নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ রাতে ১৭ লাখ জেলে ইলিশ ধরতে নদীতে নামছেন
জাটকা রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও অবৈধ ভাবে জেলেরা নদীতে ইলিশের অভয়য়াশ্রমে জাটকা ধরতে গেছে। তবে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। গত দুই মাসে নৌ পুলিশ নদী পথে অভিযান চালিয়ে ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ৪৪ হাজার ৬৯৩ মিটার কারেণ্ট জাল জব্দ করেছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে পথে জাটকা ধরতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে ২ হাজার ৪শ ৫৮জন। এরমধ্যে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯৯৮জনকে। অন্যান্য ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছে ৬১৩জন।
নৌ পুলিশের সদর দপ্তর সংবাদকে জানিয়েছে, পহেলা মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় দুই মাস ইলিশের অভয়াশ্রমে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এ জন্য নদীপথে নৌ পুলিশের একাধিক টিম টহল দিয়েছে। তারা জাটকা না ধরতে জেলেদেরকে বাবার নিষেধ করেছেন। এরপরও কিছু জেলে আইন অমান্য করে ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছিল।
তারা প্রভাশালীদের ছত্রছায়ায় ট্রলার ও জাল নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছে -এমন খবর পেয়ে নৌ পুলিশের সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন ইউনিটের টিম পদ্মা,মেঘনাসহ অন্যান্য নদীতে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। এরমধ্যেও গোপনে জাটকা নির্ধন করা হয়। বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, লক্ষীপুরসহ নদী ও সমুদ্র পথে জাটকা নির্ধন ঠেকাতে গত দুই মাস টানা অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চলাকালে জেলেদের কাছ থেকে ৭৫ হাজার কেজি জাটকা ও ৪১৮টি নৌযান জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে ৪৯৬টি।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক জেলে হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মুচলেকা রেখে ৬১৩জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অভিযানের সময় বরিশাল অঞ্চল থেকে ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ,৬৬ হাজার মিটার কারেণ্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। আর জাটকা আটক হয়েছে ৪৯ হাজার ১৬২ কেজি। বরিশাল অঞ্চল থেকে মোট গ্রেফতার ১১৩৯ জন।
চাঁদপুর থেকে অভিযান চালিয়ে ২৫ কোটি ১৯ লাখের বেশী কারেণ্ট জাল জব্দ করাট হয়েছে। অভিযান চলাকালে জেলেদের কাছ থেকে ২৫ হাজার ৮৫২ কেজি জাটকাপ জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ১৩১৯জন।
আজ সন্ধ্যায় নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম সংবাদকে জানান, গত দুই মাস সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার নদী পথে সর্বক্ষণ নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। এর ফলে জাটকা নিধন অনেকাংশে ঠেকানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ও কারেণ্ট জাল জব্দ করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার কারনে এ বছর ইলিশের উৎপাদন আগের চেয়ে বেশী হবে বলে ধারনা করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা শুরু করা হচ্ছে। ইলিশ ধরতে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৭ লাখ। এ ছাড়াও আরও বহু জেলে আছে। যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
ভোলা প্রতিনিধি জানান, ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়ায় ১৯০ কিলোমিটারে দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর আজ রাত থেকে দুই লাখ জেলে মাছ স্বীকারে নামছে। এরই মধ্যে জেলেরা মাছ স্বীকারের সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। দুই মাস বন্ধ থাকা অবস্থায় বহু জেলে আর্থিক ভাবে কষ্টে দিন কেটেছে।
আজ থেকে লক্ষীপুর,চাঁদপুরসহ অন্যান্য ইলিশের অভয়শ্রমে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ রাতে ১৭ লাখ জেলে ইলিশ ধরতে নদীতে নামছেন
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
জাটকা রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও অবৈধ ভাবে জেলেরা নদীতে ইলিশের অভয়য়াশ্রমে জাটকা ধরতে গেছে। তবে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। গত দুই মাসে নৌ পুলিশ নদী পথে অভিযান চালিয়ে ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ৪৪ হাজার ৬৯৩ মিটার কারেণ্ট জাল জব্দ করেছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে পথে জাটকা ধরতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে ২ হাজার ৪শ ৫৮জন। এরমধ্যে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯৯৮জনকে। অন্যান্য ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছে ৬১৩জন।
নৌ পুলিশের সদর দপ্তর সংবাদকে জানিয়েছে, পহেলা মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় দুই মাস ইলিশের অভয়াশ্রমে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এ জন্য নদীপথে নৌ পুলিশের একাধিক টিম টহল দিয়েছে। তারা জাটকা না ধরতে জেলেদেরকে বাবার নিষেধ করেছেন। এরপরও কিছু জেলে আইন অমান্য করে ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছিল।
তারা প্রভাশালীদের ছত্রছায়ায় ট্রলার ও জাল নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছে -এমন খবর পেয়ে নৌ পুলিশের সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন ইউনিটের টিম পদ্মা,মেঘনাসহ অন্যান্য নদীতে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। এরমধ্যেও গোপনে জাটকা নির্ধন করা হয়। বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, লক্ষীপুরসহ নদী ও সমুদ্র পথে জাটকা নির্ধন ঠেকাতে গত দুই মাস টানা অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চলাকালে জেলেদের কাছ থেকে ৭৫ হাজার কেজি জাটকা ও ৪১৮টি নৌযান জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে ৪৯৬টি।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক জেলে হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মুচলেকা রেখে ৬১৩জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অভিযানের সময় বরিশাল অঞ্চল থেকে ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ,৬৬ হাজার মিটার কারেণ্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। আর জাটকা আটক হয়েছে ৪৯ হাজার ১৬২ কেজি। বরিশাল অঞ্চল থেকে মোট গ্রেফতার ১১৩৯ জন।
চাঁদপুর থেকে অভিযান চালিয়ে ২৫ কোটি ১৯ লাখের বেশী কারেণ্ট জাল জব্দ করাট হয়েছে। অভিযান চলাকালে জেলেদের কাছ থেকে ২৫ হাজার ৮৫২ কেজি জাটকাপ জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ১৩১৯জন।
আজ সন্ধ্যায় নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম সংবাদকে জানান, গত দুই মাস সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার নদী পথে সর্বক্ষণ নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। এর ফলে জাটকা নিধন অনেকাংশে ঠেকানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ও কারেণ্ট জাল জব্দ করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার কারনে এ বছর ইলিশের উৎপাদন আগের চেয়ে বেশী হবে বলে ধারনা করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা শুরু করা হচ্ছে। ইলিশ ধরতে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৭ লাখ। এ ছাড়াও আরও বহু জেলে আছে। যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
ভোলা প্রতিনিধি জানান, ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়ায় ১৯০ কিলোমিটারে দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর আজ রাত থেকে দুই লাখ জেলে মাছ স্বীকারে নামছে। এরই মধ্যে জেলেরা মাছ স্বীকারের সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। দুই মাস বন্ধ থাকা অবস্থায় বহু জেলে আর্থিক ভাবে কষ্টে দিন কেটেছে।
আজ থেকে লক্ষীপুর,চাঁদপুরসহ অন্যান্য ইলিশের অভয়শ্রমে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে।