alt

১৭ কারাগার ঝুঁকিপূর্ণ, পালানো সাতশ’ আসামি এখনও অধরা: কারা মহাপরিদর্শক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় দেশের কয়েকটি কারাগার থেকে ২ হাজার ২শ’ বন্দী পালিয়ে গেছে। ওই সব বন্দীদের মধ্যে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি, জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত আসামিও রয়েছে।

কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহার হোসেন বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কারা অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদেরকে এই সব তথ্য জানিয়েছেন।

কারা মহাপরিদর্শক বলেছেন, গত জুলাই আগস্টে আন্দোলনের সময় দেশের কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা সুষ্টি করে প্রায় ২ হাজার ২শ’ বন্দী পালিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের মধ্যে এক হাজার ৫শ’ বন্দী আবার ফিরে আসছে।

বর্তমানে প্রায় ৭শ’ জন বন্দী পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে জঙ্গি, ফাঁসির দ-প্রাপ্ত, শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অতিঝুঁকিপূর্ণ ৭০ জন বন্দীও রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর কারাগারগুলোতে বন্দীর সংখ্যা কমলেও এখন আবার বন্দীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে দেশের কারাগারগুলোতে ৪২ হাজার বন্দীর ধারণ ক্ষমতা। কিন্তু গত ৫ আগস্টের আগে বন্দীর সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার।

সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই জামিনে ছাড়া পেয়েছে। আবার অনেকেই মামলায় খালাস পেয়েছে। তখন বন্দীর সংখ্যা কমে ৫৫ হাজারে এসেছে। এখন এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৬৫ হাজার হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে কারা মহাপরিদর্শক বলেছেন, সরকার পতনের পর জামিনে ছাড়া পাওয়া আসামিদের মধ্যে ১৭৪ জন জঙ্গি ও ১১ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে।

ঝুকিপূর্ণ কারাগার

সারাদেশে বর্তমানে ৬৯টি কারাগার আছে। তার মধ্যে কয়েকটি কারাগার পূণঃনির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি কারাগার ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো পুরাতন ভবন। ওই গুলো পূর্ণ নির্মাণ করা হবে।

থাকছে না নৌকার লঘু কারাগারগুলোর লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে কারা অধিদপ্তরে লোগোতে নৌকা রয়েছে। কারা অধিদপ্তরের কর্মকা-ের সঙ্গে যাতে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। তার জন্য লোগো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সে বিষয়টি লক্ষ রাখা হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবে নয়। সাধারণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

কারা হাসপাতাল

কারাগারে যাওয়া বন্দীরা অসুস্থ্য হলে তাদেরকে কারাগারের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি থাকে। অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে।

এই পরিস্থিতি এড়াতে সব ধরনের রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখে কারা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল হলে বন্দী রোগীদের অন্য কোনো হাসপাতালে নিতে হবে না।

কারা কর্মকর্তারা বলেছেন, কারাগারের ভিতরে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বন্দী রোগীরা জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এই সব সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে কারাগারের ভিতরে আধুনিক হাসপাতাল করার টার্গেট নিয়েছে।

কারা আইন সংস্কার

দেশের পুরনো কারা আইন ও বিধি-বিধান সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ছাড়াও কারাগারের জনবল বৃদ্ধি,নিয়োগ বিধিসহ বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন করার টার্গেট নেয়া হয়েছে।

আইনি দূর্বলতার কারণে কারাগারে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অপরাধ মূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আইন সংস্কারে হবে।

ডগ স্কোয়াড

দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে মাদক ব্যবহার করা হচ্ছে। অসাধু কর্মকর্তা ও কারারক্ষী এমনকি বন্দীরা নানা কৌশলে ভিতরে মাদক নিয়ে যাচ্ছেন। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কারাগারে মাদকদ্রব্য প্রবেশ ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু তা রোধ করা সম্ভব হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে এইবার ডগ স্কোয়াড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। এই প্রক্রিয়া চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।

হটলাইন

দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কারাগার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সফটওয়্যার, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি, আইডেন্টিফিকেশন-আরএফআইডি ও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম জিপিএস ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর সেবা প্রত্যাশীদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কারা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।

কারাগারে বন্দীদের ডিভিশন সম্পর্কে কারা কর্তৃপক্ষ বলেছেন, কারাগারগুলোতে দুই ধরনের ডিভিশন দেয়া হয়। তার মধ্যে প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্টেটের সিদ্বান্তের পরে ও আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিভিশন দেয়া হচ্ছে।

আর কারাগারের ভিতরে বিভিন্ন সেলে বা ওয়ার্ডে মোবাইল ফোন জ্যামার স্থাপন করাসহ সিসি ক্যামরা দ্বারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিদিন তল্লাশি করা হয়। যার কারণে কারাগারের ভিতরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।

ছবি

সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

টিআইবির প্রশ্ন: ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় অতি আগ্রহ কেন?

ছবি

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি: ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে অপমানিত করা হয়েছে

ছবি

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ

ছবি

আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয় নি: সিলেটে আসিফ নজরুল

ছবি

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুটি লকার জব্দ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৬২২

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘে যাচ্ছেন ফখরুল-তাহের-আখতার

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ছবি

ডেমু ট্রেন কেনায় রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের মামলা

ছবি

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির বৈঠক

ছবি

ট্রাইব্যুনাল: নাহিদের সাক্ষ্য বুধবার, মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা: বাংলাদেশ-ভারতের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আন্তঃনির্ভতা নতুন সুযোগে রূপান্তরের সম্ভাবনা

ছবি

ধর্মীয় উৎসবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নয়, সমান নাগরিক অধিকারের বাংলাদেশ চান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য বুধবার

ছবি

জুলাই আন্দোলন: ইনু-নূরসহ ৯ আসামির ভার্চুয়াল হাজিরা

ছবি

বাংলাদেশে উষ্ণায়নের প্রভাব: কর্মদিবস নষ্ট, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য সচিব

ছবি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে অঙ্গীকার ইউনূসের

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি : মাইকেল মিলার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

ছবি

সেপ্টেম্বরের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ছবি

দ্বিমতের কোনো জায়গা নাই, এই সুযোগ আর আসবে না: ইউনূস

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত সময়ের আগেই

ছবি

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোতে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাত: ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিদ্ধান্ত

ছবি

টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি: দেড় মাসে নিবন্ধন প্রায় ৮৯ লাখ শিশু

tab

১৭ কারাগার ঝুঁকিপূর্ণ, পালানো সাতশ’ আসামি এখনও অধরা: কারা মহাপরিদর্শক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় দেশের কয়েকটি কারাগার থেকে ২ হাজার ২শ’ বন্দী পালিয়ে গেছে। ওই সব বন্দীদের মধ্যে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি, জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত আসামিও রয়েছে।

কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহার হোসেন বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কারা অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদেরকে এই সব তথ্য জানিয়েছেন।

কারা মহাপরিদর্শক বলেছেন, গত জুলাই আগস্টে আন্দোলনের সময় দেশের কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা সুষ্টি করে প্রায় ২ হাজার ২শ’ বন্দী পালিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের মধ্যে এক হাজার ৫শ’ বন্দী আবার ফিরে আসছে।

বর্তমানে প্রায় ৭শ’ জন বন্দী পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে জঙ্গি, ফাঁসির দ-প্রাপ্ত, শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অতিঝুঁকিপূর্ণ ৭০ জন বন্দীও রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর কারাগারগুলোতে বন্দীর সংখ্যা কমলেও এখন আবার বন্দীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে দেশের কারাগারগুলোতে ৪২ হাজার বন্দীর ধারণ ক্ষমতা। কিন্তু গত ৫ আগস্টের আগে বন্দীর সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার।

সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই জামিনে ছাড়া পেয়েছে। আবার অনেকেই মামলায় খালাস পেয়েছে। তখন বন্দীর সংখ্যা কমে ৫৫ হাজারে এসেছে। এখন এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৬৫ হাজার হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে কারা মহাপরিদর্শক বলেছেন, সরকার পতনের পর জামিনে ছাড়া পাওয়া আসামিদের মধ্যে ১৭৪ জন জঙ্গি ও ১১ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে।

ঝুকিপূর্ণ কারাগার

সারাদেশে বর্তমানে ৬৯টি কারাগার আছে। তার মধ্যে কয়েকটি কারাগার পূণঃনির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি কারাগার ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো পুরাতন ভবন। ওই গুলো পূর্ণ নির্মাণ করা হবে।

থাকছে না নৌকার লঘু কারাগারগুলোর লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে কারা অধিদপ্তরে লোগোতে নৌকা রয়েছে। কারা অধিদপ্তরের কর্মকা-ের সঙ্গে যাতে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। তার জন্য লোগো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সে বিষয়টি লক্ষ রাখা হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবে নয়। সাধারণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

কারা হাসপাতাল

কারাগারে যাওয়া বন্দীরা অসুস্থ্য হলে তাদেরকে কারাগারের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি থাকে। অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে।

এই পরিস্থিতি এড়াতে সব ধরনের রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখে কারা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল হলে বন্দী রোগীদের অন্য কোনো হাসপাতালে নিতে হবে না।

কারা কর্মকর্তারা বলেছেন, কারাগারের ভিতরে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বন্দী রোগীরা জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এই সব সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে কারাগারের ভিতরে আধুনিক হাসপাতাল করার টার্গেট নিয়েছে।

কারা আইন সংস্কার

দেশের পুরনো কারা আইন ও বিধি-বিধান সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ছাড়াও কারাগারের জনবল বৃদ্ধি,নিয়োগ বিধিসহ বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন করার টার্গেট নেয়া হয়েছে।

আইনি দূর্বলতার কারণে কারাগারে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অপরাধ মূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আইন সংস্কারে হবে।

ডগ স্কোয়াড

দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে মাদক ব্যবহার করা হচ্ছে। অসাধু কর্মকর্তা ও কারারক্ষী এমনকি বন্দীরা নানা কৌশলে ভিতরে মাদক নিয়ে যাচ্ছেন। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কারাগারে মাদকদ্রব্য প্রবেশ ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু তা রোধ করা সম্ভব হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে এইবার ডগ স্কোয়াড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। এই প্রক্রিয়া চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।

হটলাইন

দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কারাগার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সফটওয়্যার, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি, আইডেন্টিফিকেশন-আরএফআইডি ও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম জিপিএস ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর সেবা প্রত্যাশীদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কারা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।

কারাগারে বন্দীদের ডিভিশন সম্পর্কে কারা কর্তৃপক্ষ বলেছেন, কারাগারগুলোতে দুই ধরনের ডিভিশন দেয়া হয়। তার মধ্যে প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্টেটের সিদ্বান্তের পরে ও আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিভিশন দেয়া হচ্ছে।

আর কারাগারের ভিতরে বিভিন্ন সেলে বা ওয়ার্ডে মোবাইল ফোন জ্যামার স্থাপন করাসহ সিসি ক্যামরা দ্বারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিদিন তল্লাশি করা হয়। যার কারণে কারাগারের ভিতরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।

back to top