alt

হয়রানির জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: টিউলিপ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় নিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, “এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার একটি কৌশল।”

লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে কখনো যোগাযোগ করেনি। বরং মিডিয়ায় একতরফাভাবে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।”

দুদকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত মামলায় শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব ববি, ভাগ্নি রূপন্তীসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গত রোববার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এদিকে, টিউলিপের আইনজীবীরা জানান, দুদক শুধুমাত্র গণমাধ্যমের মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ধরেছে, অথচ তাদের কোনো আইনি নোটিস দেওয়া হয়নি। এক বিবৃতিতে তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা লিখিতভাবে তা মোকাবিলা করছি।”

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তারা তদন্ত করছে, যেটির সূত্রপাত ববি হাজ্জাজ নামের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির অভিযোগ থেকে। এসব অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের প্রমাণ খুঁজে দেখার কথা জানানো হয়।

একটি মামলার নথিতে দাবি করা হয়, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তিতে টিউলিপ সিদ্দিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যেখানে প্রকল্পের ব্যয় অতিরিক্ত দেখানো হয়েছিল।

তবে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, “আমরা কাউকে নিশানা করছি না। অভিযোগগুলো দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিক যদি দেশে ফিরে আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, তবে তাকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।”

ছবি

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আসছেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

লিবিয়া সরকারের দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩০৯ বাংলাদেশি

ছবি

মানসিক সুস্থতাকে এগিয়ে নিতে তরুণ সমাজকে দায়িত্বশীল হতে হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

ছবি

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সর্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেয়ার নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি

বাংলাদেশি স্থপতি রেজোয়ানের ভাসমান স্কুল পেল ইউনেস্কোর কনফুসিয়াস পুরস্কার

ছবি

উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা: ‘বিতর্ক’ এড়াতে ফাওজুল কবিরের দুই ‘ফর্মুলা’

ছবি

চীন সংযোগে ঝুঁকি আছে, তা বাংলাদেশকে বোঝাবেন ক্রিস্টেনসেন

ছবি

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে

ছবি

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬৮ জন, বাড়ছে শিশুরোগী

ছবি

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে বিদেশি কোনো চাপ নেই: প্রেস সচিব

ছবি

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সর্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা জানাল বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ,ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

ছবি

চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের যমুনা অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের তিন ‘সহযোগী’ ১০ দিনের রিমান্ডে

ছবি

আইজিপির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ফের মঙ্গলবার

ছবি

শেখ হাসিনা ‘পালিয়ে যাননি’, চলে যেতে ‘বাধ্য’ করা হয়েছে: রাষ্ট্রনিযুক্ত হাসিনার আইনজীবী

ছবি

সংশোধিত আরপিও অনুমোদন: পলাতক আসামি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না

ছবি

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ : জার্মান রাষ্ট্রদূত

ছবি

জাতীয় নির্বাচনে জোটের প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে লড়াইয়ের বিধানসহ আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন

ছবি

১৩ নভেম্বর জানা যাবে জুলাই অভ্যুত্থান দমনচেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় তারিখ

ছবি

নির্বাচন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই: ইসি আনোয়ারুল

ছবি

রাজসাক্ষী মামুন অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচতে চাইছেন: হাসিনার আইনজীবী

ছবি

ঢাকার চেয়ে রাজশাহী ও খুলনার বায়ুদূষণ বেশি

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক ফিরলে সংসদের ক্ষমতাকে খর্ব করবে কিনা, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

ছবি

১২ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার মৃত্যু

ছবি

সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়েরও অনুমোদন লাগবে

ছবি

হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে ধোঁয়াশা, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ: আইএলওর তিনটি কনভেনশনে সই করল অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বাধ্যতামূলক ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ

ছবি

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, বললেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

ছবি

এক দিনে ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু, চলতি বছর প্রাণহানি ২৫৫

ছবি

কোনো চাপের কাছে ইসি নতি স্বীকার করবে না: সিইসি নাসির

ছবি

আত্মসমর্পণকারী সেনা কর্মকর্তারা নির্দোষ, অপরাধীরা ভারতে পালিয়েছেন: আইনজীবী

ছবি

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

tab

হয়রানির জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: টিউলিপ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় নিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, “এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার একটি কৌশল।”

লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে কখনো যোগাযোগ করেনি। বরং মিডিয়ায় একতরফাভাবে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।”

দুদকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত মামলায় শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব ববি, ভাগ্নি রূপন্তীসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গত রোববার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এদিকে, টিউলিপের আইনজীবীরা জানান, দুদক শুধুমাত্র গণমাধ্যমের মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ধরেছে, অথচ তাদের কোনো আইনি নোটিস দেওয়া হয়নি। এক বিবৃতিতে তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা লিখিতভাবে তা মোকাবিলা করছি।”

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তারা তদন্ত করছে, যেটির সূত্রপাত ববি হাজ্জাজ নামের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির অভিযোগ থেকে। এসব অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের প্রমাণ খুঁজে দেখার কথা জানানো হয়।

একটি মামলার নথিতে দাবি করা হয়, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তিতে টিউলিপ সিদ্দিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যেখানে প্রকল্পের ব্যয় অতিরিক্ত দেখানো হয়েছিল।

তবে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, “আমরা কাউকে নিশানা করছি না। অভিযোগগুলো দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিক যদি দেশে ফিরে আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, তবে তাকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।”

back to top