alt

সেমিনারে ভারতীয় অধ্যাপক

গণতন্ত্রের দুর্বলতার কারণে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশ, নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়নি। গণতন্ত্রের দুর্বলতার কারণেই বাইরের শক্তিগুলো এখানকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ সোমবার ঢাকায় এক সেমিনারে এ কথা বলেছেন।

রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে এই সেমিনার হয়। সেখানে মূল বক্তা হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌফিক এম হক। সেমিনারে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে—এমন অভিমত দিয়ে সেমিনারে উপস্থিত একজন এ বিষয়ে অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদ্বাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে ভারতীয় এই অধ্যাপক বলেন, ‘বাংলাদেশ বা নেপালের যেখানেই যাই না কেন, শুধু শুনতে পাই ওই দেশ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, সেই দেশ ক্ষমতায় আনতে এদেরকে সহযোগিতা করছে। আমি ২০০১ সালে এটিও শুনেছি যে বিএনপিকে ভারত সহযোগিতা করেছিল। যদিও এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’

অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদ্বাজ বলেন, বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই দুর্বল বলে বাইরের শক্তিগুলো হস্তক্ষেপ করে। কারণ, গণতন্ত্রের প্রতি কেউ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে না। এমনকি ভারতেও এই পরিস্থিতি চলছে। গণতন্ত্রের দুর্বলতার কারণে এটা ঘটছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ অঞ্চলে বাইরের শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে অধ্যাপক সঞ্জয় বলেন, ভারত–পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের সমাধান করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। বরং দেশটি আফগানিস্তান সংকট সৃষ্টি করেছে। বাইরের শক্তিগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কোনোভাবেই সহযোগিতা করবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঔপনিবেশিক মানসিকতার কারণে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদ্বাজ। সীমান্ত হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে সীমান্তে কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি শোনেনি।

তবে বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর কথা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন সীমান্ত হত্যার বিষয়টি আপনারা ভারতের কাছে তুলে ধরেন না? উত্তরে একজন বলেছিলেন যে সীমান্তে যতজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগ মধ্যরাতে হয়েছে। এখন বলেন, কোন কারণে মধ্যরাতে মানুষ সীমান্তে যায়?’

দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ঘাটতির কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন অধ্যাপক সঞ্জয়। তিনি বলেন, দুই দেশের সরকার ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটছে।

ছবি

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি

দলগুলো না পারলে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব

কার্যকর দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধতার বিকল্প নেই: টিআইবি

নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা: নতুন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আপত্তি আছে কিনা, জানাতে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি

ছবি

৪ দিনের সফরে চট্টগ্রামে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত: রাজনাথ সিং

ছবি

ইতিহাসের গভীর বোধ ছাড়া কোনো সংস্কারক প্রজ্ঞাবান হতে পারেন না: প্রধান বিচারপতি

ছবি

প্রধান বিচারপতি: বিচার বিভাগকে সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক রাখতে হলে সংস্কার অপরিহার্য

ছবি

রাজশাহীতে নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়িয়ে গেলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

ছবি

নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা স্বৈরাচারের দোসর : শফিকুল আলম

সাঁওতাল হত্যা দিবস: তিন হত্যার বিচার দাবি, সাঁওতালদের বিক্ষোভ

ছবি

আধুনিক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা ব্যাপক অবদান রাখছেন: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া ভোট করা যায় না, আমাদের ভাবতে হয়: আসিফ

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় নিয়ে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন: কমিশনের প্রতিবাদ

ছবি

ইসি শতভাগ প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব: মাছউদ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন: প্রেস সচিব

ছবি

আইআরআইয়ের প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচনী পরিবেশ এখনও নাজুক

ছবি

মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলেন সেতু বিভাগের সচিব

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দেয়া হয়েছিল দাবি অ্যাটর্নি জেনারেলের

হালদা নদীকে মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: দলগুলোকে দায়িত্ব দেয়ার চার দিনেও অগ্রগতি নেই

ছবি

শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে বড় বাধা দুর্বল আইন, শক্তিশালীকরণের দাবি

ছবি

ইন্টারনেট বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, বিলুপ্ত হচ্ছে এনটিএমসি

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ জন

ছবি

আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনও কাজ হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

জুলাইযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

ছবি

সাবেক বিচারপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১,০৬৯ জন

জামিনে মুক্তি পাওয়া আ’লীগ নেতারা অপরাধে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

ছবি

তদন্ত প্রতিবেদন: পাইলটের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়

ছবি

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার আগ্রহ আয়ারল্যান্ডের

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আশা সেনাবাহিনীর

ছবি

অগ্নিঝুঁকিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যাগার, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে, সেনাবাহিনী ফিরবে ব্যারাকে: জিওসি মাইনুর রহমান

ছবি

নিষিদ্ধ দলের মিছিলের চেষ্টা করলে আইনের কঠোর প্রয়োগ: প্রেস সচিব

tab

সেমিনারে ভারতীয় অধ্যাপক

গণতন্ত্রের দুর্বলতার কারণে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশ, নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়নি। গণতন্ত্রের দুর্বলতার কারণেই বাইরের শক্তিগুলো এখানকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ সোমবার ঢাকায় এক সেমিনারে এ কথা বলেছেন।

রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে এই সেমিনার হয়। সেখানে মূল বক্তা হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌফিক এম হক। সেমিনারে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে—এমন অভিমত দিয়ে সেমিনারে উপস্থিত একজন এ বিষয়ে অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদ্বাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে ভারতীয় এই অধ্যাপক বলেন, ‘বাংলাদেশ বা নেপালের যেখানেই যাই না কেন, শুধু শুনতে পাই ওই দেশ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, সেই দেশ ক্ষমতায় আনতে এদেরকে সহযোগিতা করছে। আমি ২০০১ সালে এটিও শুনেছি যে বিএনপিকে ভারত সহযোগিতা করেছিল। যদিও এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’

অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদ্বাজ বলেন, বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই দুর্বল বলে বাইরের শক্তিগুলো হস্তক্ষেপ করে। কারণ, গণতন্ত্রের প্রতি কেউ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে না। এমনকি ভারতেও এই পরিস্থিতি চলছে। গণতন্ত্রের দুর্বলতার কারণে এটা ঘটছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ অঞ্চলে বাইরের শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে অধ্যাপক সঞ্জয় বলেন, ভারত–পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের সমাধান করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। বরং দেশটি আফগানিস্তান সংকট সৃষ্টি করেছে। বাইরের শক্তিগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কোনোভাবেই সহযোগিতা করবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঔপনিবেশিক মানসিকতার কারণে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদ্বাজ। সীমান্ত হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে সীমান্তে কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি শোনেনি।

তবে বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর কথা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন সীমান্ত হত্যার বিষয়টি আপনারা ভারতের কাছে তুলে ধরেন না? উত্তরে একজন বলেছিলেন যে সীমান্তে যতজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগ মধ্যরাতে হয়েছে। এখন বলেন, কোন কারণে মধ্যরাতে মানুষ সীমান্তে যায়?’

দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ঘাটতির কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন অধ্যাপক সঞ্জয়। তিনি বলেন, দুই দেশের সরকার ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটছে।

back to top