alt

যদি আগুন-সন্ত্রাসী বেশি হয় তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে

জেলা বার্তা পরিবেশক, গোপালগঞ্জ : শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

https://sangbad.net.bd/images/2023/December/08Dec23/news/aaaaaaaaaaa.jpg

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।

https://sangbad.net.bd/images/2023/December/08Dec23/news/pic-2.jpg

নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফর করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়িতে পতাকা উড়েনি -সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিতে যাবে তাদেরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। ‘প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুন-সন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের প্রতিহত করে আগুনেই ফেলে দিতে হবে।’

শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে আবার টুঙ্গিপাড়ায় ফিরে যান।

বিএনপি কীভাবে নির্বাচন করবে প্রশ্ন তুলে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির নেতা কে? তাদের কোনো নেতা নেই। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না, এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে।

‘এক সময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উসকানি আছে যে, নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে।’

নির্বাচন করতে না পেরে বিএনপি মার্চ মাসের দিকে দেশে ‘দুর্ভিক্ষ ঘটানোর’ পরিকল্পনা করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা আছে। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচনকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছি। আমরা আইন পাস করে এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। এটাকে স্থায়ী রূপ দেয়াটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার ছেলে মুচলেকা দিয়ে চলে গেল লন্ডন। বলল, আর জীবনে রাজনীতি করব না। এখন ওখানে বসে হুকুম দিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে। জিয়াউর রহমান যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর অফিসার, সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, ঠিক একইভাবে জিয়ার বউ ক্ষমতায় এসে আমাদের আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের হত্যা করে। আর তার ছেলেও এখন একই কাজ করছে। জিয়া পরিবার পুরোটাই একটি খুনি পরিবার। নিজেরা ক্ষমতায় থেকে সমানে অর্থ বানিয়েছে, সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এরা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। এটাই তাদের চরিত্র। তারা মানুষ খুন আর দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই চায় না। বিএনপি-জামায়াত বোধ হয় ইসরায়েলিদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে চলে।

তিনি বলেন, পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে মারলো, মারতে মারতে যখন সে বেহুশ হয়ে গেছে তখন তার মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দিয়ে মাথায় কোপালো। এরা হচ্ছে বিএনপি নেতা। আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। পুলিশ হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পোড়ানো হলো। সেখানে পুলিশদেরও আহত করা হলো। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা হলো। এই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র। তাদের ওপর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস থাকবে কীভাবে? এদের আন্দোলন মানেই জ্বালাও-পোড়াও। এদের শিক্ষাটা বোধ হয় ইসরাইলের কাছ থেকে নেয়া। ইসরাইলিরা হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে নারী-শিশু ও রোগীদের আহত করেছে। সেখানেও কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের ওপর আক্রমণ হয়েছে। ছোট ছোট শিশুসহ যেভাবে মানুষ হত্যা করছে। সেখানে লাশের সারি বয়ে যাচ্ছে। জামায়াত-বিএনপি বোধহয় ওদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে চলে। এখন তারা আউটসোর্সিং আন্দোলন শুরু করেছে। কিছু মাদকাসক্ত ও সমাজের অবাধ্য লোকজন দিয়ে তাদের হাতে টাকা দিয়ে আগুন-সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আবার এক যুবদল নেতা সরাসরি বাসে আগুন দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। অনেক স্থানে জনগণও এসব সন্ত্রাসীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। তারপরও এদের লজ্জা হয় না। শুক্রবার ও পরশু চালবোঝাই গাড়িতে আগুন দিয়েছে। দেশের মানুষ যে খাবার খাচ্ছে তা ওদের পছন্দ হচ্ছে না। ঠিক পাকিস্তানিরা এভাবে ঘোলা ভরা ধান পুড়িয়ে দিয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ায় আমাদের বাড়িও আগুন দিয়ে পুড়িয়েছিল। জামায়াত-বিএনপির রাজনৈতিক শিক্ষা ওই সমস্ত জায়গা থেকে হয়েছে। এরা মানুষের জন্য কিছু করতে চায় না।

নিজের শাসনামলের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা দেশের অনেক উন্নয়ন করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আমরা দেশটি যেখানে রেখে গিয়েছিলাম সেখান থেকে আবার পিছিয়ে পড়েছিল। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কমে গিয়েছিল, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গিয়েছিল। একে একে সবকিছু আবার পেছন দিকে চলে গিয়েছিল। আমাদের ছিল ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আর সে আন্দোলনে আমরা সফল হয়েছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি মূল শক্তি ও সাহস হচ্ছে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়াবাসী। আর বাংলাদেশের জনগণ তো আছেই। এজন্য আমি সর্বক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আপনারা আমার নির্বচনী এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই আমি সারাদেশের কথা ভাবতে পারছি। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনারা আমাকে প্রার্থী করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোট চাওয়া যায় না। নির্বাচনী একটি শৃঙ্খলা আছে। আমাদের সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে অঙ্গীকার ইউনূসের

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি : মাইকেল মিলার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

ছবি

সেপ্টেম্বরের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ছবি

দ্বিমতের কোনো জায়গা নাই, এই সুযোগ আর আসবে না: ইউনূস

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত সময়ের আগেই

ছবি

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোতে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাত: ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিদ্ধান্ত

ছবি

টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি: দেড় মাসে নিবন্ধন প্রায় ৮৯ লাখ শিশু

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যোগদান

ছবি

মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

আসামের ভূমিকম্পে কাঁপলো বাংলাদেশ

ছবি

নারীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২০ বছর করার ভাবনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সাগরে লঘুচাপ, ছয় বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই: উপদেষ্টা

ছবি

মরমী সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭ হাজার ছাড়াল, চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ১৪৭

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিআইজি ও মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম কারাগারে

ছবি

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশে নতুন নিয়ম

ছবি

লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজের গাড়িতে ছুঁড়ে মারা হলে ডিম

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ছবি

কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি সেবা চালু

ছবি

পল্লী বিদ্যুতের ‘গণছুটি’ কর্মসূচি স্থগিত, কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান

ছবি

ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন, এটি আমাদের কমিটমেন্ট: প্রেস সচিব

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের

ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ধর্ম উপদেষ্টার

ছবি

বিদিশার গাড়ি চুরি মামলার আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

ছবি

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়লো

ছবি

ঐকমত্য ছাড়াই ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শেষ

ছবি

৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল: চিকিৎসক নিয়োগে সুপারিশ পেলেন ৩,১২০ জন

ছবি

নেপালে মারধর ও লুটের শিকার এক বাংলাদেশি পরিবার

tab

news » national

যদি আগুন-সন্ত্রাসী বেশি হয় তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে

জেলা বার্তা পরিবেশক, গোপালগঞ্জ

শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

https://sangbad.net.bd/images/2023/December/08Dec23/news/aaaaaaaaaaa.jpg

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।

https://sangbad.net.bd/images/2023/December/08Dec23/news/pic-2.jpg

নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফর করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়িতে পতাকা উড়েনি -সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিতে যাবে তাদেরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। ‘প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুন-সন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের প্রতিহত করে আগুনেই ফেলে দিতে হবে।’

শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে আবার টুঙ্গিপাড়ায় ফিরে যান।

বিএনপি কীভাবে নির্বাচন করবে প্রশ্ন তুলে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির নেতা কে? তাদের কোনো নেতা নেই। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না, এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে।

‘এক সময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উসকানি আছে যে, নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে।’

নির্বাচন করতে না পেরে বিএনপি মার্চ মাসের দিকে দেশে ‘দুর্ভিক্ষ ঘটানোর’ পরিকল্পনা করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা আছে। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচনকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছি। আমরা আইন পাস করে এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। এটাকে স্থায়ী রূপ দেয়াটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার ছেলে মুচলেকা দিয়ে চলে গেল লন্ডন। বলল, আর জীবনে রাজনীতি করব না। এখন ওখানে বসে হুকুম দিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে। জিয়াউর রহমান যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর অফিসার, সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, ঠিক একইভাবে জিয়ার বউ ক্ষমতায় এসে আমাদের আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের হত্যা করে। আর তার ছেলেও এখন একই কাজ করছে। জিয়া পরিবার পুরোটাই একটি খুনি পরিবার। নিজেরা ক্ষমতায় থেকে সমানে অর্থ বানিয়েছে, সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এরা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। এটাই তাদের চরিত্র। তারা মানুষ খুন আর দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই চায় না। বিএনপি-জামায়াত বোধ হয় ইসরায়েলিদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে চলে।

তিনি বলেন, পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে মারলো, মারতে মারতে যখন সে বেহুশ হয়ে গেছে তখন তার মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দিয়ে মাথায় কোপালো। এরা হচ্ছে বিএনপি নেতা। আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। পুলিশ হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পোড়ানো হলো। সেখানে পুলিশদেরও আহত করা হলো। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা হলো। এই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র। তাদের ওপর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস থাকবে কীভাবে? এদের আন্দোলন মানেই জ্বালাও-পোড়াও। এদের শিক্ষাটা বোধ হয় ইসরাইলের কাছ থেকে নেয়া। ইসরাইলিরা হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে নারী-শিশু ও রোগীদের আহত করেছে। সেখানেও কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের ওপর আক্রমণ হয়েছে। ছোট ছোট শিশুসহ যেভাবে মানুষ হত্যা করছে। সেখানে লাশের সারি বয়ে যাচ্ছে। জামায়াত-বিএনপি বোধহয় ওদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে চলে। এখন তারা আউটসোর্সিং আন্দোলন শুরু করেছে। কিছু মাদকাসক্ত ও সমাজের অবাধ্য লোকজন দিয়ে তাদের হাতে টাকা দিয়ে আগুন-সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আবার এক যুবদল নেতা সরাসরি বাসে আগুন দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। অনেক স্থানে জনগণও এসব সন্ত্রাসীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। তারপরও এদের লজ্জা হয় না। শুক্রবার ও পরশু চালবোঝাই গাড়িতে আগুন দিয়েছে। দেশের মানুষ যে খাবার খাচ্ছে তা ওদের পছন্দ হচ্ছে না। ঠিক পাকিস্তানিরা এভাবে ঘোলা ভরা ধান পুড়িয়ে দিয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ায় আমাদের বাড়িও আগুন দিয়ে পুড়িয়েছিল। জামায়াত-বিএনপির রাজনৈতিক শিক্ষা ওই সমস্ত জায়গা থেকে হয়েছে। এরা মানুষের জন্য কিছু করতে চায় না।

নিজের শাসনামলের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা দেশের অনেক উন্নয়ন করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আমরা দেশটি যেখানে রেখে গিয়েছিলাম সেখান থেকে আবার পিছিয়ে পড়েছিল। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কমে গিয়েছিল, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গিয়েছিল। একে একে সবকিছু আবার পেছন দিকে চলে গিয়েছিল। আমাদের ছিল ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আর সে আন্দোলনে আমরা সফল হয়েছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি মূল শক্তি ও সাহস হচ্ছে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়াবাসী। আর বাংলাদেশের জনগণ তো আছেই। এজন্য আমি সর্বক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আপনারা আমার নির্বচনী এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই আমি সারাদেশের কথা ভাবতে পারছি। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনারা আমাকে প্রার্থী করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোট চাওয়া যায় না। নির্বাচনী একটি শৃঙ্খলা আছে। আমাদের সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

back to top