অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এক মাসে নেওয়া সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় সংস্কারের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “সংস্কার শুধু সরকারের একার কাজ নয়। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।“ নির্বাচনী ব্যবস্থা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, “নির্বাচনী ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন, যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দুঃশাসন আর কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়। এজন্য নির্বাচন কমিশনসহ চারটি প্রধান প্রতিষ্ঠান—পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন—সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
সংস্কারের অংশ হিসেবে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এসব কমিশন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কাজ করবে এবং তিন মাসের মধ্যে তাদের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সংস্কার উদ্যোগের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
এছাড়া, কারখানা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিক-শ্রমিক আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কালো আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি দেন।
সারাদেশ: যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরাধ ও দুর্নীতি: লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা