ডেটাফুল
১.
দেশে বিবাহিত নারীদের ৭২.৭ শতাংশ সহিংসতার কথা গোপন রাখেন। তারা স্বামীর হাতে শারীরিক/যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার কথা কখনোই অন্যদের জানাননি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের সর্বশেষ নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক জরিপ (ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন সার্ভে ২০১৫) অনুযায়ী, গ্রামে ৭২.৫% বিবাহিত নারী স্বামীর সহিংসতার কথা কাউকে জানান না।
স্বামীর সহিংসতার কথা না জানানোর চিত্র নগরেও প্রায় একই। নগরের ৭৩.৪% বিবাহিত নারীই গোপন করেন তাদের স্বামী কর্তৃক সহিংসতার কথা।
বিভাগওয়ারি ডেটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সহিংসতার কথা না জানানোর হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে (৭৫.৯%), কম সিলেটে (৬৯.২%)।
২.
স্বামীর কাছে সহিংসতার শিকার হওয়ার কথা নারীরা জানান মূলত মা-বাবা ও শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে।
সামগ্রিকভাবে ১৬.৬% নারী স্বামী হাতে শারীরিক/যৌন সহিংসতার কথা জানান তার মা-বাবাকে। ১০ শতাংশ বিবাহিত নারী জানান তাদের শ্বশুর-শাশুড়িকে।
বিভাগওয়ারি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, স্বামী কর্তৃক শারীরিক/যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার কথা মা-বাবাকে সবচেয়ে বেশি জানান সিলেটের (২০.৫%) নারীরা। মা-বাবাকে সবচেয়ে কম জানান বরিশাল বিভাগের নারীরা (১৩.২%)।
সহিংসতার কথা শ্বশুর-শাশুড়িকে সবচেয়ে বেশি জানান ঢাকা বিভাগের (১১.৩%) নারীরা। কম জানান চট্টগ্রাম বিভাগের (৮%) নারীরা।
৩.
দেশে সামগ্রিকভাবে স্বামীর হাতে শারীরিক/যৌন সহিংসতার শিকার হন শতকরা ৫৪ জন নারী। শুধু গ্রামাঞ্চলের বিবেচনায় এই হার প্রায় ৫৭%, নগরাঞ্চলে তা পঞ্চাশের কম (৪৬.৫%)।
সামগ্রিকভাবে বিবাহিত নারীদের অন্তত এক-চতুর্থাংশই জীবদ্দশায় কখনো না কখনো স্বামীর কাছে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এ ধরণের সহিংসতার হার (১৪.৪%) সবচেয়ে কম।
বিবাহিত নারীদের প্রায় অর্ধেকই কখনো না কখনো স্বামীর হাতে শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। শারীরিক সহিংসতার ক্ষেত্রেও সিটি কর্পোরেশন এলাকার নারীরা কিছুটা নিরাপদ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১
ডেটাফুল
১.
দেশে বিবাহিত নারীদের ৭২.৭ শতাংশ সহিংসতার কথা গোপন রাখেন। তারা স্বামীর হাতে শারীরিক/যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার কথা কখনোই অন্যদের জানাননি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের সর্বশেষ নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক জরিপ (ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন সার্ভে ২০১৫) অনুযায়ী, গ্রামে ৭২.৫% বিবাহিত নারী স্বামীর সহিংসতার কথা কাউকে জানান না।
স্বামীর সহিংসতার কথা না জানানোর চিত্র নগরেও প্রায় একই। নগরের ৭৩.৪% বিবাহিত নারীই গোপন করেন তাদের স্বামী কর্তৃক সহিংসতার কথা।
বিভাগওয়ারি ডেটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সহিংসতার কথা না জানানোর হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে (৭৫.৯%), কম সিলেটে (৬৯.২%)।
২.
স্বামীর কাছে সহিংসতার শিকার হওয়ার কথা নারীরা জানান মূলত মা-বাবা ও শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে।
সামগ্রিকভাবে ১৬.৬% নারী স্বামী হাতে শারীরিক/যৌন সহিংসতার কথা জানান তার মা-বাবাকে। ১০ শতাংশ বিবাহিত নারী জানান তাদের শ্বশুর-শাশুড়িকে।
বিভাগওয়ারি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, স্বামী কর্তৃক শারীরিক/যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার কথা মা-বাবাকে সবচেয়ে বেশি জানান সিলেটের (২০.৫%) নারীরা। মা-বাবাকে সবচেয়ে কম জানান বরিশাল বিভাগের নারীরা (১৩.২%)।
সহিংসতার কথা শ্বশুর-শাশুড়িকে সবচেয়ে বেশি জানান ঢাকা বিভাগের (১১.৩%) নারীরা। কম জানান চট্টগ্রাম বিভাগের (৮%) নারীরা।
৩.
দেশে সামগ্রিকভাবে স্বামীর হাতে শারীরিক/যৌন সহিংসতার শিকার হন শতকরা ৫৪ জন নারী। শুধু গ্রামাঞ্চলের বিবেচনায় এই হার প্রায় ৫৭%, নগরাঞ্চলে তা পঞ্চাশের কম (৪৬.৫%)।
সামগ্রিকভাবে বিবাহিত নারীদের অন্তত এক-চতুর্থাংশই জীবদ্দশায় কখনো না কখনো স্বামীর কাছে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এ ধরণের সহিংসতার হার (১৪.৪%) সবচেয়ে কম।
বিবাহিত নারীদের প্রায় অর্ধেকই কখনো না কখনো স্বামীর হাতে শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। শারীরিক সহিংসতার ক্ষেত্রেও সিটি কর্পোরেশন এলাকার নারীরা কিছুটা নিরাপদ।