বিবিসি‘র সাবেক সাংবাদিক ও বিশিষ্ট লেখক উর্মি রহমান কলকাতায় মারা গেছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে কলকাতায় পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তারা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ঊর্মি রহমান। সকালে অসুস্থতা বেড়ে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী সাগর চৌধুরী ও একমাত্র সন্তান রুপক রহমানকে রেখে গেছেন।
খুলনায় জন্মগ্রহণকারী ঊর্মি রহমানের বন্ধু মানবাধিকারকর্মী সীমা মোসলেম বলেন, প্রায় এক ১০ বছর ধরে কলকাতায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন সাংবাদিক ও লেখক ঊর্মি রহমান।
শৈশব খুলনায় কাটিয়ে স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এরপর সাংবাদিকতা শুরু করেন ঢাকায় দৈনিক সংবাদ পত্রিকা দিয়ে। ১৯৮৫ সালে তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ডের বাংলা সার্ভিসে যোগ দেন। বিবিসির পর তিনি লন্ডনে স্থানীয় সরকারে কাজ করেছেন কিছুদিন।
খুলনার মেয়ে ঊর্মি রহমানের শৈশব কেটেছে বন বিভাগের কর্মী বাবার সঙ্গে সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে। লেখাপড়া ঢাকা, খুলনা এবং সবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ কাহিনী লেখার পাশাপাশি অনুবাদও করেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই বই লিখেছেন। লন্ডনের প্রকাশক ফ্রান্সিস লিঙ্কন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে তার শিশুতোষ গ্রন্থ ‘বি ইজ ফর বাংলাদেশ’।
উর্মি রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘যুদ্ধাপরাধ দেশে দেশে’, ‘ব্রিকলেন : বিলেতের বাঙালিটোলা’, ‘আমাদের সময় নারীমুক্তির প্রশ্নে’, ‘পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন’, ‘বিলেতে বাঙালি : সংগ্রাম ও সাফল্যের কাহিনী, যুদ্ধাপরাধ দেশে দেশে’, ‘সমান্তরাল’, ‘অতিথি’, ‘এদেশে বিদেশে’, কালচার-স্মার্ট বাংলাদেশ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিবিসি‘র সাবেক সাংবাদিক ও বিশিষ্ট লেখক উর্মি রহমান কলকাতায় মারা গেছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে কলকাতায় পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তারা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ঊর্মি রহমান। সকালে অসুস্থতা বেড়ে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী সাগর চৌধুরী ও একমাত্র সন্তান রুপক রহমানকে রেখে গেছেন।
খুলনায় জন্মগ্রহণকারী ঊর্মি রহমানের বন্ধু মানবাধিকারকর্মী সীমা মোসলেম বলেন, প্রায় এক ১০ বছর ধরে কলকাতায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন সাংবাদিক ও লেখক ঊর্মি রহমান।
শৈশব খুলনায় কাটিয়ে স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এরপর সাংবাদিকতা শুরু করেন ঢাকায় দৈনিক সংবাদ পত্রিকা দিয়ে। ১৯৮৫ সালে তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ডের বাংলা সার্ভিসে যোগ দেন। বিবিসির পর তিনি লন্ডনে স্থানীয় সরকারে কাজ করেছেন কিছুদিন।
খুলনার মেয়ে ঊর্মি রহমানের শৈশব কেটেছে বন বিভাগের কর্মী বাবার সঙ্গে সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে। লেখাপড়া ঢাকা, খুলনা এবং সবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ কাহিনী লেখার পাশাপাশি অনুবাদও করেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই বই লিখেছেন। লন্ডনের প্রকাশক ফ্রান্সিস লিঙ্কন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে তার শিশুতোষ গ্রন্থ ‘বি ইজ ফর বাংলাদেশ’।
উর্মি রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘যুদ্ধাপরাধ দেশে দেশে’, ‘ব্রিকলেন : বিলেতের বাঙালিটোলা’, ‘আমাদের সময় নারীমুক্তির প্রশ্নে’, ‘পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন’, ‘বিলেতে বাঙালি : সংগ্রাম ও সাফল্যের কাহিনী, যুদ্ধাপরাধ দেশে দেশে’, ‘সমান্তরাল’, ‘অতিথি’, ‘এদেশে বিদেশে’, কালচার-স্মার্ট বাংলাদেশ।