alt

জাতীয়

শ্রমিক, মালিক ও সরকারকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিক, শিল্প মালিক এবং সরকারকে এক টিম হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আমার একটা আশা, যতদিন থাকি, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ককে একটা সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাব। শ্রমিক, মালিক, সরকার একসঙ্গে টিম হয়ে এটা করবে। ব্যবসা করা একটা সংগ্রাম, এ সংগ্রামটা আমরা সহজ করব।’

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসিবি) বাংলাদেশ এবং ১৫টি জাতীয় বাণিজ্য সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সম্প্রতি বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার চিত্র তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান প্রথাগত আন্দোলন ছিল না। তারা এটা জেনেই রাস্তায় নেমেছিল যে, না-ও ফিরতে পারে বাড়িতে। প্রাণের বিনিময়ে তারা লক্ষ্য অর্জন করেছে। তারা এ সুযোগ না করে দিলে জাতিকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যেত না। তাই আমাদের সুস্থ্য-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে হবে। এ সুযোগ জাতির জীবনে বারবার আসে না। অতীত আর টানবে না আপনাকে। নতুনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এটা যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আর হারালে জাতির আর কিছুই অবশিষ্ট থাকব না।’

নতুন বাংলাদেশ হিসেবে উত্তরণ অনেক কঠিন কাজ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যতটুকু সময় আমরা সরকারে আছি, ততটুকু সময়েই টিম হিসেবে কাজ করব। সবাই মিলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। মধ্যমে আয়ের দেশ হয়ে গেলে, অনেক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। সে সময়ের জন্য দেশটাকে প্রতিযোগী হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।’

আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের তার পক্ষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর নাসির হোসেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে রপ্তানিখাত দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে যা দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের অসৎ চর্চা এবং আর্থিক অনিয়মের কারণে দেশের অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে পড়েছে। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সেই সব অসাধু ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনিব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালো আবেদন জানানো যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের সিংহভাগ বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তারা যারা সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেন। তাদেরকে নিরাপদে ও আস্থার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য একটি ব্যবসা অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই। আইসিসিবি এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে এক নম্বর অগ্রাধিকার দেওয়ার অনুরোধ করছে।’

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময় থেকেই দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যার ফলে আইনঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এই সুযোগে কিছু দুষ্কৃতকারী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যার একটি বড় প্রভাব পড়ছে রপ্তানিসহ সব শিল্প-কারখানাগুলোর উপর। শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন বহিরাগতদের উসকানিতে শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। এমনকি শ্রমিক সংগঠনগুলোও এই কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে বিবৃতি দিচ্ছে। এ সব দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়িক স্থাপনা, শিল্প- কারখানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালাচ্ছে।

দুষ্কৃতিকারীদের হামলার কারণে এযাবৎ প্রায় আনুমানিক ১০০টির অধিক কারখানায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে এবং অবস্থা বেগতিক দেখে ২০০-এর অধিক কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্প পুলিশের সীমিত উপস্থিতি, থানা পুলিশের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গরূপে চালু না হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অর্থনৈতিক সক্ষমতা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান হ্রাস করবে। তাই অবিলম্বে সব শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর অধিকতর উপস্থিতি সর্বক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করার জন্য জোরালোভাবে আবেদন জানানো হয়।

আইসিসিবি বলেছে, তৈরি পোশাক, ঔষধ, খাদ্য ও কৃষি নামাজ আদা, চামড়া ও পাদুকা শিল্প, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, পাটজাতদ্রব্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে প্রায় ৭ কোটি জনবলের কর্মসংস্থান রয়েছে। অস্থিরতার কারণে শিল্প কারখানার চাকা চলমান রাখা না গেলে এই বিপুল জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য কর্মহীন হয়ে যেতে পারে যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। যে সব এলাকায় যৌথবাহিনীর উপস্থিতি দেখতে পাওয়া গেছে সেখানে সার্বিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এ পদক্ষেপ পুরো শিল্পাঞ্চলে প্রসারিত হলে অচিরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস।

ছবি

বন্যায ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে ধানের চারা বিতরণ ক‌রলো বি‌জি‌বি

ত্রিমুর্খী সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর শান্ত আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল

যৌথ বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানের সময় ময়মনসিংহে যুবদল নেতা নিহত

পদোন্নতি-পদায়ন ‘বঞ্চিতদের’ সামলাতে প্রশাসনে হিমশিম

ছবি

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যাপারে আমাদের কোন অভিপ্রায় নাই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছবি

৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে ছাত্ররাজনীতি শিক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, নিষিদ্ধ চান ৮৪ শতাংশ

ছবি

জার্মানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ

ছবি

ত্রিমুর্খী সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত

নগদে প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

ছবি

বাংলাদেশে এডিবির নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেলেন হোয়ে ইউন জিয়ং

ছবি

বাংলাদেশের সংস্কার ত্বরান্বিত করতে বিশ্ব ব্যাংকের ২০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার জানে না কোন স্ট্যাটাসে দিল্লিতে আছেন শেখ হাসিনা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

আইন কমিশনের পরামর্শক এ কে মোহাম্মদ হোসেন

ছবি

যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান ২৫ ক্যাডারের ‘বঞ্চিত’ ১৯৪ কর্মকর্তা

ত্বকী হত্যার সাথে জড়িত আরেকজন গ্রেপ্তার

ছবি

যেসব হত্যার বিচার আগে হবে, জানালেন চিফ প্রসিকিউর

ছবি

রাজনৈতিক দল গঠনের অভিপ্রায় নেই: আসিফ মাহমুদ

ছবি

রাজনৈতিক চাপে সঠিক তথ্য দিতে অসহায় ছিলেন কর্মকর্তারা: ড. দেবপ্রিয়

ছবি

ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক

ছবি

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

ছবি

রংপুরে মতবিনিময় সভায় মেয়র আর সাংবাদিক সম্পর্কে বিষোদগার করায় হৈচৈ ধাক্কাধাক্কি

যানজট সমস্যার সমাধান খোঁজার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

জাবিতে পূর্ববর্তী সরকারের পতন উদযাপনে ভিন্নধর্মী চল্লিশার আয়োজন

আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে

ছবি

চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ফেরাতে ৫ সদস্যের কমিটি

ছবি

বৃষ্টি কমেছে, তাপমাত্রা বাড়তে পারে

ছবি

হাতিয়ায় ২১ ট্রলার ডুবি, এখনও নিখোঁজ ৭ জেলে

ছবি

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট

ছবি

সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হকের বিছানায় বান্ডেল টাকার ছড়াছড়ি, ছবি ভাইরাল

ছবি

বাংলাদেশ ‘পুনর্গঠন, সংস্কারে’ সহযোগিতায় ‘আগ্রহী’ যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী আ:লীগ নেতা বুদ্দিন আটক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভালুকায় রাজমিস্ত্রী তফাজ্জল হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরকে আসামী করে মামলার আবেদন

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজন চাকরি হয়েছে তার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা

tab

জাতীয়

শ্রমিক, মালিক ও সরকারকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিক, শিল্প মালিক এবং সরকারকে এক টিম হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আমার একটা আশা, যতদিন থাকি, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ককে একটা সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাব। শ্রমিক, মালিক, সরকার একসঙ্গে টিম হয়ে এটা করবে। ব্যবসা করা একটা সংগ্রাম, এ সংগ্রামটা আমরা সহজ করব।’

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসিবি) বাংলাদেশ এবং ১৫টি জাতীয় বাণিজ্য সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সম্প্রতি বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার চিত্র তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান প্রথাগত আন্দোলন ছিল না। তারা এটা জেনেই রাস্তায় নেমেছিল যে, না-ও ফিরতে পারে বাড়িতে। প্রাণের বিনিময়ে তারা লক্ষ্য অর্জন করেছে। তারা এ সুযোগ না করে দিলে জাতিকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যেত না। তাই আমাদের সুস্থ্য-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে হবে। এ সুযোগ জাতির জীবনে বারবার আসে না। অতীত আর টানবে না আপনাকে। নতুনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এটা যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আর হারালে জাতির আর কিছুই অবশিষ্ট থাকব না।’

নতুন বাংলাদেশ হিসেবে উত্তরণ অনেক কঠিন কাজ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যতটুকু সময় আমরা সরকারে আছি, ততটুকু সময়েই টিম হিসেবে কাজ করব। সবাই মিলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। মধ্যমে আয়ের দেশ হয়ে গেলে, অনেক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। সে সময়ের জন্য দেশটাকে প্রতিযোগী হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।’

আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের তার পক্ষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর নাসির হোসেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে রপ্তানিখাত দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে যা দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের অসৎ চর্চা এবং আর্থিক অনিয়মের কারণে দেশের অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে পড়েছে। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সেই সব অসাধু ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনিব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালো আবেদন জানানো যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের সিংহভাগ বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তারা যারা সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেন। তাদেরকে নিরাপদে ও আস্থার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য একটি ব্যবসা অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই। আইসিসিবি এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে এক নম্বর অগ্রাধিকার দেওয়ার অনুরোধ করছে।’

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময় থেকেই দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যার ফলে আইনঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এই সুযোগে কিছু দুষ্কৃতকারী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যার একটি বড় প্রভাব পড়ছে রপ্তানিসহ সব শিল্প-কারখানাগুলোর উপর। শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন বহিরাগতদের উসকানিতে শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। এমনকি শ্রমিক সংগঠনগুলোও এই কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে বিবৃতি দিচ্ছে। এ সব দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়িক স্থাপনা, শিল্প- কারখানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালাচ্ছে।

দুষ্কৃতিকারীদের হামলার কারণে এযাবৎ প্রায় আনুমানিক ১০০টির অধিক কারখানায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে এবং অবস্থা বেগতিক দেখে ২০০-এর অধিক কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্প পুলিশের সীমিত উপস্থিতি, থানা পুলিশের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গরূপে চালু না হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অর্থনৈতিক সক্ষমতা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান হ্রাস করবে। তাই অবিলম্বে সব শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর অধিকতর উপস্থিতি সর্বক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করার জন্য জোরালোভাবে আবেদন জানানো হয়।

আইসিসিবি বলেছে, তৈরি পোশাক, ঔষধ, খাদ্য ও কৃষি নামাজ আদা, চামড়া ও পাদুকা শিল্প, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, পাটজাতদ্রব্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে প্রায় ৭ কোটি জনবলের কর্মসংস্থান রয়েছে। অস্থিরতার কারণে শিল্প কারখানার চাকা চলমান রাখা না গেলে এই বিপুল জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য কর্মহীন হয়ে যেতে পারে যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। যে সব এলাকায় যৌথবাহিনীর উপস্থিতি দেখতে পাওয়া গেছে সেখানে সার্বিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এ পদক্ষেপ পুরো শিল্পাঞ্চলে প্রসারিত হলে অচিরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস।

back to top