ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
আজ শনিবার সকালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী বি চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে তাঁর মরদেহ রাখা আছে। সকাল ৯টার দিকে সেখানে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বারিধারায় বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসভবনে তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে আরেকটি জানাজা হবে।
মাহী বি চৌধুরীর ফেসবুক পোস্টে জানা যায়, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী গত ১৩ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আগামীকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে আরেকটি জানাজা হবে। এরপরে গ্রামের বাড়িতে আরেকটি জানাজার পর তাঁকে দাফন করা হবে।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে নানা বাড়িতে (প্রখ্যাত ‘মুন্সেফ বাড়ি’) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৪৭ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করার পর ১৯৫৪-৫৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি লন্ডনের রয়াল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস, এডিনবার্গ ও গ্লাসগো থেকে এফআরসিপি এবং এসসিপিএস লাভ করেন।
ঢাকায় মেডিসিন বিভাগের খ্যাতিমান চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিন মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তিনি। বি চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘আপনার ডাক্তার’ নামের একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খ্যাতিমান এই চিকিৎসককে রাজনীতিতে যুক্ত করতে ১৯৭৮ সালে নিজের প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রথম মহাসচিব করেন। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। জিয়াউর রহমানের সরকারে তিনি উপ প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সরকারে শিক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। পরে বি চৌধুরী বিএনপি ছেড়ে ২০০৪ সালের ৮ মে ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’ নামের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আমৃত্যু দলটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
আজ শনিবার সকালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী বি চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে তাঁর মরদেহ রাখা আছে। সকাল ৯টার দিকে সেখানে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বারিধারায় বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসভবনে তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে আরেকটি জানাজা হবে।
মাহী বি চৌধুরীর ফেসবুক পোস্টে জানা যায়, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী গত ১৩ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আগামীকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে আরেকটি জানাজা হবে। এরপরে গ্রামের বাড়িতে আরেকটি জানাজার পর তাঁকে দাফন করা হবে।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে নানা বাড়িতে (প্রখ্যাত ‘মুন্সেফ বাড়ি’) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৪৭ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করার পর ১৯৫৪-৫৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি লন্ডনের রয়াল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস, এডিনবার্গ ও গ্লাসগো থেকে এফআরসিপি এবং এসসিপিএস লাভ করেন।
ঢাকায় মেডিসিন বিভাগের খ্যাতিমান চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিন মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তিনি। বি চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘আপনার ডাক্তার’ নামের একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খ্যাতিমান এই চিকিৎসককে রাজনীতিতে যুক্ত করতে ১৯৭৮ সালে নিজের প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রথম মহাসচিব করেন। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। জিয়াউর রহমানের সরকারে তিনি উপ প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সরকারে শিক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। পরে বি চৌধুরী বিএনপি ছেড়ে ২০০৪ সালের ৮ মে ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’ নামের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আমৃত্যু দলটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।