অপরূপ নির্মাণশৈলীর দৃষ্টিনন্দন শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের একটি অংশের যাত্রা শুরু হলো। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার আকাশপথে সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচিত হলো। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টার্মিনালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ওইদিন সকালে তিনি প্রথমে নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। এ সময় বাংলাদেশ বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান নতুন এই টার্মিনালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ঘুরিয়ে দেখান। এ সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এখানে যাত্রীদের জন্য ই-গেট, হাতের স্পর্শ ছাড়া চেকিং, নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করাসহ অত্যাধুনিক সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া সুপরিসর অ্যাপ্রোন, বিশাল গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত লাগেজ বেল্ট যাত্রীদের দেবে নতুন অভিজ্ঞতা। তবে এসব সেবা পাওয়া যাবে ২০২৪ সালের শেষ দিকে। এখন তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করা হলেও যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক অনেক কাজ বাকি, যা শেষ করতে আরও এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।
নতুন টার্মিনালের ৯০ শতাংশ কাজ সফট লঞ্চিংয়ের (পেলব উদ্বোধন) জন্য সম্পন্ন হয়েছে এবং শনিবার থেকে এয়ারলাইন্সগুলো টার্মিনালের নতুন পার্কিং বে ব্যবহার করতে পারবে। সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং ক্যালিবারেশন তৃতীয় টার্মিনালটি আগামী বছরের শেষে যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ চালু হবে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন টার্মিনালটি বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা এবং যাত্রী পরিষেবা দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি পালটে দেবে। পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলোসহ থার্ড টার্মিনালের ফ্লোর এবং সিলিংয়ে নজরকাড়া প্যাটার্নের বৈশিষ্ট্যগুলো খুবই পরিশীলিত। তৃতীয় টার্মিনালটি একটি মাল্টিমোডাল পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ এবং প্রস্থান করতে সক্ষম হয়। নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) এবং একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এছাড়া আশকোনা হজক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের মাধ্যমে হজযাত্রীরা তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।
তৃতীয় টার্মিনালটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের অধীনে একটি জাপানি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের আগে বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্স ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে চায়, যা দেশের এভিয়েশন সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তৃতীয় টার্মিনালটি তিন তলা বিশিষ্ট। তার প্রথম তলায় ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং সিস্টেম, ভিভিআইপি, ভিআইপি ইত্যাদি।
দ্বিতীয় তলায় বহির্গমন লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, বোর্ডিং ব্রিজ। তৃতীয় তলায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, বিদেশগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, চেক ইন কাউন্টার, সিকিউরিটি সিস্টেম ইত্যাদি।
তৃতীয় টার্মিনালে ভিভিআইপি ও ভিআইপি যাত্রীদের জন্য আলাদা করে বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকবে। টার্মিনালের দক্ষিণ প্রান্তে ৩ হাজার ৬৫০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে রয়েছে এই আয়োজন। নব নির্মিত টার্মিনালের আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। বর্তমান দুটি টার্মিনালের আয়তন এক লাখ বর্গমিটার। এখানে ট্রানজিট যাত্রীরা প্রধান বহির্গমন লাউঞ্জ ব্যবহার করবে, যার আয়তন ৪০ হাজার বর্গমিটার।
তৃতীয় টার্মিনালের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা বছরে এক কোটি ৬০ লাখ। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে বছরে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ। আগমনী যাত্রীদের জন্য লাগেজ বেল্ট থাকবে ১৬টি। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে লাগেজ বেল্ট আছে ৮টি। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য ১ হাজার ৩০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি কাস্টম হল থাকবে। সেখানে ৬টি চ্যানেল থাকবে।
তৃতীয় টার্মিনালে চেক ইন কাউন্টার থাকবে ১১৫টি, এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ১৫টি। তৃতীয় টার্মিনালে ইমেগ্রেশন কাউন্টার মোট ১২৮টি। এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ১৫টি। মোট ১২৮টি কাউন্টারের মধ্যে বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৬৬টি, আগমনী ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৫৯টি এবং ভিভিআইপি ৩টি।
বর্তমান দুটি টার্মিনালে আছে ৮টি বোর্ডিং ব্রিজ আছে। তৃতীয় টার্মিনালে প্রথম পর্যায়ে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে। পরবর্তী সময়ে আরেকটি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আরও ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ যুক্ত করা হবে।
তৃতীয় টার্মিনালে ৪১টি লিফট থাকবে। এর মধ্যে ৩৪টি প্যাসেঞ্জার লিফট ও ৭টি সার্ভিস লিফট। এছাড়া এস্কেলেটের ৩৫টি, মুভিং ওয়াকওয়ে ১৪টি, ২৭টি হোল্ড ব্যাগেজ এক্সরে মেশিন, ৪০টি কেবিন ব্যাগেজ এক্সরে মেশিন, ১১টি বডি স্ক্যানার ও ৫২টি মেটাল ডিটেক্টর।
বর্তমানে দুটি টার্মিনালে ২১টি উড়োজাহাজ পার্কিং বে যুক্ত থাকলেও তৃতীয় টার্মিনালে পার্কিং বে রয়েছে ৩৭টি। এছাড়া বর্তমানে বহুতল কার পার্কিং ভবনে ৩০০টি গাড়ি রাখা গেলেও মাল্টি লেভেল কার পার্কের জন্য ধারণ ক্ষমতা তৃতীয় টার্মিনালের ১ হাজার ২৩০টি রাখা যাবে।
বর্তমানের দুটি টার্মিনালের সঙ্গে তৃতীয় টার্মিনালের কোনো সংযোগ থাকবে না। তবে পরবর্তী সময়ে প্রকল্পে করিডোর নির্মাণ করা হবে। বর্তমান কার্গো ভবনের আয়তন ১৩ হাজার ৭০০ বর্গমিটার। নতুন টার্মিনালের ভবনের আয়তন ২৭ হাজার বর্গমিটার। বর্তমান ভবনের ধারণ ক্ষমতা বছরে ৮৪ হাজার ৩৭৯ টন। নতুন ভবনের ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭০ টন। বিদ্যমান ভবনের আয়তন ১৯ হাজার ৬০০ বর্গমিটার। নতুন ভবনের আয়তন ৩৬ হাজার বর্গমিটার। বর্তমানে বছরে ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ৪৬০ টন। নতুন ভবনে ধারণ ক্ষমতা ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪১ টন।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের সঙ্গে মূল সড়ক ছাড়াও এলিভেটেড ড্রাইভওয়ের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেলের একটি স্টেশন মাটির নিচে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মেট্রোরেল স্টেশনের সংযোগের জন্য টানেল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৩
অপরূপ নির্মাণশৈলীর দৃষ্টিনন্দন শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের একটি অংশের যাত্রা শুরু হলো। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার আকাশপথে সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচিত হলো। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টার্মিনালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ওইদিন সকালে তিনি প্রথমে নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। এ সময় বাংলাদেশ বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান নতুন এই টার্মিনালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ঘুরিয়ে দেখান। এ সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এখানে যাত্রীদের জন্য ই-গেট, হাতের স্পর্শ ছাড়া চেকিং, নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করাসহ অত্যাধুনিক সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া সুপরিসর অ্যাপ্রোন, বিশাল গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত লাগেজ বেল্ট যাত্রীদের দেবে নতুন অভিজ্ঞতা। তবে এসব সেবা পাওয়া যাবে ২০২৪ সালের শেষ দিকে। এখন তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করা হলেও যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক অনেক কাজ বাকি, যা শেষ করতে আরও এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।
নতুন টার্মিনালের ৯০ শতাংশ কাজ সফট লঞ্চিংয়ের (পেলব উদ্বোধন) জন্য সম্পন্ন হয়েছে এবং শনিবার থেকে এয়ারলাইন্সগুলো টার্মিনালের নতুন পার্কিং বে ব্যবহার করতে পারবে। সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং ক্যালিবারেশন তৃতীয় টার্মিনালটি আগামী বছরের শেষে যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ চালু হবে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন টার্মিনালটি বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা এবং যাত্রী পরিষেবা দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি পালটে দেবে। পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলোসহ থার্ড টার্মিনালের ফ্লোর এবং সিলিংয়ে নজরকাড়া প্যাটার্নের বৈশিষ্ট্যগুলো খুবই পরিশীলিত। তৃতীয় টার্মিনালটি একটি মাল্টিমোডাল পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ এবং প্রস্থান করতে সক্ষম হয়। নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) এবং একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এছাড়া আশকোনা হজক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের মাধ্যমে হজযাত্রীরা তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।
তৃতীয় টার্মিনালটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের অধীনে একটি জাপানি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের আগে বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্স ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে চায়, যা দেশের এভিয়েশন সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তৃতীয় টার্মিনালটি তিন তলা বিশিষ্ট। তার প্রথম তলায় ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং সিস্টেম, ভিভিআইপি, ভিআইপি ইত্যাদি।
দ্বিতীয় তলায় বহির্গমন লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, বোর্ডিং ব্রিজ। তৃতীয় তলায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, বিদেশগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, চেক ইন কাউন্টার, সিকিউরিটি সিস্টেম ইত্যাদি।
তৃতীয় টার্মিনালে ভিভিআইপি ও ভিআইপি যাত্রীদের জন্য আলাদা করে বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকবে। টার্মিনালের দক্ষিণ প্রান্তে ৩ হাজার ৬৫০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে রয়েছে এই আয়োজন। নব নির্মিত টার্মিনালের আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। বর্তমান দুটি টার্মিনালের আয়তন এক লাখ বর্গমিটার। এখানে ট্রানজিট যাত্রীরা প্রধান বহির্গমন লাউঞ্জ ব্যবহার করবে, যার আয়তন ৪০ হাজার বর্গমিটার।
তৃতীয় টার্মিনালের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা বছরে এক কোটি ৬০ লাখ। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে বছরে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ। আগমনী যাত্রীদের জন্য লাগেজ বেল্ট থাকবে ১৬টি। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে লাগেজ বেল্ট আছে ৮টি। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য ১ হাজার ৩০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি কাস্টম হল থাকবে। সেখানে ৬টি চ্যানেল থাকবে।
তৃতীয় টার্মিনালে চেক ইন কাউন্টার থাকবে ১১৫টি, এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ১৫টি। তৃতীয় টার্মিনালে ইমেগ্রেশন কাউন্টার মোট ১২৮টি। এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ১৫টি। মোট ১২৮টি কাউন্টারের মধ্যে বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৬৬টি, আগমনী ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৫৯টি এবং ভিভিআইপি ৩টি।
বর্তমান দুটি টার্মিনালে আছে ৮টি বোর্ডিং ব্রিজ আছে। তৃতীয় টার্মিনালে প্রথম পর্যায়ে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে। পরবর্তী সময়ে আরেকটি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আরও ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ যুক্ত করা হবে।
তৃতীয় টার্মিনালে ৪১টি লিফট থাকবে। এর মধ্যে ৩৪টি প্যাসেঞ্জার লিফট ও ৭টি সার্ভিস লিফট। এছাড়া এস্কেলেটের ৩৫টি, মুভিং ওয়াকওয়ে ১৪টি, ২৭টি হোল্ড ব্যাগেজ এক্সরে মেশিন, ৪০টি কেবিন ব্যাগেজ এক্সরে মেশিন, ১১টি বডি স্ক্যানার ও ৫২টি মেটাল ডিটেক্টর।
বর্তমানে দুটি টার্মিনালে ২১টি উড়োজাহাজ পার্কিং বে যুক্ত থাকলেও তৃতীয় টার্মিনালে পার্কিং বে রয়েছে ৩৭টি। এছাড়া বর্তমানে বহুতল কার পার্কিং ভবনে ৩০০টি গাড়ি রাখা গেলেও মাল্টি লেভেল কার পার্কের জন্য ধারণ ক্ষমতা তৃতীয় টার্মিনালের ১ হাজার ২৩০টি রাখা যাবে।
বর্তমানের দুটি টার্মিনালের সঙ্গে তৃতীয় টার্মিনালের কোনো সংযোগ থাকবে না। তবে পরবর্তী সময়ে প্রকল্পে করিডোর নির্মাণ করা হবে। বর্তমান কার্গো ভবনের আয়তন ১৩ হাজার ৭০০ বর্গমিটার। নতুন টার্মিনালের ভবনের আয়তন ২৭ হাজার বর্গমিটার। বর্তমান ভবনের ধারণ ক্ষমতা বছরে ৮৪ হাজার ৩৭৯ টন। নতুন ভবনের ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭০ টন। বিদ্যমান ভবনের আয়তন ১৯ হাজার ৬০০ বর্গমিটার। নতুন ভবনের আয়তন ৩৬ হাজার বর্গমিটার। বর্তমানে বছরে ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ৪৬০ টন। নতুন ভবনে ধারণ ক্ষমতা ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪১ টন।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের সঙ্গে মূল সড়ক ছাড়াও এলিভেটেড ড্রাইভওয়ের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেলের একটি স্টেশন মাটির নিচে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মেট্রোরেল স্টেশনের সংযোগের জন্য টানেল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।