তীব্র দাবদাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের চেষ্টায় রেকর্ড হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার তথ্য দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এটাই বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন।
এর আগে রোববার রাতে পিক আওয়ারে ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল। আগের বছর ২০২৩ সালে গরমের সময় ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছিল।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করতে গিয়ে এদিন গ্যাস থেকে ৭ হাজার ৫৬০ মেগাওয়াট, তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩ হাজার ৪৩৯ মেগাওয়াট, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৪ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল।
দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে গত কয়েক দিন বিভিন্ন স্থানে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। তাপমাত্রা বাড়লেও মাঝে ঈদের ছুটির সময় কলকারখানায় কাজ কম থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যেই ছিল। ছুটির পর একদিকে গরম, অন্যদিকে শিল্প কারখানার চাহিদা বাড়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এতে লোড শেডিংও বেড়েছে।
পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন যখন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াটের মাইলফলক স্পর্শ করেছে তখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪৪৬ মেগাওয়াট লোড শেডিং চলছিল। কারণ ওই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মনে করছেন, এবার গ্রীষ্মের সময় বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট ছুঁয়ে যেতে পারে।
পর্যাপ্ত গ্যাস, কয়লাসহ অন্যান্য তরল জ্বালানির যোগান দেওয়া গেলে বিশাল এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করে এবং ভারত থেকে আমদানির সুবিধা কাজে লাগিয়ে পাওয়ার সেল বলছে, বর্তমানে দৈনিক ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় জ্বালানির অভাবে কেন্দ্রগুলোর অর্ধেক সক্ষমতা অলস রাখতে হচ্ছে।
এছাড়া সঞ্চালন লাইনের সক্ষমতা না থাকাতেও কিছু কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যাচেছ না। এরমধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে স্থাপিত দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
এ দুটি কেন্দ্রে দৈনিক ১৭৯৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত না থাকায় গত দুই দিন ধরে সেখান থেকে পাওয়া যাচ্ছিল মাত্র ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী জুলাইয়ে আগে বাঁশখালী ও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর সব বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার সক্ষমতা আসবে না।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
তীব্র দাবদাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের চেষ্টায় রেকর্ড হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার তথ্য দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এটাই বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন।
এর আগে রোববার রাতে পিক আওয়ারে ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল। আগের বছর ২০২৩ সালে গরমের সময় ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছিল।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করতে গিয়ে এদিন গ্যাস থেকে ৭ হাজার ৫৬০ মেগাওয়াট, তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩ হাজার ৪৩৯ মেগাওয়াট, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৪ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল।
দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে গত কয়েক দিন বিভিন্ন স্থানে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। তাপমাত্রা বাড়লেও মাঝে ঈদের ছুটির সময় কলকারখানায় কাজ কম থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যেই ছিল। ছুটির পর একদিকে গরম, অন্যদিকে শিল্প কারখানার চাহিদা বাড়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এতে লোড শেডিংও বেড়েছে।
পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন যখন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াটের মাইলফলক স্পর্শ করেছে তখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪৪৬ মেগাওয়াট লোড শেডিং চলছিল। কারণ ওই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মনে করছেন, এবার গ্রীষ্মের সময় বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট ছুঁয়ে যেতে পারে।
পর্যাপ্ত গ্যাস, কয়লাসহ অন্যান্য তরল জ্বালানির যোগান দেওয়া গেলে বিশাল এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করে এবং ভারত থেকে আমদানির সুবিধা কাজে লাগিয়ে পাওয়ার সেল বলছে, বর্তমানে দৈনিক ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় জ্বালানির অভাবে কেন্দ্রগুলোর অর্ধেক সক্ষমতা অলস রাখতে হচ্ছে।
এছাড়া সঞ্চালন লাইনের সক্ষমতা না থাকাতেও কিছু কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যাচেছ না। এরমধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে স্থাপিত দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
এ দুটি কেন্দ্রে দৈনিক ১৭৯৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত না থাকায় গত দুই দিন ধরে সেখান থেকে পাওয়া যাচ্ছিল মাত্র ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী জুলাইয়ে আগে বাঁশখালী ও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর সব বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার সক্ষমতা আসবে না।
