image

তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ের তাণ্ডব, জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ভাদ্র মাসের তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলেছে। বিভিন্ন দপ্তরের মতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও জ্বালানি সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বশেষ ইউনিট বন্ধ হওয়া বিদ্যুৎ সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪,৫৭৮ মেগাওয়াট, যেখানে সরবরাহ ছিল মাত্র ১২,৮৬১ মেগাওয়াট, ফলে ১৬৪০ মেগাওয়াটের ঘাটতি দেখা দেয়।

গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে লোডশেডিং বেড়েছে। এর আগেও বর্ষাকালে বিদ্যুৎ সংকট অনেকটা কম ছিল, কিন্তু বর্তমানে জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কিছু বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস, কয়লা ও কারিগরি সমস্যার কারণে পুরোপুরি উৎপাদনে নেই।

শহরেও লোডশেডিংয়ের বিস্তার

কয়েক মাস আগেও বিদ্যুৎ সংকটের সময় গ্রামের তুলনায় শহরগুলো সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল, কিন্তু এবার লোডশেডিং ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দিনের বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এমনকি রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুমের সমস্যাও দেখা দিয়েছে।

ডেসকো এবং ডিপিডিসি এলাকায় বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে লোডশেডিং করা হচ্ছে, যা সরাসরি উৎপাদন সংকটের কারণে ঘটছে।

বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর অবস্থান

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারতের আদানি পাওয়ার এবং এস আলম গ্রুপের বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও বর্তমানে পুরো উৎপাদনে নেই। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এবং মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লা সংকটের কারণে উৎপাদনে ব্যাহত হচ্ছে।

তবে, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পুরো ক্ষমতায় কাজ করছে, যা কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে। পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মেরামত প্রায় সম্পন্ন, এবং শীঘ্রই এলএনজি সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

সম্প্রতি