alt

অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে লক্ষাধিক মার্কিনির মৃত্যু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন এক লাখ সাত হাজারের বেশি মানুষ। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক এসব মানুষ প্রাণ হারান। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিষয়ক প্রধান সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) স্থানীয় সময় বুধবার (১১ মে) এই তথ্য সামনে আনে।

মূলত বিপুল এই প্রানহানিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের মহামারিতে আরেকটি দুঃখজনক রেকর্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানির এই সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যালোচনা করে আনুমানিক একটি প্রতিবেদনে তৈরি করে থাকে সিডিসি।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ অ্যাবিউজের ডিরেক্টর ড. নোরা ভলকো মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে প্রাণহানির সর্বশেষ এই পরিসংখ্যানকে ‘সত্যিই বিস্ময়কর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এদিকে সিডিসির এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর সরব হয়েছে হোয়াইট হাউসও। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বাসভবন ও কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ঘোষিত নিজেদের জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কৌশলের বিষয়টিও সামনে আনা হয়েছে বিবৃতিতে।

একইসঙ্গে এই ধরনের প্রাণহানি প্রতিরোধে আরও বেশি মানুষকে যথাযথ চিকিৎসার অধীনে আনা, মাদক পাচারকে ব্যাহত করা এবং ওভারডোজ-রিভার্সিং ওষুধ নালোক্সোনের সহজলভ্যতা আরও প্রসারিত করার আহ্বানও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

আলজাজিরা বলছে, গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। মূলত এই ধরনের প্রাণহানি বৃদ্ধির সূচনা হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে আফিম সংক্রান্ত একটি ব্যথানাশক ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত সেবনের মাধ্যমে। এরই ধারবাহিকতায় হেরোইন এবং অতি সম্প্রতি অবৈধ ফেন্টানাইলের সেবনের কারণে প্রাণহানি বেড়েছে অনেক বেশি।

ফেন্টানাইল এবং অন্যান্য সিনথেটিক জাতীয় ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত সেবনের কারণে গত বছর প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭১ হাজার। যা আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। এছাড়াও কোকেন সম্পর্কিত মৃত্যু ২৩ শতাংশ এবং মেথ ও অন্যান্য উদ্দীপক সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবনের কারণে হওয়া মৃত্যুর পেছনে প্রায়ই একাধিক ওষুধকে দায়ী করা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, অন্যান্য ওষুধ ক্রমবর্ধমানভাবে ছেটে ফেলে কিছু মানুষ একাধিক ওষুধ এবং সস্তা ফেন্টানাইল গ্রহণ করে। আর এটি প্রায়শই হয় ক্রেতাদের অজান্তেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান করোনাভাইরাস মহামারি জটিল এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে কারণ লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের আরও বিচ্ছিন্ন করেছে এবং তাদের জন্য চিকিৎসা পাওয়াও কঠিন করে তুলেছে।

অবশ্য অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবনের কারণে মৃত্যুর প্রবণতা ভৌগলিকভাবে একেক স্থানে একেক রকম। আলজাজিরা বলছে, ২০২১ সালে আলাস্কায় এই ধরনের প্রাণহানি ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

অন্যদিকে হাওয়াইতে অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবনের কারণে মৃত্যু কমেছে ২ শতাংশ।

ছবি

হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়লো কার্গো বিমান

ছবি

ইইউ: ২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

বলিভিয়ায় দুই দশকের বামপন্থী শাসনের অবসান, নতুন প্রেসিডেন্ট মধ্যপন্থী পাজ

ছবি

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারতকে আবারও ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ছবি

ফের জেলেনস্কিকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বললেন ট্রাম্প

ছবি

দোহায় আলোচনার পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র হচ্ছে

ইসরায়েলের হামলা চলছেই, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি

ছবি

বলিভিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ, দুই দশকের বামপন্থি শাসনের অবসান

ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে সোনার ৯ আইটেম নিয়ে গেছে ডাকাতরা

ছবি

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে আসছে নতুন নিয়ম

ছবি

শিগরই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে সৌদি, আশা ট্রাম্পের

ছবি

ফের বিমান হামলা করল পাকিস্তান, পাল্টা জবাব আফগানিস্তানের

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০ কোটি মানুষ

ছবি

ত্রাণের অপেক্ষায় গাজাবাসী, ক্ষুধা-হাহাকারে কাটছে দিন

ছবি

টমাহক পেল না ইউক্রেইন, ট্রাম্পের বৈঠক শেষে ‘খালি হাতে’ ফিরলেন জেলেনস্কি

চীনা পণ্যে আরোপিত ১০০ শতাংশ শুল্ক টেকসই নয়: ট্রাম্প

ছবি

চীনের শীর্ষ ৯ জেনারেল বরখাস্ত

ছবি

আফগান সীমান্তে আত্মঘাতী হামলা, ৭ পাকিস্তানি সেনাসহ ১০ জন নিহত

ছবি

হামাসকে ‘মেরে ফেলার’ হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

সাড়ে ৩০০ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা রাশিয়ার

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে

ছবি

ভারতের ‘নোংরা খেলার’ আশঙ্কা, ‘দ্বিমুখী যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান

ছবি

পশ্চিম তীরে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করছে ইসরায়েল

ছবি

পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসরায়েল ও হামাসের

ছবি

ট্রাম্প বলেছেন—চুক্তি না মানলে ইসরায়েলকে আবারো ‘রাস্তায়’ পাঠানোর অনুমোদন দিতে পারেন

ছবি

মারা গেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

ছবি

রাশিয়ার থেকে তেল কিনবে না ভারত: দাবি ট্রাম্পের

ছবি

সমুদ্রে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত বন্দর ফি আদায় শুরু

ছবি

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

পাকিস্তানের সঙ্গে আফগান তালেবানের সম্পর্ক কোন দিকে যাচ্ছে

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও শান্তি ফিরছে না গাজায়

ছবি

সীমান্তে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে ফের সংঘাত শুরু

ছবি

তাইওয়ানকে ‘ভুলভাবে’ চিহ্নিত করায় চীনে ৬০ হাজার মানচিত্র জব্দ

ছবি

বল প্রয়োগ করে হলেও হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করব: ট্রাম্প

tab

অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে লক্ষাধিক মার্কিনির মৃত্যু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন এক লাখ সাত হাজারের বেশি মানুষ। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক এসব মানুষ প্রাণ হারান। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিষয়ক প্রধান সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) স্থানীয় সময় বুধবার (১১ মে) এই তথ্য সামনে আনে।

মূলত বিপুল এই প্রানহানিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের মহামারিতে আরেকটি দুঃখজনক রেকর্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানির এই সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যালোচনা করে আনুমানিক একটি প্রতিবেদনে তৈরি করে থাকে সিডিসি।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ অ্যাবিউজের ডিরেক্টর ড. নোরা ভলকো মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে প্রাণহানির সর্বশেষ এই পরিসংখ্যানকে ‘সত্যিই বিস্ময়কর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এদিকে সিডিসির এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর সরব হয়েছে হোয়াইট হাউসও। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বাসভবন ও কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ঘোষিত নিজেদের জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কৌশলের বিষয়টিও সামনে আনা হয়েছে বিবৃতিতে।

একইসঙ্গে এই ধরনের প্রাণহানি প্রতিরোধে আরও বেশি মানুষকে যথাযথ চিকিৎসার অধীনে আনা, মাদক পাচারকে ব্যাহত করা এবং ওভারডোজ-রিভার্সিং ওষুধ নালোক্সোনের সহজলভ্যতা আরও প্রসারিত করার আহ্বানও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

আলজাজিরা বলছে, গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। মূলত এই ধরনের প্রাণহানি বৃদ্ধির সূচনা হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে আফিম সংক্রান্ত একটি ব্যথানাশক ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত সেবনের মাধ্যমে। এরই ধারবাহিকতায় হেরোইন এবং অতি সম্প্রতি অবৈধ ফেন্টানাইলের সেবনের কারণে প্রাণহানি বেড়েছে অনেক বেশি।

ফেন্টানাইল এবং অন্যান্য সিনথেটিক জাতীয় ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত সেবনের কারণে গত বছর প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭১ হাজার। যা আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। এছাড়াও কোকেন সম্পর্কিত মৃত্যু ২৩ শতাংশ এবং মেথ ও অন্যান্য উদ্দীপক সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবনের কারণে হওয়া মৃত্যুর পেছনে প্রায়ই একাধিক ওষুধকে দায়ী করা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, অন্যান্য ওষুধ ক্রমবর্ধমানভাবে ছেটে ফেলে কিছু মানুষ একাধিক ওষুধ এবং সস্তা ফেন্টানাইল গ্রহণ করে। আর এটি প্রায়শই হয় ক্রেতাদের অজান্তেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান করোনাভাইরাস মহামারি জটিল এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে কারণ লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের আরও বিচ্ছিন্ন করেছে এবং তাদের জন্য চিকিৎসা পাওয়াও কঠিন করে তুলেছে।

অবশ্য অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবনের কারণে মৃত্যুর প্রবণতা ভৌগলিকভাবে একেক স্থানে একেক রকম। আলজাজিরা বলছে, ২০২১ সালে আলাস্কায় এই ধরনের প্রাণহানি ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

অন্যদিকে হাওয়াইতে অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবনের কারণে মৃত্যু কমেছে ২ শতাংশ।

back to top