alt

কেন মেটে না ভবদহের সমস্যা ? ব্যাখ্যা চায় মানবাধিকার কমিশন

প্রতিনিধি, যশোর : মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

যশোরের ভবদহ অঞ্চলে জলাবদ্ধতার কারণে বছরের পর বছর ধরে মানবিক বিপর্যয় চলার পরও এর সমাধান না করাকে ‘পদ্ধতিগত মানবাধিকারের লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

সেখানে জলাবদ্ধতার প্রকৃত কারণ এবং পানিবন্দি মানুষের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বঃপ্রণোদিত (সুয়োমটো) অভিযোগ গ্রহণ করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।

সোমবার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গণমাধ্যমে মনিরামপুরের ভবদহ এলাকায় জলাবদ্ধতা; লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি বিষয়ক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুম আসলেই একটি বিশেষ অঞ্চল প্লাবিত হওয়া এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের দুর্দশা সৃষ্টি হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এর ফলে স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

“বছরের পর বছর ধরে মানবিক বিপর্যয় সংগঠিত হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া বা সমস্যার সমাধান না করা পদ্ধতিগত মানবাধিকারের লঙ্ঘন।”

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কমিশন বলেছে, “গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে মনিরামপুর উপজেলার ভবদহ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে এ অঞ্চলকে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হয়নি। যশোর-খুলনা অঞ্চলের মানুষের দুঃখের একটি নাম হলো ভবদহ।

“বৃষ্টির মৌসুম আসলেই এই অঞ্চলের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটে। ভারি বৃষ্টি হলে এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় ফসলের খেত, হাজার হাজার মাছের ঘের ও পুকুর। ক্ষতি হয় মানুষের কোটি কোটি টাকার সম্পদের। সরকার আসে, সরকার যায়, প্রকল্প আসে, প্রকল্প শেষ হয়ে যায়, কিন্তু ভবদহ এলাকার মানুষের সমস্যার কোনো সমাধান হয় না।”

কমিশন বলছে, বন্যা হলে ওই এখানকার মানুষ নওয়াপাড়া, খুলনা, যশোর ও মনিরামপুর শহর এলাকায় গিয়ে কেউ রিকশা বা ভ্যান চালায়, কেউ মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। কেউ শাপলা কলমি শাক বিক্রি করে দিন চালায়।

সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় ওই অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তার ওপরে উঁচু জায়গায় টং ঘর বেঁধে বসবাস করছে তারা।

বিশেষ করে ছিয়ানব্বই এলাকার কুলটিয়া লাখাইডাঙ্গা নেহালপুর পাতাকড়ি ও কপালিয়া অঞ্চলের মানুষ বেশি দুর্ভোগে পড়েছে। সেখানে শতশত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা হাঁটু পানি ভেঙে বা বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে যাচ্ছে বলে সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছে মানবাধিকার কমিশন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, বছরের পর বছর একটি জনপদের জনগণের জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এ প্রকারের দুর্যোগের হাত থেকে এলাকায় বসবাসকারী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষকে একটি স্থায়িত্বশীল ব্যবস্থার সুযোগ প্রদান তাদের মানবাধিকারের দাবি।

“বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে সমস্যার একটি কার্যকর ও বাস্তবানুগ সমাধান নিরূপণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলে কমিশন প্রত্যাশা করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করে।”

এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং কেন এতদিনেও সমস্যার সমাধান করা যায়নি তা কমিশন জানতে চায়।

ছবি

সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

টিআইবির প্রশ্ন: ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় অতি আগ্রহ কেন?

ছবি

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি: ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে অপমানিত করা হয়েছে

ছবি

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ

ছবি

আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয় নি: সিলেটে আসিফ নজরুল

ছবি

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুটি লকার জব্দ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৬২২

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘে যাচ্ছেন ফখরুল-তাহের-আখতার

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ছবি

ডেমু ট্রেন কেনায় রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের মামলা

ছবি

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির বৈঠক

ছবি

ট্রাইব্যুনাল: নাহিদের সাক্ষ্য বুধবার, মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা: বাংলাদেশ-ভারতের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আন্তঃনির্ভতা নতুন সুযোগে রূপান্তরের সম্ভাবনা

ছবি

ধর্মীয় উৎসবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নয়, সমান নাগরিক অধিকারের বাংলাদেশ চান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য বুধবার

ছবি

জুলাই আন্দোলন: ইনু-নূরসহ ৯ আসামির ভার্চুয়াল হাজিরা

ছবি

বাংলাদেশে উষ্ণায়নের প্রভাব: কর্মদিবস নষ্ট, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য সচিব

ছবি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে অঙ্গীকার ইউনূসের

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি : মাইকেল মিলার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

ছবি

সেপ্টেম্বরের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ছবি

দ্বিমতের কোনো জায়গা নাই, এই সুযোগ আর আসবে না: ইউনূস

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত সময়ের আগেই

ছবি

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোতে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাত: ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিদ্ধান্ত

ছবি

টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি: দেড় মাসে নিবন্ধন প্রায় ৮৯ লাখ শিশু

tab

কেন মেটে না ভবদহের সমস্যা ? ব্যাখ্যা চায় মানবাধিকার কমিশন

প্রতিনিধি, যশোর

মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

যশোরের ভবদহ অঞ্চলে জলাবদ্ধতার কারণে বছরের পর বছর ধরে মানবিক বিপর্যয় চলার পরও এর সমাধান না করাকে ‘পদ্ধতিগত মানবাধিকারের লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

সেখানে জলাবদ্ধতার প্রকৃত কারণ এবং পানিবন্দি মানুষের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বঃপ্রণোদিত (সুয়োমটো) অভিযোগ গ্রহণ করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।

সোমবার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গণমাধ্যমে মনিরামপুরের ভবদহ এলাকায় জলাবদ্ধতা; লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি বিষয়ক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুম আসলেই একটি বিশেষ অঞ্চল প্লাবিত হওয়া এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের দুর্দশা সৃষ্টি হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এর ফলে স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

“বছরের পর বছর ধরে মানবিক বিপর্যয় সংগঠিত হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া বা সমস্যার সমাধান না করা পদ্ধতিগত মানবাধিকারের লঙ্ঘন।”

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কমিশন বলেছে, “গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে মনিরামপুর উপজেলার ভবদহ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে এ অঞ্চলকে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হয়নি। যশোর-খুলনা অঞ্চলের মানুষের দুঃখের একটি নাম হলো ভবদহ।

“বৃষ্টির মৌসুম আসলেই এই অঞ্চলের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটে। ভারি বৃষ্টি হলে এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় ফসলের খেত, হাজার হাজার মাছের ঘের ও পুকুর। ক্ষতি হয় মানুষের কোটি কোটি টাকার সম্পদের। সরকার আসে, সরকার যায়, প্রকল্প আসে, প্রকল্প শেষ হয়ে যায়, কিন্তু ভবদহ এলাকার মানুষের সমস্যার কোনো সমাধান হয় না।”

কমিশন বলছে, বন্যা হলে ওই এখানকার মানুষ নওয়াপাড়া, খুলনা, যশোর ও মনিরামপুর শহর এলাকায় গিয়ে কেউ রিকশা বা ভ্যান চালায়, কেউ মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। কেউ শাপলা কলমি শাক বিক্রি করে দিন চালায়।

সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় ওই অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তার ওপরে উঁচু জায়গায় টং ঘর বেঁধে বসবাস করছে তারা।

বিশেষ করে ছিয়ানব্বই এলাকার কুলটিয়া লাখাইডাঙ্গা নেহালপুর পাতাকড়ি ও কপালিয়া অঞ্চলের মানুষ বেশি দুর্ভোগে পড়েছে। সেখানে শতশত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা হাঁটু পানি ভেঙে বা বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে যাচ্ছে বলে সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছে মানবাধিকার কমিশন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, বছরের পর বছর একটি জনপদের জনগণের জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এ প্রকারের দুর্যোগের হাত থেকে এলাকায় বসবাসকারী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষকে একটি স্থায়িত্বশীল ব্যবস্থার সুযোগ প্রদান তাদের মানবাধিকারের দাবি।

“বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে সমস্যার একটি কার্যকর ও বাস্তবানুগ সমাধান নিরূপণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলে কমিশন প্রত্যাশা করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করে।”

এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং কেন এতদিনেও সমস্যার সমাধান করা যায়নি তা কমিশন জানতে চায়।

back to top