কাদেরের উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের
ছেলে সুমিতের ফেইসবুক পোস্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্জাক
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের : ফাইল ছবি
মতবিনিময় সভা ডেকে কাউকে কথা বলার সুযোগ না দেওয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময়ের জন্য ডেকে কথা বলতে না দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় ভিন্ন একটি কারণে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাককেও ছাড় দেননি সাবেক ছাত্র নেতাদের কয়েকজন।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের কেউ কেউ ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন। যেই স্লোগান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজেই।
আজ বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ ঘটনা ঘটে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মতবিনিময় করতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের কার্যালয়ে ডাকা হয়।
বেলা ১১টায় ওই মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা। বিষয়টি গণমাধ্যমকে আগের দিন মঙ্গলবার জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ছাত্রলীগের কয়েকশত সাবেক নেতা দলীয় কার্যালয়ের দোতলার সম্মেলনকক্ষে উপস্থিত হন। এর মধ্যে সংসদ সদস্য, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা ছিলেন।
উপস্থিত ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা মতবিনিময় না করেই গণমাধ্যমের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে শুরু করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। পরে তা হট্টগোলে রূপ নেয়।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্যে করে ছাত্রনেতাদের মধ্যে একজন বলে ওঠেন, ‘ডেকে এনে আপনি একাই কথা বলা শুরু করলেন, আমাদেরওতো বহু কথা আছে।’
হট্টগোল শুরুতে প্রথমে ওবায়দুল কাদেরকে বলতে শোনা যায়, ‘কে, কে, থামো।’ কিন্তু এরপরও হট্টগোল চলতে থাকে।
আরেকজন বলেন, ‘মতবিনিময় সভা ডেকে সংবাদ সম্মেলন করছেন কেন? তাহলে আমাদের ডাকলেন কেন? আগে আমাদের কথা শুনবেন, আলোচনা করবেন, তারপর ব্রিফ করেন। তা না করে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলা শুরু করে দিলেন...।’
এরপর ব্রিফিং অন্যান্য দিনের মতো দীর্ঘ না করে সভাস্থল ত্যাগ করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় পেছনে বসা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে আওয়াজ করেন। তারপর অনেকেই ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে ওঠেন।
পরে সাবেক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় না করেই কার্যালয়ে অষ্টম তলায় নিজের (সাধারণ সম্পাদক) কক্ষে চলে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে পরে কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি। অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও যে যার মতো করে চলে যান।
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলা ও সামনের সড়কে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারাও ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ অবস্থা ঘণ্টাখানেক চলে।
এদিন ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মতবিনিময় সভায় আসা ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা সাংবাদিকদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ‘সাংবাদিকরা কেন এখানে?’, ‘কী মধু আছে এখানে?’- এ ধরণের বিব্রতকর প্রশ্নের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের অনেকেই অনুষ্ঠান থেকে চলে যেতে শুরু করেন।
সাবেক ছাত্রনেতা মধ্যেও অনেকে সভার মাঝেই বের হয়ে চলে যান। যাওয়ার সময় কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিম-লীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ছাত্রনেতাদের বক্তব্য
মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা (সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি) সংবাদকে বলেন, ‘দেখেন, এটা নতুন কিছু নয়। কাদের ভাই এমনটা বরাবরাই করে আসাছেন। তিনি একাই কথা বলেন। কাউকে কথা বলতে দেন না। বিভিন্ন যৌথসভায় এটা আমরা দেখে আসছি।’
সাবেক এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, ‘আজ কিন্তু প্রেক্ষাপটা একটু অন্য রকম ছিল। একটা ক্রাইসিস মোমেন্ট। ওনি আমাদের ডাকলেন, কারো সঙ্গে আলাপ করলেন না, কথা বললেন না। মনে হলো আমরা যেন টোকাই।’
কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হওয়া সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকেই ওবায়দুল কাদেরের আচরণকে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ আখ্যা দেন।
তাদের একজন বলেন, ‘এখানে আমাদের ডাকা হয়েছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে। আর উনি ব্যস্ত মিডিয়ায় নিজেকে জাহির করা নিয়ে। এখন কী এই পরিস্থিতি আছে?’
আরেকজন বলেন, ‘কথা নাই বার্তা নাই, ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতেন, এখন তার বুলি তাকেই ফেরত দেওয়া হয়েছে। এটা তার জন্য একটা শিক্ষা। তার মত যারা (কেন্দ্রীয় অন্য নেতা) তাদের জন্যও আল্টিমেটাম।’
ছেলের পোস্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্জাক
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জক তোপের মুখে পড়েন তার বড় ছেলে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের একটি ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে। চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার সুমিত তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাধারণ ছাত্রদের নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের বর্বরতার তীব্র নিন্দা’ জানান। ২০০ জনের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে তিনি পোস্টে আরও বলেন, রাস্তায় নামা ছাত্রদের যারা গুলির নির্দেশ দিয়েছে তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এ জন্য অবিলম্বে স্বাধীন, নিরেপক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শিক্ষার্থী সুমিত পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিশ স্কুল অব দি আর্টসে পরিচালনা ও প্রযোজনা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। সুমিতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’ ২০২১ সালে ছয়টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।
এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হলে অনেকেই হই-হুল্লোড় করে ওঠেন। সাবেক ছাত্রনেতাদের একজন চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘উনি এখানে কেন? উনার ছেলে তো সরকারের বিরুদ্ধে পোস্ট (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) দেয়।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
কাদেরের উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের
ছেলে সুমিতের ফেইসবুক পোস্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্জাক
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের : ফাইল ছবি
বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
মতবিনিময় সভা ডেকে কাউকে কথা বলার সুযোগ না দেওয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময়ের জন্য ডেকে কথা বলতে না দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় ভিন্ন একটি কারণে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাককেও ছাড় দেননি সাবেক ছাত্র নেতাদের কয়েকজন।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের কেউ কেউ ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন। যেই স্লোগান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজেই।
আজ বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ ঘটনা ঘটে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মতবিনিময় করতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের কার্যালয়ে ডাকা হয়।
বেলা ১১টায় ওই মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা। বিষয়টি গণমাধ্যমকে আগের দিন মঙ্গলবার জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ছাত্রলীগের কয়েকশত সাবেক নেতা দলীয় কার্যালয়ের দোতলার সম্মেলনকক্ষে উপস্থিত হন। এর মধ্যে সংসদ সদস্য, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা ছিলেন।
উপস্থিত ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা মতবিনিময় না করেই গণমাধ্যমের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে শুরু করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। পরে তা হট্টগোলে রূপ নেয়।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্যে করে ছাত্রনেতাদের মধ্যে একজন বলে ওঠেন, ‘ডেকে এনে আপনি একাই কথা বলা শুরু করলেন, আমাদেরওতো বহু কথা আছে।’
হট্টগোল শুরুতে প্রথমে ওবায়দুল কাদেরকে বলতে শোনা যায়, ‘কে, কে, থামো।’ কিন্তু এরপরও হট্টগোল চলতে থাকে।
আরেকজন বলেন, ‘মতবিনিময় সভা ডেকে সংবাদ সম্মেলন করছেন কেন? তাহলে আমাদের ডাকলেন কেন? আগে আমাদের কথা শুনবেন, আলোচনা করবেন, তারপর ব্রিফ করেন। তা না করে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলা শুরু করে দিলেন...।’
এরপর ব্রিফিং অন্যান্য দিনের মতো দীর্ঘ না করে সভাস্থল ত্যাগ করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় পেছনে বসা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে আওয়াজ করেন। তারপর অনেকেই ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে ওঠেন।
পরে সাবেক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় না করেই কার্যালয়ে অষ্টম তলায় নিজের (সাধারণ সম্পাদক) কক্ষে চলে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে পরে কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি। অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও যে যার মতো করে চলে যান।
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলা ও সামনের সড়কে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারাও ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ অবস্থা ঘণ্টাখানেক চলে।
এদিন ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মতবিনিময় সভায় আসা ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা সাংবাদিকদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ‘সাংবাদিকরা কেন এখানে?’, ‘কী মধু আছে এখানে?’- এ ধরণের বিব্রতকর প্রশ্নের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের অনেকেই অনুষ্ঠান থেকে চলে যেতে শুরু করেন।
সাবেক ছাত্রনেতা মধ্যেও অনেকে সভার মাঝেই বের হয়ে চলে যান। যাওয়ার সময় কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিম-লীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ছাত্রনেতাদের বক্তব্য
মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা (সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি) সংবাদকে বলেন, ‘দেখেন, এটা নতুন কিছু নয়। কাদের ভাই এমনটা বরাবরাই করে আসাছেন। তিনি একাই কথা বলেন। কাউকে কথা বলতে দেন না। বিভিন্ন যৌথসভায় এটা আমরা দেখে আসছি।’
সাবেক এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, ‘আজ কিন্তু প্রেক্ষাপটা একটু অন্য রকম ছিল। একটা ক্রাইসিস মোমেন্ট। ওনি আমাদের ডাকলেন, কারো সঙ্গে আলাপ করলেন না, কথা বললেন না। মনে হলো আমরা যেন টোকাই।’
কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হওয়া সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকেই ওবায়দুল কাদেরের আচরণকে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ আখ্যা দেন।
তাদের একজন বলেন, ‘এখানে আমাদের ডাকা হয়েছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে। আর উনি ব্যস্ত মিডিয়ায় নিজেকে জাহির করা নিয়ে। এখন কী এই পরিস্থিতি আছে?’
আরেকজন বলেন, ‘কথা নাই বার্তা নাই, ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতেন, এখন তার বুলি তাকেই ফেরত দেওয়া হয়েছে। এটা তার জন্য একটা শিক্ষা। তার মত যারা (কেন্দ্রীয় অন্য নেতা) তাদের জন্যও আল্টিমেটাম।’
ছেলের পোস্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্জাক
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জক তোপের মুখে পড়েন তার বড় ছেলে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের একটি ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে। চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার সুমিত তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাধারণ ছাত্রদের নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের বর্বরতার তীব্র নিন্দা’ জানান। ২০০ জনের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে তিনি পোস্টে আরও বলেন, রাস্তায় নামা ছাত্রদের যারা গুলির নির্দেশ দিয়েছে তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এ জন্য অবিলম্বে স্বাধীন, নিরেপক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শিক্ষার্থী সুমিত পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিশ স্কুল অব দি আর্টসে পরিচালনা ও প্রযোজনা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। সুমিতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’ ২০২১ সালে ছয়টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।
এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হলে অনেকেই হই-হুল্লোড় করে ওঠেন। সাবেক ছাত্রনেতাদের একজন চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘উনি এখানে কেন? উনার ছেলে তো সরকারের বিরুদ্ধে পোস্ট (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) দেয়।’