ইউক্রেইনের তেরনোপিলে এক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত এক গাড়ি খতিয়ে দেখছেন দমকল বাহিনীর এক কর্মী।
ইউক্রেইনে যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটনের খসড়া পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেইন ও ইউরোপের একাধিক প্রভাবশালী দেশ।
রোববার জেনিভায় ইউক্রেইনীয় ও মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠকে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারাও থাকবেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ইউক্রেইনে সাড়ে তিন বছর ধরে চলা রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ ইতি টানার লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নিতে রোববারই সুইজারল্যান্ডে পৌঁছানোর কথা। এর আগে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তার ২৮ দফার খসড়া পরিকল্পনায় রাজি হতে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় আছে। তার ওই পরিকল্পনায় ইউক্রেইনকে ভূখণ্ড ছাড়তে হবে, সেনাবাহিনীর আকার কমিয়ে আনতে হবে, পরিত্যাগ করতে হবে নেটোতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন।
ট্রাম্প ও জেলেনস্কির দিকে ইঙ্গিত করে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “খসড়া চুক্তির বাকি খুঁটিনাটি ঠিক করে ফেলতে পারবো বলে আশা করছি, যেটা তাদের (ইউক্রেইন) জন্য অনুকূল হবে। দুই প্রেসিডেন্ট একত্রিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়।”
রোববারের বৈঠকের আগেই মার্কিন সেনাসচিব ডেনিয়েল ড্রিসকল জেনিভায় পৌঁছান, ইউক্রেইনের একটি প্রতিনিধিদলেরও শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় শহরটিতে নামার কথা, বলেছেন এ কর্মকর্তা।
ইউক্রেইন আগেই বৈঠকে অংশ নেওয়া হবে নিশ্চিত করেছিল।
কথিত ‘ই৩ জোটের’ সদস্য, ইউরোপের তিন প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারাও এ বৈঠকে থাকবেন। ইতালিও এক কর্মকর্তাকে পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
ইউরোপ ও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের নেতারা শনিবার বলেছেন, রাশিয়ার মূল মূল দাবি মেনে নেওয়া মার্কিন খসড়াটি যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার ভিত্তি হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবারের ‘ডেডলাইনের’ আগে কিইভের জন্য একটি ভালো চুক্তি নিশ্চিত করতে ওই খসড়ায় ‘আরও কাজ’ করা দরকার।
জার্মানির একটি সরকারি সূত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে হওয়া ইউরোপীয়দের একটি খসড়া পরিকল্পনাও ইউক্রেইন ও মার্কিন প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘২৮ দফা পরিকল্পনা’ নিয়ে কিইভ যে শাঁখের করাতে পড়েছে, তা জেলেনস্কির কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে।
ওই পরিকল্পনার জেরে ইউক্রেইনকে এখন হয় নিজেদের আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতা খোয়ানোর ঝুঁকি নিতে হবে, নয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, বলেছেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন পরিকল্পনাটিকে সংঘাত নিরসনে প্রাথমিক ভিত্তি বলে অভিহিত করেছেন; তবে মস্কোও হয়তো এই পরিকল্পনার কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি জানাবে, যেখানে রুশ বাহিনীকে তাদের দখলে থাকা কিছু এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ইউক্রেইনের তেরনোপিলে এক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত এক গাড়ি খতিয়ে দেখছেন দমকল বাহিনীর এক কর্মী।
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ইউক্রেইনে যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটনের খসড়া পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেইন ও ইউরোপের একাধিক প্রভাবশালী দেশ।
রোববার জেনিভায় ইউক্রেইনীয় ও মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠকে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারাও থাকবেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ইউক্রেইনে সাড়ে তিন বছর ধরে চলা রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ ইতি টানার লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নিতে রোববারই সুইজারল্যান্ডে পৌঁছানোর কথা। এর আগে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তার ২৮ দফার খসড়া পরিকল্পনায় রাজি হতে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় আছে। তার ওই পরিকল্পনায় ইউক্রেইনকে ভূখণ্ড ছাড়তে হবে, সেনাবাহিনীর আকার কমিয়ে আনতে হবে, পরিত্যাগ করতে হবে নেটোতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন।
ট্রাম্প ও জেলেনস্কির দিকে ইঙ্গিত করে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “খসড়া চুক্তির বাকি খুঁটিনাটি ঠিক করে ফেলতে পারবো বলে আশা করছি, যেটা তাদের (ইউক্রেইন) জন্য অনুকূল হবে। দুই প্রেসিডেন্ট একত্রিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়।”
রোববারের বৈঠকের আগেই মার্কিন সেনাসচিব ডেনিয়েল ড্রিসকল জেনিভায় পৌঁছান, ইউক্রেইনের একটি প্রতিনিধিদলেরও শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় শহরটিতে নামার কথা, বলেছেন এ কর্মকর্তা।
ইউক্রেইন আগেই বৈঠকে অংশ নেওয়া হবে নিশ্চিত করেছিল।
কথিত ‘ই৩ জোটের’ সদস্য, ইউরোপের তিন প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারাও এ বৈঠকে থাকবেন। ইতালিও এক কর্মকর্তাকে পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
ইউরোপ ও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের নেতারা শনিবার বলেছেন, রাশিয়ার মূল মূল দাবি মেনে নেওয়া মার্কিন খসড়াটি যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার ভিত্তি হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবারের ‘ডেডলাইনের’ আগে কিইভের জন্য একটি ভালো চুক্তি নিশ্চিত করতে ওই খসড়ায় ‘আরও কাজ’ করা দরকার।
জার্মানির একটি সরকারি সূত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে হওয়া ইউরোপীয়দের একটি খসড়া পরিকল্পনাও ইউক্রেইন ও মার্কিন প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘২৮ দফা পরিকল্পনা’ নিয়ে কিইভ যে শাঁখের করাতে পড়েছে, তা জেলেনস্কির কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে।
ওই পরিকল্পনার জেরে ইউক্রেইনকে এখন হয় নিজেদের আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতা খোয়ানোর ঝুঁকি নিতে হবে, নয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, বলেছেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন পরিকল্পনাটিকে সংঘাত নিরসনে প্রাথমিক ভিত্তি বলে অভিহিত করেছেন; তবে মস্কোও হয়তো এই পরিকল্পনার কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি জানাবে, যেখানে রুশ বাহিনীকে তাদের দখলে থাকা কিছু এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে।