নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

দেশের অর্থনীতি রক্ষায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে : সিইসি

image

দেশের অর্থনীতি রক্ষায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে : সিইসি

সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা একটি ফ্রি ফেয়ার ও ক্রেডিবল ইলেকশন চাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো আমাদের নির্বাচনে বাইরে থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে। এজন্য আমাদের ভবিষ্যৎ ও অর্থনীতি রক্ষা করতে হলে নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রথমদিন ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।

সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ সার্বভৌম নয়। আমাদের যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র কমেন্ট করতে পারে, আমরা কিন্তু ওয়াশিংটনে গিয়ে হুমকি-ধামকি দিতে পারছি না। তবে আমাকে বাঁচাতে হলে, সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে, গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচাতে হলে যে দাবিটা আমাদের বা বাইরের— ওরা (বিদেশি) খুব বেশি দাবি করেনি। তাদের (বিদেশিদের) একটাই দাবি বাংলাদেশের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে নিয়ে দেশে যে বিতর্ক হচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনে আমরা অবিতর্কিত ফলাফল দেখতে চাই। সব এজেন্ট যেন ফলাফল গ্রহণ করেন।

সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালনে সততা এবং সাহসিকতা যেন থাকে। বাংলাদেশ একটা প্রজাতন্ত্র। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশ কখনও প্রজাতন্ত্র হতে পারে না। প্রজাতন্ত্র মানেই জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা শাসন পদ্ধতি। একনায়কতন্ত্র ও রাজতন্ত্র খুব একটা খারাপতন্ত্র আমরা বলছি না। তবে প্রজাতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা সব থেকে জনপ্রিয়।

গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে যদি রাখতে হয় তাহলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত। নির্বাচনের ফেয়ারনেসকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভক্ত হয়ে গেছে, এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সেই জন্য বলা হয়, ইলেকশন ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল বিশ্বাসযোগ্য জিনিস এটা চোখে দেখা যায় না। তারপরও এটাকে বলা হয় পাবলিক পারসেপশন। নির্বাচন ক্রেডিবল ও ফ্রি হয়েছে কি না ওটা পাবলিক পারসেপশন; এটার কোনো মানদণ্ড নেই। জনগণকে বলতে হবে, নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» ‘সঞ্জীবন প্রকল্পে’ উৎপাদনমুখী সামাজিক বিনিয়োগ আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধিতে মাইলফলক: আনসার প্রধান

» সিইসির আগামীকালের ভাষণ রেকর্ডের প্রস্তুতি নিতে নির্বাচন কমিশনের চিঠি

» প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ২ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়ালো

» বেগম রোকেয়া দিবস

» কিছু ব্যবসায়ী ও আমলা নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাধা: জ্বালানি উপদেষ্টা

» ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ৯৮ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ৩৯৮ জন

» খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা অনিশ্চিত

» কারাগারে শওকত মাহমুদ, রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবার

» বেক্সিমকো এভিয়েশনের সালমান ও সোহেলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

» রোজা ও পূজা বিতর্ক : শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা

» মার্কিন নাগরিকের মামলায় শওকত মাহমুদ গ্রেপ্তার

» ডেঙ্গু: আরও ৫১৬ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ২

» খাদ্যদূষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ, সংকট মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান

» ‘মিনেসোটা প্রটোকল’ মেনেই জুলাই শহীদদের শনাক্ত করা হবে: সিআইডি

» দুর্নীতি আছে, দখল-চাঁদাবাজিও চলছে, সরকারের অভ্যন্তরেও দুর্নীতি হয়েছে

» প্রান্তিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী মারাত্মক বৈষম্যের শিকার

» গুম: ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন নিয়ে আসামিপক্ষের শুনানি কাল

» বিদেশে নেয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

» ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের জন্য ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ ইসি, ‘সন্তুষ্ট’ প্রধান উপদেষ্টা

» বাংলাদেশে আমরা ভিন্ন মতকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই-উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান