alt

‘মায়ের ডাক’ এর তুলির ভাইকে ধরার বিষয়ে আইএসপিআরের ভাষ্য

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

গুম হওয়া পরিবারগুলোর প্রতিবাদের প্ল্যাটফরম ‘মায়ের ডাক’ এর সংগঠক সানজিদা তুলির ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে ধরে সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার তিন ঘণ্টা পর আবার ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ জানিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।

সেখানে বলা হয়েছে, “রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকা থেকে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৪৪৫ ঘটিকায় জনাব সাইফুল ইসলাম শ্যামল নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ১৬৪০ ঘটিকায় নিজ বাসায় দিয়ে আসা হয়।”

শাহীনবাগের যে বাসা থেকে শ্যামলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ওই বাসাটিই ‘মায়ের ডাক’ এর দাপ্তরিক ঠিকানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেখান থেকে শ্যামলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়। পরে রাতে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ভাষ্য আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, “সাইফুল ইসলাম শ্যামল এর বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছিল এবং যার প্রেক্ষিতে তিনি কারাভোগ করেছিলেন। এছাড়াও আরেকটি মামলায় ২০১৬ সালে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে জানা যায়। সাইফুল ইসলাম শ্যামলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার কারণেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।

“সাইফুল ইসলাম শ্যামল ‘মায়ের ডাক’ নামক সংগঠনের প্রধান সানজিদা ইসলাম তুলির বড় ভাই হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এক্ষেত্রে তার পারিবারিক পরিচয়কে প্রাধান্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের অপপ্রচার অনাকাঙ্ক্ষিত।”

শাহীনবাগ কেন্দ্রীয় মসজিদের (ইসলাম সাহেবের মসজিদ) পাশে সানজিদা তুলিদের বাসা। তাদের তিনভাই ও তিনবোনের মধ্যে সাইফুল ইসলাম শ্যামল তৃতীয়। ওই মসজিদ ও সংলগ্ন মাদ্রাসার মোতয়াল্লি হিসেবে রয়েছেন শ্যামল, পাশাপাশি পৈত্রিক সম্পত্তির দেখভাল করেন।

শ্যামলের ছোট ভাই স্থানীয় বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও শাহীনবাগ থেকে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ই সুমনের মা হাজেরা খাতুনকে কেন্দ্র করে তার পরিবারের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠনটি।

গত প্রায় ১১ বছর ধরে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে পেতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। বলপূর্বক অন্তর্ধান বা গুমের আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে গেছেন সানজিদা। ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন সময় তাদের বাসায় গেছেন, এটি নিয়ে রাজনীতিতে অনেক আলোচনাও হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর যে ৫৫ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, সানজিদা তুলি সেই কমিটিরও সদস্য।

শাহীনবাগের সেই বাসা থেকে শ্যামলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে ছুটে যান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, গুম হওয়া পরিবারগুলোর সদস্য, মানবাধিকারকর্মীসহ বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায় পুরনো তিনতলা বাড়িটির ড্রয়িং রুম ভর্তি মানুষ। সবাই কথা বলছেন শ্যামলকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে।

পরে বাসার ভেতরে গুমের শিকার পরিবারগুলোর সঙ্গে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সানজিদা তুলি এবং তার মা হাজেরা খাতুন।

তুলি বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে একদল সেনা সদস্য তিনটি গাড়িতে করে তাদের বাসায় যান। তারা বাসায় দেড়ঘণ্টা অবস্থান করে শ্যামলকে ধরে নিয়ে যান। বিকেল ৫টার পরে তারা আবার শ্যামলকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে যান।

“তারা বাসায় ঢুকে সবার সঙ্গেই খুব রুঢ় আচরণ করেছে। তারা কেন এসেছে, কী অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ধরে নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের কিছুই বলেনি।”

তিনি বলেন, “আমি আমার এক ভাইকে হারিয়েছি। যার জন্য আমাদের পুরো পরিবারটা এখনো ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা যে মায়ের ডাক শুরু করেছিলাম এই বাসাটা হচ্ছে তার কেন্দ্র। এখান থেকে যদি এভাবে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে গুম হওয়া এই মানুষগুলোর পরিবারের কাছে কী বার্তা যাবে?”

তুলির অভিযোগের বিষয়ে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সেনাবাহিনী কর্তৃক অসৌজন্যমূলক আচরণ এর দাবি ভিত্তিহীন।”

ছবি

পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন ‘টেকসই হতে পারে না’: সৈয়দা রিজওয়ানা

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু

ছবি

হালদা নদী রক্ষায় গেজেট পরিবর্তন করা হবে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ছবি

‘সেনা কর্মকর্তাদের চাকরিতে থাকা’ নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের

ছবি

নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা বাড়াতে ডিএমপিকে ইসির চিঠি

ছবি

সংবিধান সংস্কার ‘জুলাই সনদ অনুসারে’: ২৭০ পঞ্জিকা দিবসে না হলে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পাস’

আইনি প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বেসরকারি স্কুল ও কলেজে এমপিও নীতিমালায় বড় পরিবর্তন: জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত, অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ যোগ্যতায় পরিবর্তন

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বাংলাদেশের অতীত থেকে মুক্তির পথ দেখাবে: প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জুলাই সনদে সংবিধান সংস্কারে সরকারের জন্য দুটি বিকল্প পথ প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের

ছবি

নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বডি-ওর্ন-ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

শীতের কম্বল ফেব্রুয়ারিতে দিয়ে লাভ নেই বিভাগীয় কমিশনার

ছবি

দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা খাদ্য উপদেষ্টা

ছবি

নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-চীন উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক গভীর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোনথা’, ভারতের অন্ধ্র উপকূলে আঘাতের শঙ্কা

ছবি

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

ছবি

আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু: হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৩ জন

ছবি

জেইসির মাধ্যমে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত, আজ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তর

চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন

ছবি

এক লাখ কর্মী নিয়োগ, প্রধান উপদেষ্টাকে অগ্রগতি জানালো জাপানি প্রতিনিধিদল

ছবি

মঙ্গলবার সরকারের হাতে যাবে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা

ছবি

নভেম্বরের পরও চলবে উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম: অন্তর্বর্তী সরকারের স্পষ্টীকরণ

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১

ছবি

অর্থ পাচারের মামলায় সম্রাট ও আরমানের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়া ও নৈতিক নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার

ডেঙ্গু: একদিনে সর্বোচ্চ ১১৪৩ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ৪

ছবি

শাহজালালে আগুন: অনুসন্ধানে ঢাকায় তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউলসহ দুই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বেড়েছে

ছবি

মেট্রো রেললাইনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু, ৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন

সেনা সদর দপ্তর আইন প্রয়োগ না করা পর্যন্ত আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তা কর্মরত: প্রসিকিউটর

ছবি

বিচারপতি খায়রুল হককে কেন জামিন দেয়া হবে না, হাইকোর্টের প্রশ্ন

আরপিও সংশোধন: রাষ্ট্রপতি সই করলেই জারি হবে অধ্যাদেশ

tab

‘মায়ের ডাক’ এর তুলির ভাইকে ধরার বিষয়ে আইএসপিআরের ভাষ্য

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

গুম হওয়া পরিবারগুলোর প্রতিবাদের প্ল্যাটফরম ‘মায়ের ডাক’ এর সংগঠক সানজিদা তুলির ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে ধরে সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার তিন ঘণ্টা পর আবার ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ জানিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।

সেখানে বলা হয়েছে, “রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকা থেকে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৪৪৫ ঘটিকায় জনাব সাইফুল ইসলাম শ্যামল নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ১৬৪০ ঘটিকায় নিজ বাসায় দিয়ে আসা হয়।”

শাহীনবাগের যে বাসা থেকে শ্যামলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ওই বাসাটিই ‘মায়ের ডাক’ এর দাপ্তরিক ঠিকানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেখান থেকে শ্যামলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়। পরে রাতে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ভাষ্য আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, “সাইফুল ইসলাম শ্যামল এর বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছিল এবং যার প্রেক্ষিতে তিনি কারাভোগ করেছিলেন। এছাড়াও আরেকটি মামলায় ২০১৬ সালে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে জানা যায়। সাইফুল ইসলাম শ্যামলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার কারণেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।

“সাইফুল ইসলাম শ্যামল ‘মায়ের ডাক’ নামক সংগঠনের প্রধান সানজিদা ইসলাম তুলির বড় ভাই হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এক্ষেত্রে তার পারিবারিক পরিচয়কে প্রাধান্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের অপপ্রচার অনাকাঙ্ক্ষিত।”

শাহীনবাগ কেন্দ্রীয় মসজিদের (ইসলাম সাহেবের মসজিদ) পাশে সানজিদা তুলিদের বাসা। তাদের তিনভাই ও তিনবোনের মধ্যে সাইফুল ইসলাম শ্যামল তৃতীয়। ওই মসজিদ ও সংলগ্ন মাদ্রাসার মোতয়াল্লি হিসেবে রয়েছেন শ্যামল, পাশাপাশি পৈত্রিক সম্পত্তির দেখভাল করেন।

শ্যামলের ছোট ভাই স্থানীয় বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও শাহীনবাগ থেকে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ই সুমনের মা হাজেরা খাতুনকে কেন্দ্র করে তার পরিবারের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠনটি।

গত প্রায় ১১ বছর ধরে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে পেতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। বলপূর্বক অন্তর্ধান বা গুমের আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে গেছেন সানজিদা। ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন সময় তাদের বাসায় গেছেন, এটি নিয়ে রাজনীতিতে অনেক আলোচনাও হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর যে ৫৫ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, সানজিদা তুলি সেই কমিটিরও সদস্য।

শাহীনবাগের সেই বাসা থেকে শ্যামলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে ছুটে যান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, গুম হওয়া পরিবারগুলোর সদস্য, মানবাধিকারকর্মীসহ বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায় পুরনো তিনতলা বাড়িটির ড্রয়িং রুম ভর্তি মানুষ। সবাই কথা বলছেন শ্যামলকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে।

পরে বাসার ভেতরে গুমের শিকার পরিবারগুলোর সঙ্গে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সানজিদা তুলি এবং তার মা হাজেরা খাতুন।

তুলি বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে একদল সেনা সদস্য তিনটি গাড়িতে করে তাদের বাসায় যান। তারা বাসায় দেড়ঘণ্টা অবস্থান করে শ্যামলকে ধরে নিয়ে যান। বিকেল ৫টার পরে তারা আবার শ্যামলকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে যান।

“তারা বাসায় ঢুকে সবার সঙ্গেই খুব রুঢ় আচরণ করেছে। তারা কেন এসেছে, কী অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ধরে নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের কিছুই বলেনি।”

তিনি বলেন, “আমি আমার এক ভাইকে হারিয়েছি। যার জন্য আমাদের পুরো পরিবারটা এখনো ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা যে মায়ের ডাক শুরু করেছিলাম এই বাসাটা হচ্ছে তার কেন্দ্র। এখান থেকে যদি এভাবে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে গুম হওয়া এই মানুষগুলোর পরিবারের কাছে কী বার্তা যাবে?”

তুলির অভিযোগের বিষয়ে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সেনাবাহিনী কর্তৃক অসৌজন্যমূলক আচরণ এর দাবি ভিত্তিহীন।”

back to top