alt

হাওরে কৃষি সম্প্রসারণে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি’

শাফিউল আল ইমরান : বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বর্ষায় জলমগ্নতা, শীতে ফেটে চৌচির। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইদানীং আগাম দেখা দিচ্ছে বন্যা, খরা। ২০২২ সালের আকস্মিক বন্যায় নষ্ট হয় ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকার ফসল।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে বিস্তৃত হাওরাঞ্চলের এসব সমস্যা সমাধানে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্টের (ফ্রিপ) প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। সম্প্রতি প্রকল্পটির অর্থছাড় হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হবে। ইতোমধ্যেই সেই সুফল পেতে চলছে হাওরের কৃষকরা।

প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে। এর আওতায় পতিত জমি চাষের আওতায় আনা, পানি ও শক্তি সাশ্রয়ী সেচ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, খামার যান্ত্রিকীকরণ জোরদারকরণ, বাণিজ্যিক কৃষির সম্প্রসারণ, উচ্চমূল্য ফসল চাষ, শস্য বৈচিত্র্যকরণ, বন্যা সহনশীল, স্বল্প জীবনকালীন অধিক ফলনশীল ফসলের জাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া ‘জলবায়ু স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির’ মাধ্যমে বন্যাসহিষ্ণু ফসল উৎপাদন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও আধুনিক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসলের শস্য নিবিড়তা বাড়ানো হচ্ছে। কৃষক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং ডিএই-এর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিও এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে প্রায় ২ লাখ কৃষক সরাসরি সম্পৃক্ত হবেন। এর মধ্যে দেড় লাখ কৃষক নিয়ে ৪৯৫০টি কৃষক গ্রুপ গঠন করা হবে। এছাড়া, কৃষকের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ ও কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

প্রকল্পের আওতায় অনাবাদি ও পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতে এলএলপি (থ্রেড পাইপসহ), ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম স্থাপন, বারিড পাইপ স্থাপন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ সিস্টেম স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় এগ্রিকালচার মাল্টিপারপাস সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কৃষি পণ্য বিপণনে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান এবং বন্যার আপদকালীন সময়ে কৃষি পণ্য সংরক্ষণের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।

প্রকল্প এলাকায় কৃষিতে শ্রমিক সংকট দূর কারা, উৎপাদন খরচ কমানো, সময়মত ফসল লাগানো ও কাটার জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণের প্রকল্প এলাকায় গঠিত কৃষক গ্রুপের মাঝে গার্ডেন টিলার, ড্রায়ার, পাওয়ার থ্রেসার ইত্যাদি কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকিমূল্যে কৃষকদের দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি

প্রকল্প এলাকায় জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ভাসমান বেডে সবজি চাষ, বিনা চাষে রসুন চাষ, বস্তায় সবজি চাষ, এডব্লিউডি, বসতবাড়িতে ফল ও সবজি চাষ, কমিউনিটি গার্ডেনিং, সিড ভিলেজ, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় ভার্মি কম্পোস্ট ইত্যাদি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে। সেই সঙ্গে আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষার জন্য বন্যাসহিষ্ণু এবং স্বল্প জীবনকালীন অধিক ফলনশীল ধানের জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ ডাল, তেল, মসলা, ফল ও সবজি চাষের মাধ্যমে শস্য ‘বৈচিত্র্যকরণ’ করা প্রকল্পের অন্যতম দিক। প্রকল্পটি হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকার ৪ বিভাগের ৭ জেলার ৬৫টি উপজেলার পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওড় অঞ্চলের কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে এবং টেকসই জীবিকায়ন নিশ্চিত হবে, প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

ফ্রিপ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ড. তৌফিকুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেই সঙ্গে কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কৃষিজমির হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রমহ্রাসমান জমির উর্বরতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ফ্রিপ প্রকল্পটি গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত সর্বশেষ টেকসই জাত ও ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।’

ফ্রিপ প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাস সংবাদকে বলেন, ‘উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের ফলে খাদ্যশস্য, সবজি ও ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে এবং ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।’

‘প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল বিভিন্ন ফসল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাওড় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার মানের উন্নয়নের সূচনা হয়েছে’ বলে দাবি তার।

ছবি

টিআইবির প্রশ্ন: ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় অতি আগ্রহ কেন?

ছবি

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি: ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে অপমানিত করা হয়েছে

ছবি

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ

ছবি

আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয় নি: সিলেটে আসিফ নজরুল

ছবি

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুটি লকার জব্দ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৬২২

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘে যাচ্ছেন ফখরুল-তাহের-আখতার

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ছবি

ডেমু ট্রেন কেনায় রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের মামলা

ছবি

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির বৈঠক

ছবি

ট্রাইব্যুনাল: নাহিদের সাক্ষ্য বুধবার, মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা: বাংলাদেশ-ভারতের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আন্তঃনির্ভতা নতুন সুযোগে রূপান্তরের সম্ভাবনা

ছবি

ধর্মীয় উৎসবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নয়, সমান নাগরিক অধিকারের বাংলাদেশ চান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য বুধবার

ছবি

জুলাই আন্দোলন: ইনু-নূরসহ ৯ আসামির ভার্চুয়াল হাজিরা

ছবি

বাংলাদেশে উষ্ণায়নের প্রভাব: কর্মদিবস নষ্ট, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য সচিব

ছবি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে অঙ্গীকার ইউনূসের

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি : মাইকেল মিলার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

ছবি

সেপ্টেম্বরের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ছবি

দ্বিমতের কোনো জায়গা নাই, এই সুযোগ আর আসবে না: ইউনূস

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত সময়ের আগেই

ছবি

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোতে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাত: ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিদ্ধান্ত

ছবি

টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি: দেড় মাসে নিবন্ধন প্রায় ৮৯ লাখ শিশু

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যোগদান

tab

হাওরে কৃষি সম্প্রসারণে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি’

শাফিউল আল ইমরান

বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বর্ষায় জলমগ্নতা, শীতে ফেটে চৌচির। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইদানীং আগাম দেখা দিচ্ছে বন্যা, খরা। ২০২২ সালের আকস্মিক বন্যায় নষ্ট হয় ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকার ফসল।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে বিস্তৃত হাওরাঞ্চলের এসব সমস্যা সমাধানে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্টের (ফ্রিপ) প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। সম্প্রতি প্রকল্পটির অর্থছাড় হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হবে। ইতোমধ্যেই সেই সুফল পেতে চলছে হাওরের কৃষকরা।

প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে। এর আওতায় পতিত জমি চাষের আওতায় আনা, পানি ও শক্তি সাশ্রয়ী সেচ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, খামার যান্ত্রিকীকরণ জোরদারকরণ, বাণিজ্যিক কৃষির সম্প্রসারণ, উচ্চমূল্য ফসল চাষ, শস্য বৈচিত্র্যকরণ, বন্যা সহনশীল, স্বল্প জীবনকালীন অধিক ফলনশীল ফসলের জাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া ‘জলবায়ু স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির’ মাধ্যমে বন্যাসহিষ্ণু ফসল উৎপাদন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও আধুনিক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসলের শস্য নিবিড়তা বাড়ানো হচ্ছে। কৃষক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং ডিএই-এর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিও এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে প্রায় ২ লাখ কৃষক সরাসরি সম্পৃক্ত হবেন। এর মধ্যে দেড় লাখ কৃষক নিয়ে ৪৯৫০টি কৃষক গ্রুপ গঠন করা হবে। এছাড়া, কৃষকের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ ও কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

প্রকল্পের আওতায় অনাবাদি ও পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতে এলএলপি (থ্রেড পাইপসহ), ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম স্থাপন, বারিড পাইপ স্থাপন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ সিস্টেম স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় এগ্রিকালচার মাল্টিপারপাস সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কৃষি পণ্য বিপণনে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান এবং বন্যার আপদকালীন সময়ে কৃষি পণ্য সংরক্ষণের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।

প্রকল্প এলাকায় কৃষিতে শ্রমিক সংকট দূর কারা, উৎপাদন খরচ কমানো, সময়মত ফসল লাগানো ও কাটার জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণের প্রকল্প এলাকায় গঠিত কৃষক গ্রুপের মাঝে গার্ডেন টিলার, ড্রায়ার, পাওয়ার থ্রেসার ইত্যাদি কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকিমূল্যে কৃষকদের দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি

প্রকল্প এলাকায় জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ভাসমান বেডে সবজি চাষ, বিনা চাষে রসুন চাষ, বস্তায় সবজি চাষ, এডব্লিউডি, বসতবাড়িতে ফল ও সবজি চাষ, কমিউনিটি গার্ডেনিং, সিড ভিলেজ, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় ভার্মি কম্পোস্ট ইত্যাদি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে। সেই সঙ্গে আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষার জন্য বন্যাসহিষ্ণু এবং স্বল্প জীবনকালীন অধিক ফলনশীল ধানের জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ ডাল, তেল, মসলা, ফল ও সবজি চাষের মাধ্যমে শস্য ‘বৈচিত্র্যকরণ’ করা প্রকল্পের অন্যতম দিক। প্রকল্পটি হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকার ৪ বিভাগের ৭ জেলার ৬৫টি উপজেলার পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওড় অঞ্চলের কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে এবং টেকসই জীবিকায়ন নিশ্চিত হবে, প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

ফ্রিপ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ড. তৌফিকুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেই সঙ্গে কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কৃষিজমির হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রমহ্রাসমান জমির উর্বরতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ফ্রিপ প্রকল্পটি গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত সর্বশেষ টেকসই জাত ও ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।’

ফ্রিপ প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাস সংবাদকে বলেন, ‘উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের ফলে খাদ্যশস্য, সবজি ও ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে এবং ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।’

‘প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল বিভিন্ন ফসল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাওড় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার মানের উন্নয়নের সূচনা হয়েছে’ বলে দাবি তার।

back to top