানদের নয়। তারা সবাই তার সম্বন্ধে জানে। ট্রাম্পকে নিয়ে সময় নষ্ট করো না। আমার একটা দেশ চালাতে হবে।”
এদিকে বিল ক্লিনটন জোরের সঙ্গে অস্বীকার করেছেন যে তিনি এপস্টেইনের অপরাধ সম্পর্কে জানতেন।
জেপি মর্গ্যান চেজের এক মুখপাত্র বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ‘এপস্টেইনের সঙ্গে সংযোগ রাখার’ জন্য দুঃখিত। তবে তারা ‘তার জঘন্য অপরাধে কোনও সহায়তা করেনি’।
ট্রাম্প ক্লিনটন ও অন্যদের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ বা নির্দেশনা পাঠিয়েছেন কি না—নাকি বন্ডি কেবল ট্রুথ সোশালে প্রেসিডেন্টের পোস্টের জবাব দিয়েছেন—তা এখনও পরিষ্কার নয়।
তবে পাম বন্ডি জানিয়েছেন, তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে ক্লিনটন ও অন্যদের সম্পর্ক তদন্তের নেতৃত্ব দিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জে ক্লেটনকে নিয়োগ দিয়েছেন।