দুদিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে তাকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
যাবার আগে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের আশা যেমন ব্যক্ত করেছেন, তেমনি ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিয়ে দুদেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে তার উপস্থিতিতে।
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাতারের আমির ঢাকায় এসেছিলেন সোমবার বিকাল ৫টার দিকে। বিশেষ বিমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন।
কাতার আমিরের কার্যালয় জানিয়েছে, ঢাকা থেকে আরেক সরকারি সফরে নেপালের কাঠমান্ডু গেছেন শেখ তামিম।
ঢাকা সফরের বিষয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স এ এক পোস্টে শেখ তামিম বলেন, দুই দেশের বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করার জন্য বাংলাদেশ সফর এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করতে পেরে তিনি ‘আনন্দিত’।
”বৈঠকে আমরা দুদেশের ফলপ্রসু সহযোগিতার সব দিক এবং অন্য অনেক ক্ষেত্রে আরও দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বের মাধ্যমে এ সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছি।”
সফরের শেষ দিন মঙ্গলবার সকালে তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে শুরুতে একান্ত বৈঠক এবং পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম।
এরপর তাদের উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয়, মিরপুরের কালশীতে বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হচ্ছে।
পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন কাতারের রাষ্ট্রপ্রধান। এরপর রাষ্ট্রপতির আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ভোজে অংশ নেন। কাতারের আমিরের সম্মানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে কাতার মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত। আরবের এ দেশ বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও; যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ কাতার জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
এসব কারণে কাতারের আমির শেখ তামিমের এ সফরকে ‘বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ হিসেবেই দেখছে সরকার। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কাতারের আমিরের কাছে প্রস্তাব রাখা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।
আর গত দুই দশকের মধ্যে কাতারের কোনো আমিরের বাংলাদেশে এটিই প্রথম সফর। সবশেষ ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
দুদিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে তাকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
যাবার আগে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের আশা যেমন ব্যক্ত করেছেন, তেমনি ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিয়ে দুদেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে তার উপস্থিতিতে।
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাতারের আমির ঢাকায় এসেছিলেন সোমবার বিকাল ৫টার দিকে। বিশেষ বিমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন।
কাতার আমিরের কার্যালয় জানিয়েছে, ঢাকা থেকে আরেক সরকারি সফরে নেপালের কাঠমান্ডু গেছেন শেখ তামিম।
ঢাকা সফরের বিষয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স এ এক পোস্টে শেখ তামিম বলেন, দুই দেশের বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করার জন্য বাংলাদেশ সফর এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করতে পেরে তিনি ‘আনন্দিত’।
”বৈঠকে আমরা দুদেশের ফলপ্রসু সহযোগিতার সব দিক এবং অন্য অনেক ক্ষেত্রে আরও দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বের মাধ্যমে এ সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছি।”
সফরের শেষ দিন মঙ্গলবার সকালে তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে শুরুতে একান্ত বৈঠক এবং পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম।
এরপর তাদের উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয়, মিরপুরের কালশীতে বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হচ্ছে।
পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন কাতারের রাষ্ট্রপ্রধান। এরপর রাষ্ট্রপতির আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ভোজে অংশ নেন। কাতারের আমিরের সম্মানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে কাতার মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত। আরবের এ দেশ বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও; যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ কাতার জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
এসব কারণে কাতারের আমির শেখ তামিমের এ সফরকে ‘বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ হিসেবেই দেখছে সরকার। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কাতারের আমিরের কাছে প্রস্তাব রাখা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।
আর গত দুই দশকের মধ্যে কাতারের কোনো আমিরের বাংলাদেশে এটিই প্রথম সফর। সবশেষ ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন।