সংসদে প্রশ্নোত্তর
দুই বছরে ১৭০ রেল দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯
বাংলাদেশে ‘অর্ধেকের বেশি’ নারীর বাল্যবিয়ে হয় বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু তার প্রশ্নে করোনা মহামারী সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, অসচ্ছল পরিবারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বিয়ে দেয়ার হার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। মেয়েশিশুদের জন্য সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান তিনি।
জবাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি ‘মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯’ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার ১৫ বছরের নিচে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ১৮ বছরের নিচে ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ১৭টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ৬৪টি জেলায় মনিটরিং কার্যক্রম চলছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০টি বাল্যবিয়ে রোধ করা গেছে। একই সময়ে বাল্যবিয়ে রোধে ৪৩ হাজার ৭৭৭টি উঠান বৈঠক করা হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবন বাঁচাতে সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় পাঁচ লাখ ৯ হাজার ৮৭০জন শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা তহবিল
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, সড়কে ‘পরিবহন আইন, ২০১৮’-এর আওতায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিলে গত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৩ কোটি ৯৫ হাজার ৮৮৮ টাকা জমা পড়েছে। তহবিল থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ যাবৎ সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২১৪ জনকে ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বরিশাল-ভোলা সড়কের তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর ওপর ১০ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু তৈরির জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জন্য প্রণীত মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে প্রস্তাবিত সেতুটি অন্তর্ভুক্ত আছে।
দুই বছরে ১৭০ রেল দুর্ঘটনা
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে ১৭০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনায় ৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বিনা টিকেটে ট্রেন ও ট্রেনের ছাদে ওঠা বন্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে ফেন্সিং নির্মাণ করা হয়েছে। এতে টিকিটবিহীন যাত্রী প্রবেশ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সমন্বয়ে নিয়মিত টিকিট চেকিং কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া স্টেশন প্লাটফর্ম ও ট্রেনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে বিনাটিকেটের যাত্রী ও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণকারী পাওয়া গেলে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়া হয় বলে জানান মন্ত্রী।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য সমীক্ষা প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে শেষ হয়েছে। অর্থায়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগী অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল প্রকল্পের পিডিপিপি রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে ইআরডি এবং পরিকল্পনা কমিশনে পঠানো হয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নির্ধারিত হলে ভাঙ্গা থেকে পায়রা হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের বিনিয়োগ প্রকল্প নেয়া হবে।
সংসদে প্রশ্নোত্তর
দুই বছরে ১৭০ রেল দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯
সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশে ‘অর্ধেকের বেশি’ নারীর বাল্যবিয়ে হয় বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু তার প্রশ্নে করোনা মহামারী সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, অসচ্ছল পরিবারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বিয়ে দেয়ার হার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। মেয়েশিশুদের জন্য সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান তিনি।
জবাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি ‘মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯’ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার ১৫ বছরের নিচে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ১৮ বছরের নিচে ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ১৭টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ৬৪টি জেলায় মনিটরিং কার্যক্রম চলছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০টি বাল্যবিয়ে রোধ করা গেছে। একই সময়ে বাল্যবিয়ে রোধে ৪৩ হাজার ৭৭৭টি উঠান বৈঠক করা হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবন বাঁচাতে সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় পাঁচ লাখ ৯ হাজার ৮৭০জন শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা তহবিল
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, সড়কে ‘পরিবহন আইন, ২০১৮’-এর আওতায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিলে গত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৩ কোটি ৯৫ হাজার ৮৮৮ টাকা জমা পড়েছে। তহবিল থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ যাবৎ সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২১৪ জনকে ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বরিশাল-ভোলা সড়কের তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর ওপর ১০ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু তৈরির জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জন্য প্রণীত মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে প্রস্তাবিত সেতুটি অন্তর্ভুক্ত আছে।
দুই বছরে ১৭০ রেল দুর্ঘটনা
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে ১৭০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনায় ৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বিনা টিকেটে ট্রেন ও ট্রেনের ছাদে ওঠা বন্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে ফেন্সিং নির্মাণ করা হয়েছে। এতে টিকিটবিহীন যাত্রী প্রবেশ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সমন্বয়ে নিয়মিত টিকিট চেকিং কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া স্টেশন প্লাটফর্ম ও ট্রেনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে বিনাটিকেটের যাত্রী ও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণকারী পাওয়া গেলে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়া হয় বলে জানান মন্ত্রী।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য সমীক্ষা প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে শেষ হয়েছে। অর্থায়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগী অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল প্রকল্পের পিডিপিপি রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে ইআরডি এবং পরিকল্পনা কমিশনে পঠানো হয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নির্ধারিত হলে ভাঙ্গা থেকে পায়রা হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের বিনিয়োগ প্রকল্প নেয়া হবে।