image

আদালত নয়, সরকারের কাছে চূড়ান্ত সমাধান চান আন্দোলনকারীরা

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে একটি আদেশ এসেছে।

তবে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনরতরা বলছেন, আদালতের সঙ্গে তাদের আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।

তারা মূলত সরকারের কাছে কোটা-সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান চাইছেন। কেবল ‘যৌক্তিক সমাধান’ পেলেই রাজপথ ছাড়বেন তারা।

জুলাইয়ের শুরু থেকে শুরু হয় কোটা বিরোধীদের এই আন্দোলন। শুরুতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ধর্মঘট ডাকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে।

কিন্তু সরকারের কাছে এখনও সমাধান না পেয়ে কঠিন আন্দোলনে যায় তারা। গত বোরবার ও সোমবার ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে দুপুরের পর এক বেলা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।

একদিন স্থগিত রেখে আজ সকাল-সন্ধ্যা দিনভর সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।

এরমধ্যে আজ দুপুরে ১২ টার দিকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ কোটা সংক্রান্ত এক আদেশ দেয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছেন তাতে কোটা বাতিল-সংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্রের ভিত্তিতে যেসব সার্কুলার দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ‘কোটা থাকছে না’।

তবে আদেশের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা মূলত নির্বাহী বিভাগের কাছেই কোটা-সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান চাইছি। এক দফা দাবি।’

‘এটি আদালতের এখতিয়ার নয়। এটি একমাত্র নির্বাহী বিভাগই পূরণ করতে পারবে। সরকারের কাছ থেকেই আমরা সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করছি।’

আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ থেকে কমিশন গঠন করে কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধান না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

আদালতের আদেশকে ‘ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানছি না। আমাদের এক দফা দাবি- সংসদে আইন পাস করে সরকরি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) কোটা রেখে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে।’

এদিকে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক নাজমুল হাসান।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

সম্প্রতি