alt

আলঝেইমার্সের নতুন ওষুধ জাগাচ্ছে আশার আলো

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

আলঝেইমার্স (মস্তিস্কের এক ধরনের রোগ যার ফলে কিছু মনে রাখতে না পারে না রোগী) অনেকসময় কয়েকবছর ধরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুরুর দিকে অনেক সময়ই তা ধরা পড়ে না। কারণ এই রোগের লক্ষণ অন্যান্য অসুস্থতার ক্ষেত্রেও দেখা যেতে পারে।

মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যুতে মগজের কর্মক্ষমতা লোপ পাওয়ার ব্যাধি আলঝেইমার্সের একটি প্রতিষেধক তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা, যা জাগাচ্ছে আশার আলো।

আলঝেইমার্স ডিজিজ হল মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ এবং ডিমেনশিয়ার একটি সাধারণ রূপ। একে বলে প্রগ্রেসিভ নিউরোলজিক ডিজিজ, যে রোগে মস্তিষ্কের কোষগুলো ধীরে ধীরে মারা যায়।

সাধারণত ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের এ রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি। অবশ্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে কম বয়য়েও এ রোগ হতে পারে।

স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া হল আলঝেইমার্সের প্রাথমিক লক্ষণ। এক সময় রোগীর কগনিটিভ কার্যকারিতা বা পারিপার্শ্বিক সচেতনতা হ্রাস পেতে থাকে। সাধারণ বিষয়গুলো ভুলে যাওয়ার পাশাপাশি তৈরি হয় বিভ্রম। এক পর্যায়ে খাওয়াসহ দৈনন্দিন কাজও নিজে করতে না পারেন না রোগী।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন এই ওষুধ মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু কমিয়ে আলঝেইমার্স বৃদ্ধির গতি ধীর করে দিতে পারে। এর আগে আর কোনো ওষুধ এই সাফল্য দেখাতে পারেনি।

‘লেকানেম্যাব’ নামের এই ওষুধ কাজ করে আলঝেইমার্সের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। রোগের বৃদ্ধি পুরোপুরি থামিয়ে দেওয়া বা রোগীকে সারিয়ে তোলার সাফল্য এ ওষুধ দেখাতে পারেনি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এর প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন রয়ে গেছে।

তারপরও আলঝেইমার্সের ওষুধ উদ্ভাবনে বহু বছরের ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে লেকানেম্যাবকে ‘যুগান্তকারী’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঠিক কেন আলঝেইমার্স হয়, তা এখনও জানা যায়নি। গবেষকরা বলছেন, বয়সের কারণে মস্তিষ্কের পরিবর্তন; কোষের বুড়িয়ে যাওয়া, জেনেটিক, পরিবেশগত এবং জীবনশৈলীর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আলঝেইমার্সের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড বিটা নামে এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়। আলঝেইমার্স রোগীদের ক্ষেত্রে ওই প্রোটিন রক্তকণিকার সঙ্গে দলা পাকিয়ে মস্তিষ্কের কোষের ফাঁকে ফাঁকে অ্যামিলয়েড স্তর তৈরি করে। সে কারণে তাদের মস্তিষ্কের কোষ দ্রুত মারা যেতে থকে।

বিবিসি লিখেছে, ‘লেকানেম্যাব’ নামের ওষুধটি অ্যামিলয়েডের ওই আঠালো স্তরে আক্রমণ করে এবং কোষের ওপর অ্যামিলয়েডের আস্তর জমার গতি কমিয়ে দেয়। সে কারণে এ ওষুধকে আলঝেইমার্সের গবেষণায় বড় অগ্রগতি বলে মনে করছেন গবেষকরা।

অ্যামিলয়েডের স্তর ধ্বংস করে আলঝেইমার্স সারানোর এই ধারণা নিয়ে ৩০ বছর আগেই কাজ করেছিলেন অধ্যাপক জন হার্ডি। সেই পথ ধরে একটি ওষুধ তৈরি হওয়ার বিষয়টিকে তিনি ‘ঐতিহাসিক সূচনা’ বলছেন।

আর এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টারা স্পিয়ার্স-জোনস বলেছেন, “এটা একটা বড় সাফল্য, কারণ এর আগ পর্যন্ত আমরা শতভাগ ব্যর্থ ছিলাম।”

আলঝেইমার্স রোগীর চিকিৎসায় এখন যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হয়, সেগুলো মূলত রোগের অন্যান্য উপসর্গ দমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাতে মূল রোগের উপশম হয় না।

বিবিসি লিখেছে, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে মানুষের দেহ যেরকম অ্যান্টিবডি তৈরি করে, ‘লেকানেম্যাব’ তেমনই একটি অ্যান্টিবডি। এর কাজ হল মস্তিষ্কের ভেতরে জমা অ্যামিলয়েড স্তর দূর করতে শরীরের নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলা।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগে মোট ১ হাজার ৭৯৫ জন রোগীকে এ ওষুধ দেওয়া হয়েছে, যাদের আলঝেইমার্স ছিল প্রাথমিক পর্যায়ে। দুই সপ্তাহ পরপর তাদের রক্তে ‘লেকানেম্যাব’ দেওয়া হয় ইনফিউশনের মাধ্যমে।

ওই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল সম্প্রতি স্যান ফ্রান্সিসকোর আলঝেইমার্স ডিজিজ কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনেও প্রকাশ করা হয়েছে ওই গবেষণা প্রতিবেদন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ‘লেকানেম্যাব’ আলঝেইমার্স রোগীকে রাতারাতি সারিয়ে তুলতে পারবে না। রোগীর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিকই লোপ পেতে থাকবে। তবে ১৮ মাসের চিকিৎসায় ‘লেকানেম্যাব’ সেই গতি এক চতুর্থাংশ কমিয়ে দিতে পারবে।

বিবিসি লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইতোমধ্যে এ গবেষণার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ শুরু করেছে। সে দেশে বড় পরিসরে এ ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দেওযা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানাবে তারা।

‘লেকানেম্যাব’ তৈরি করেছে ওষুধ কোম্পানি ইসাই ও বায়োজেন। আগামী বছর তারা অন্যান্য দেশেও এ ওষুধ অনুমোদনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করবে।

ছবি

ডিজিটাল মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ও বিমা দাবি নিষ্পত্তি করছে গার্ডিয়ান লাইফ

ছবি

ব্যবসায় এআই ইন্টিগ্রেশনে নতুন মাত্রা যোগ করতে এজেন্টফোর্স ৩৬০ আনল সেলসফোর্স

ছবি

বাংলালিংকের রাইজ এখন এআই চালিত ডিজিটাল হাব

ছবি

এফআরপি টাওয়ার স্থাপন করলো ইডটকো

ছবি

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন ‘মিস্টেরিয়াস এলিফ্যান্ট’ কার্যক্রম শনাক্ত করেছে ক্যাস্পারস্কি

ছবি

টেলিকম সংযোগ শক্তিশালী করতে একসাথে কাজ করবে গ্রামীণফোন, টেলিটক ও ইডটকো

ছবি

‘রোবট ফোন’ এর টিজার উন্মোচন করল অনার

ছবি

উদ্ভাবকদের স্বীকতি দিলো বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্ক

ছবি

বান্দরবানের ওয়াকচাকু পাড়ায় নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করলো রবি

ছবি

দেশজুড়ে রিয়েলমি ১৫ ফাইভজি ও রিয়েলমি ১৫ প্রো ফাইভজি’র সেল শুরু

ছবি

এআই যুগে নতুন দিগন্ত : সেলসফোর্স আনল এজেন্টফোর্স ৩৬০

ছবি

সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে গ্রামীণফোন ও নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে চুক্তি

ছবি

ই-বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনায় জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান

ছবি

‘সিকিউরনেট বিডি’ উদ্যোগ শুরু করছে টিম ফিনিক্স

ছবি

রাইডারদের মাসিক কিস্তিতে ই-বাইক দেবে ফুডপ্যান্ডা

ছবি

স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির রূপান্তর ঘটাচ্ছে জাইস ও ভিভো

ছবি

বাজারে গিগাবাইটের নতুন এআই ল্যাপটপ ‘অ্যারো এক্স১৬’ ও ‘গেমিং এ১৬’

ছবি

পাবজি মোবাইল টুর্নামেন্ট উন্মোচন করলো অপো ইস্পোর্টস ক্লাব

ছবি

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এআইভিত্তিক ক্রেডিট স্কোরিং ঋণ বিতরণ করলো প্রিয়শপ ও কমিউনিটি ব্যাংক

ছবি

সমাধান ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

কৃষকদের সুরক্ষায় গার্ডিয়ান ও উইগ্রো’র পার্টনারশীপ

ছবি

নির্ভরযোগ্য এআই তৈরির ভিত্তি উন্মোচন করেছে সেলসফোর্স

ছবি

বাংলাদেশ আইটি লিডার্স কানেক্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

ফ্লোসোলারের সাথে বাংলালিংকের অংশীদারিত্ব

ছবি

মাইক্রোসফট সলিউশন ও এআই ইনোভেশন নিয়ে ধ্রুব নেটওয়ার্কসের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ছবি

কনসোল-ধাঁচের ট্রিগার বদলাচ্ছে বাংলাদেশের মোবাইল ইস্পোর্টস

ছবি

বাংলাদেশে অফিসিয়াল আইফোন ১৭ আনল গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার

ছবি

এশিয়া কাপ লাইভ স্ট্রিমিং-এ রেকর্ড গড়লো বাংলালিংকের টফি

ছবি

কার্টআপের ‘অক্টোবর অফারস’ ক্যাম্পেইন শুরু

ছবি

আন্তর্জাতিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত

ছবি

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হলো ‘এআই পার্টি ফোন’ রিয়েলমি ১৫ সিরিজ

ছবি

যাত্রা শুরু করেছে নতুন ই-কমার্স সাইট ‘গ্র্যাবী’

ছবি

দেশের বাজারে এআইনির্ভর গ্যালাক্সি এস২৫ এফই উন্মোচন

ছবি

ভিভো ভি৬০ লাইটের সাথে অ্যাডভেঞ্চার ও অফার

ছবি

মালয়েশিয়া থেকে বিকাশে রেমিটেন্স গ্রহণ করে মিনিস্টার পণ্য জেতার সুযোগ

ছবি

ডিজিটাল সল্যুশন সহজলভ্য করতে কাজ করবে গ্রামীণফোন ও সুমাস টেক

tab

আলঝেইমার্সের নতুন ওষুধ জাগাচ্ছে আশার আলো

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

আলঝেইমার্স (মস্তিস্কের এক ধরনের রোগ যার ফলে কিছু মনে রাখতে না পারে না রোগী) অনেকসময় কয়েকবছর ধরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুরুর দিকে অনেক সময়ই তা ধরা পড়ে না। কারণ এই রোগের লক্ষণ অন্যান্য অসুস্থতার ক্ষেত্রেও দেখা যেতে পারে।

মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যুতে মগজের কর্মক্ষমতা লোপ পাওয়ার ব্যাধি আলঝেইমার্সের একটি প্রতিষেধক তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা, যা জাগাচ্ছে আশার আলো।

আলঝেইমার্স ডিজিজ হল মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ এবং ডিমেনশিয়ার একটি সাধারণ রূপ। একে বলে প্রগ্রেসিভ নিউরোলজিক ডিজিজ, যে রোগে মস্তিষ্কের কোষগুলো ধীরে ধীরে মারা যায়।

সাধারণত ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের এ রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি। অবশ্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে কম বয়য়েও এ রোগ হতে পারে।

স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া হল আলঝেইমার্সের প্রাথমিক লক্ষণ। এক সময় রোগীর কগনিটিভ কার্যকারিতা বা পারিপার্শ্বিক সচেতনতা হ্রাস পেতে থাকে। সাধারণ বিষয়গুলো ভুলে যাওয়ার পাশাপাশি তৈরি হয় বিভ্রম। এক পর্যায়ে খাওয়াসহ দৈনন্দিন কাজও নিজে করতে না পারেন না রোগী।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন এই ওষুধ মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু কমিয়ে আলঝেইমার্স বৃদ্ধির গতি ধীর করে দিতে পারে। এর আগে আর কোনো ওষুধ এই সাফল্য দেখাতে পারেনি।

‘লেকানেম্যাব’ নামের এই ওষুধ কাজ করে আলঝেইমার্সের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। রোগের বৃদ্ধি পুরোপুরি থামিয়ে দেওয়া বা রোগীকে সারিয়ে তোলার সাফল্য এ ওষুধ দেখাতে পারেনি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এর প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন রয়ে গেছে।

তারপরও আলঝেইমার্সের ওষুধ উদ্ভাবনে বহু বছরের ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে লেকানেম্যাবকে ‘যুগান্তকারী’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঠিক কেন আলঝেইমার্স হয়, তা এখনও জানা যায়নি। গবেষকরা বলছেন, বয়সের কারণে মস্তিষ্কের পরিবর্তন; কোষের বুড়িয়ে যাওয়া, জেনেটিক, পরিবেশগত এবং জীবনশৈলীর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আলঝেইমার্সের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড বিটা নামে এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়। আলঝেইমার্স রোগীদের ক্ষেত্রে ওই প্রোটিন রক্তকণিকার সঙ্গে দলা পাকিয়ে মস্তিষ্কের কোষের ফাঁকে ফাঁকে অ্যামিলয়েড স্তর তৈরি করে। সে কারণে তাদের মস্তিষ্কের কোষ দ্রুত মারা যেতে থকে।

বিবিসি লিখেছে, ‘লেকানেম্যাব’ নামের ওষুধটি অ্যামিলয়েডের ওই আঠালো স্তরে আক্রমণ করে এবং কোষের ওপর অ্যামিলয়েডের আস্তর জমার গতি কমিয়ে দেয়। সে কারণে এ ওষুধকে আলঝেইমার্সের গবেষণায় বড় অগ্রগতি বলে মনে করছেন গবেষকরা।

অ্যামিলয়েডের স্তর ধ্বংস করে আলঝেইমার্স সারানোর এই ধারণা নিয়ে ৩০ বছর আগেই কাজ করেছিলেন অধ্যাপক জন হার্ডি। সেই পথ ধরে একটি ওষুধ তৈরি হওয়ার বিষয়টিকে তিনি ‘ঐতিহাসিক সূচনা’ বলছেন।

আর এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টারা স্পিয়ার্স-জোনস বলেছেন, “এটা একটা বড় সাফল্য, কারণ এর আগ পর্যন্ত আমরা শতভাগ ব্যর্থ ছিলাম।”

আলঝেইমার্স রোগীর চিকিৎসায় এখন যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হয়, সেগুলো মূলত রোগের অন্যান্য উপসর্গ দমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাতে মূল রোগের উপশম হয় না।

বিবিসি লিখেছে, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে মানুষের দেহ যেরকম অ্যান্টিবডি তৈরি করে, ‘লেকানেম্যাব’ তেমনই একটি অ্যান্টিবডি। এর কাজ হল মস্তিষ্কের ভেতরে জমা অ্যামিলয়েড স্তর দূর করতে শরীরের নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলা।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগে মোট ১ হাজার ৭৯৫ জন রোগীকে এ ওষুধ দেওয়া হয়েছে, যাদের আলঝেইমার্স ছিল প্রাথমিক পর্যায়ে। দুই সপ্তাহ পরপর তাদের রক্তে ‘লেকানেম্যাব’ দেওয়া হয় ইনফিউশনের মাধ্যমে।

ওই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল সম্প্রতি স্যান ফ্রান্সিসকোর আলঝেইমার্স ডিজিজ কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনেও প্রকাশ করা হয়েছে ওই গবেষণা প্রতিবেদন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ‘লেকানেম্যাব’ আলঝেইমার্স রোগীকে রাতারাতি সারিয়ে তুলতে পারবে না। রোগীর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিকই লোপ পেতে থাকবে। তবে ১৮ মাসের চিকিৎসায় ‘লেকানেম্যাব’ সেই গতি এক চতুর্থাংশ কমিয়ে দিতে পারবে।

বিবিসি লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইতোমধ্যে এ গবেষণার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ শুরু করেছে। সে দেশে বড় পরিসরে এ ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দেওযা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানাবে তারা।

‘লেকানেম্যাব’ তৈরি করেছে ওষুধ কোম্পানি ইসাই ও বায়োজেন। আগামী বছর তারা অন্যান্য দেশেও এ ওষুধ অনুমোদনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করবে।

back to top