alt

জাতীয়

ডেঙ্গু নিয়ে বড় শঙ্কা

বাকী বিল্লাহ : রোববার, ১৯ মে ২০২৪

গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬শ ২৮জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩জন। এই ভাবে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য।

প্রাপ্ত তথ্য মতে,গত জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৫৫ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৪জন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩৯জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩জন। গত মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩১১জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৫জন। গত এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহের মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫০৪জন। তার মধ্যে মারা গেছেন ২জন।

চলতি মে মাসের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৪১৯জন। তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৯জন। এই ভাবে ভর্তি ও আক্রান্তের সংখ্যা এখন বাড়ছে।

বৃষ্টি ও বর্তমান তাপমাত্রায় ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব আরও বাড়ার আশংকা করছে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা। তাই এখনই সম্বনিত উদ্যোগ নিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশংকা করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরবর্তী করনীয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজও বৈঠক হতে পারে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা সংবাদকে জানান, বর্তমান তাপমাত্রা,আবহাওয়া ও বৃষ্টিতে ডেঙ্গু প্রজনের উপযোগী। এতে ডেঙ্গু ভাইরাস আরও বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে। মৃত্যু আগের চেয়ে বাড়তে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে।

তাদের মতে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যত দ্রুত সম্ভব প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।যার যার বাড়ি ও আঙ্গিনা তার তার পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে এখনই কাজ করতে হবে।

এ দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুৃ পরিস্থিতি ও করনীয় নিয়ে গতকাল দিনভর বিশেষজ্ঞদের একটি বৈঠক অনুিিষ্ঠত হয়েছে। আজ সোমবার আবার বৈঠক হবে বলে ওই কর্মকর্ত্ াজানিয়েছন। বৈঠকে করনীয় নিয়ে আলোচনা শেষে গাইডলাইন তৈরী করতে পারেন।

মহাখালী রোগতত্ব,রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাক হোসেন সংবাদকে জানান, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা ঠিকমত করা হচ্ছে না। যার কারনে নতুন করে ডেঙ্গুৃ পরিস্থিতির আবনতির দিকে যাচ্ছে। তাই এখন জনগণকে আরও সচেতন করে নিজ নিজ বাড়ি আঙ্গিনা (যেখানে পানি জমে থাকে) পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বৃষ্টি ও আদ্রতার কারনে ডেঙ্গুর জীবনচক্র পরিবর্তন হচ্ছে।

একটু বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদে জমে থাকা পানিতে,রাস্তায় জমে থাকা পানিতে,ফুলের টবে পানিতে এডিস মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে। তাই মানব সৃষ্ট জঞ্জাল ও নির্মাণাধীন কনস্টাকশনে যাতে পনি জমে না থাকে তার জন্য এখনই কাজ শুরু করতে হবে। না আসছে বর্ষ মৌসুমে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশংকা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত,নেপাল ও শ্রীলংকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় সুনিষ্ট ভাবে সম্বনয় করে কাজ করছে। অনেক দেশে আলাদ্ াবিভাগ রয়েছে। তারা বছর জুড়ে এডিস মসা দমনে কাজ করছেন।

বাংলাদেশে এডিস মশা ও কিউলেক্্র মশা দমনে বছর জুড়ে আলাদা বিভাগ গঠন করে উন্নত মাসের ওষুধ প্রয়োগ করলে মশার উপদ্রব কমতে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। মশার উপদ্রব কমলে হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়রসর মানুষতে যেতে হবে না। হাসপাতাল প্রস্তুতের দরকার নেই।

দরকার হলে রাজধানীতে থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। আর ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা ও গাইডলাইন এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প চালু করে পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যমে চিকিৎসা করলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন,বর্তমানে শহরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ কিংবা জীববৈচিত্র পরিবর্তন হয়েছে। ড্রেন পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন কমে গেছে। সেমখানে ময়লা ও বর্জ জমে দূষিত হচ্ছে। সেখানে মশা জমছে। এডিস মশা ছাড়াও কিউলেক্্র মশার কামড়ে নগরবাসী অতিষ্ঠ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (একাডেমিক) ডাঃ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সংবাদকে জানান, সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বৃষ্টির পরপরই স্কুল ,কলেজের আঙ্গিনায় জমে থাকা পানি পরিস্কার করতে হবে। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। আর বয়স্করনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরিমর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।

ছবি

রাখাইনে তীব্র হচ্ছে সংঘাত, বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা

সরকার পতনের আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত : গণতদন্ত কমিটি

মুক্তিযুদ্ধ সংবিধান ও জাতীয় সংগীতকে কটাক্ষ : ৪৮ নাগরিকের নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তী সরকার : ধর্ম উপদেষ্টা

গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরে শিগগিরই কমিটি : উপদেষ্টা নাহিদ

ছবি

সীতাকুণ্ডে শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২

বন্যায় ধানের আবাদ ও উৎপাদন কমতে পারে

ছবি

দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কবলে লক্ষ্মীপুর, নানা দুর্ভোগে বানবাসিরা

ছবি

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি প্রবাসী অধিকার আন্দোলনের

ছবি

নিউইয়র্কে মোদি-ইউনূস বৈঠকের প্রস্তাব, নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত অনিশ্চিত

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

সিলেটে ভারতে অনুপ্রবেশকালে আওয়ামী লীগ নেতা আটক

পীরগাছায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার নামে বিএনপি আহবায়কের মামলা, পাল্টা মামলা ও গ্রেপ্তারের দাবীতে থানার সামনে ছাত্রদের অবস্থান

মুক্তিযুদ্ধ সংবিধান ও জাতীয় সংগীতকে কটাক্ষ: ৪৮ বিশিষ্ট নাগরিকের নিন্দা ও প্রতিবাদ

ছবি

আন্দোলনে আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটির নতুন রেজিস্ট্রার ডাঃ নজরুল

ছবি

আমিরাতে বিক্ষোভ : ক্ষমা পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ১৪ জন দেশে ফিরবেন আজ

ছবি

সীমান্তে ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর চাই না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তী সরকার

সরকার পতনের আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত : গণতদন্ত কমিটি

ছবি

নিউ ইয়র্কে মুহাম্মদ ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা, আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের প্রস্তুতি

ছবি

গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরে শিগগিরই কমিটি : উপদেষ্টা নাহিদ

দলীয় রাজনীতির কারণেই শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ছবি

বাজারে স্বস্তি নেই, বেড়েই চলেছে পণ্যের দাম

ছবি

আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে : পিটিআইকে প্রধান উপদেষ্টা

সিলেটে ‘নিরাপত্তার কারণে’ স্থগিত ‘সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’

ছবি

অধ্যাপক ডা.আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের নতুন পরিচালক

ছবি

‘চাকরীর আশায় কতোই পরীক্ষা দিয়েছি, শেষ পর্যন্ত ভাগ্য আমার সাথে এমন করলো’

ছবি

কুমিল্লায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিব ও সাবেক এমপি বাহারসহ ৪৩৩ জনের নামে মামলা

ছবি

সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে

ছবি

তিস্তা সমস্যার সমাধান চায় বাংলাদেশ: ইউনূস

ছবি

সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান গ্রেপ্তার

ছবি

একযোগে জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রতিবাদ জানাল উদীচী

ছবি

সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি পরিবেশ মন্ত্রণালয়

ছবি

‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘শহীদি মার্চে’ ধ্বনিত শ্লোগান

অধ্যক্ষকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্বাক্ষর নেয়া হলো পদত্যাগপত্রে

tab

জাতীয়

ডেঙ্গু নিয়ে বড় শঙ্কা

বাকী বিল্লাহ

রোববার, ১৯ মে ২০২৪

গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬শ ২৮জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩জন। এই ভাবে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য।

প্রাপ্ত তথ্য মতে,গত জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৫৫ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৪জন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩৯জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩জন। গত মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩১১জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৫জন। গত এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহের মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫০৪জন। তার মধ্যে মারা গেছেন ২জন।

চলতি মে মাসের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৪১৯জন। তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৯জন। এই ভাবে ভর্তি ও আক্রান্তের সংখ্যা এখন বাড়ছে।

বৃষ্টি ও বর্তমান তাপমাত্রায় ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব আরও বাড়ার আশংকা করছে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা। তাই এখনই সম্বনিত উদ্যোগ নিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশংকা করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরবর্তী করনীয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজও বৈঠক হতে পারে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা সংবাদকে জানান, বর্তমান তাপমাত্রা,আবহাওয়া ও বৃষ্টিতে ডেঙ্গু প্রজনের উপযোগী। এতে ডেঙ্গু ভাইরাস আরও বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে। মৃত্যু আগের চেয়ে বাড়তে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে।

তাদের মতে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যত দ্রুত সম্ভব প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।যার যার বাড়ি ও আঙ্গিনা তার তার পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে এখনই কাজ করতে হবে।

এ দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুৃ পরিস্থিতি ও করনীয় নিয়ে গতকাল দিনভর বিশেষজ্ঞদের একটি বৈঠক অনুিিষ্ঠত হয়েছে। আজ সোমবার আবার বৈঠক হবে বলে ওই কর্মকর্ত্ াজানিয়েছন। বৈঠকে করনীয় নিয়ে আলোচনা শেষে গাইডলাইন তৈরী করতে পারেন।

মহাখালী রোগতত্ব,রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাক হোসেন সংবাদকে জানান, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা ঠিকমত করা হচ্ছে না। যার কারনে নতুন করে ডেঙ্গুৃ পরিস্থিতির আবনতির দিকে যাচ্ছে। তাই এখন জনগণকে আরও সচেতন করে নিজ নিজ বাড়ি আঙ্গিনা (যেখানে পানি জমে থাকে) পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বৃষ্টি ও আদ্রতার কারনে ডেঙ্গুর জীবনচক্র পরিবর্তন হচ্ছে।

একটু বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদে জমে থাকা পানিতে,রাস্তায় জমে থাকা পানিতে,ফুলের টবে পানিতে এডিস মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে। তাই মানব সৃষ্ট জঞ্জাল ও নির্মাণাধীন কনস্টাকশনে যাতে পনি জমে না থাকে তার জন্য এখনই কাজ শুরু করতে হবে। না আসছে বর্ষ মৌসুমে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশংকা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত,নেপাল ও শ্রীলংকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় সুনিষ্ট ভাবে সম্বনয় করে কাজ করছে। অনেক দেশে আলাদ্ াবিভাগ রয়েছে। তারা বছর জুড়ে এডিস মসা দমনে কাজ করছেন।

বাংলাদেশে এডিস মশা ও কিউলেক্্র মশা দমনে বছর জুড়ে আলাদা বিভাগ গঠন করে উন্নত মাসের ওষুধ প্রয়োগ করলে মশার উপদ্রব কমতে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। মশার উপদ্রব কমলে হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়রসর মানুষতে যেতে হবে না। হাসপাতাল প্রস্তুতের দরকার নেই।

দরকার হলে রাজধানীতে থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। আর ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা ও গাইডলাইন এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প চালু করে পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যমে চিকিৎসা করলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন,বর্তমানে শহরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ কিংবা জীববৈচিত্র পরিবর্তন হয়েছে। ড্রেন পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন কমে গেছে। সেমখানে ময়লা ও বর্জ জমে দূষিত হচ্ছে। সেখানে মশা জমছে। এডিস মশা ছাড়াও কিউলেক্্র মশার কামড়ে নগরবাসী অতিষ্ঠ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (একাডেমিক) ডাঃ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সংবাদকে জানান, সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বৃষ্টির পরপরই স্কুল ,কলেজের আঙ্গিনায় জমে থাকা পানি পরিস্কার করতে হবে। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। আর বয়স্করনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরিমর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।

back to top