বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। এ সপ্তাহে আরও বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। এছাড়া প্রায় সব সবজির কেজি এখন শত টাকার উপর। কাঁচা মরিচের কেজি এখনও চারশ টাকা। চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তীত।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, ‘হু হু করে বাড়ছে’ পণ্যের দাম, অথচ ‘বাজার তদারকি নাই’। ‘বাজারে পণ্যের দামের অবস্থা ভালো না, খুবই খারাপ। শুনছি দাম কমছে, বাজারে এসে দেখে দ্বিগুণ। আমরা মধ্যবিত্তরাই কিনতে পারছি না, খেতে পাচ্ছি না।’ আর খুচরা ব্যবসায়ী বলছেন, পণ্যের দাম বাড়ার কারণে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করতে হচ্ছে, লাভও কম হচ্ছে। ‘আগে ত্রিশ হাজার টাকার মাল তুলতাম, এখন সেই মাল তুলতে লাগে ৬০ হাজার টাকা।’
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ও স্থান ঘুরে এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া যায়।
বাড়তি দাম থেকে আরও বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা আর সোনালি মুরগির কেজি ৩০ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। পাশাপাশি সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩১০ টাকায়। একই মুরগি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৬০ টাকায়।
আবারও বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে জাতভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। একই পেঁয়াজ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজার নবী হোসেন মৎস্য বিতানে প্রায় তিন কেজি ওজনের ১টি পঙ্গাস কিনে কাটতে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ধ্রুব। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘কেজি ৩০০ টাকা। কী করবেন? বাজার মনিটরিং টিম নাই, কিচ্ছু নেই। তত্ত্বাবধায়ক (অন্তবর্তী) সরকার চলছে। ১২০ টাকা কেজির নিচে কোনো তরকারি (কাঁচা পেঁপে ও মিষ্টি কদু এই দুটি তরকারি ১০০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে) নাই। বাজারে ৫০০ টাকা নিয়ে গেলে কাঁচা তরকারি কিনতেই শেষ। দেশের বারোটা বেজে গেছে। দেখেন না, জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে।’
ওই বাজার থেকেই হাফ কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) ৬০ টাকা, দুইটা লেবু ১৫ টাকা আর ২০ টাকা কাঁচামরিচ সদাই করে সাদা রংয়ের পলিথিন ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফিরোজা বেগম। বাজার পণ্যের দামের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হলো তিনি সংবাদকে বলেন, ‘না বাবা, বাজারে পণ্যের দামের অবস্থা ভালো না। খুবই খারাপ অবস্থা। শুনছি যে দাম কমছে, বাজারে এসে দেখে দ্বিগুণ বাড়ছে। আমাদের পাওয়ারফুল নতুন নেতারা আসছে দাম নাকি কমবে, কই কমছে আর তিনগুণ বাড়ছে। দাম তখনই কমবে, যখন কৃষকদেরকে সরকার হেল্প করবে, অল্প খরচে উৎপাদন করতে পারবে। তাছাড়া দাম কমার সম্ভাব না।’
নিজের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত, আমরাই কিনতে পারছি না, খেতে পাচ্ছি না। আর নি¤œ শ্রেণী তারা তো .....।’ ‘খালি দাম কমারটাই বেশি লেখে, দাম বেশিরটা তো লেখে না, ’ অভিযোগ তার।
ওই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আগে ত্রিশ হাজার টাকার মাল তুলতাম, এখন সেই মাল তুলতে লাগে ৬০ হাজার টাকা। ১ কেজি মালে পাঁচ-দশ টাকা লাভ করতে জান বের হয়া যাচ্ছে। কাঁচামাল আজকে একদম আরেক দিন আরেক দাম। ধরেন, একটা মাল ২০ কেজি আনলাম আজ ১০ কেজি বেচা হলো, আর দশ কেজি বেচতে বেচতে দুই কেজি ফেলে দিতে হয় ৮ কেজি কম দামে বেচতে হয়।’
সবজির দাম কী পরিমাণ বাড়ছে তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘এক মাস আগে পাইকারিতে মিষ্টি কুমড়া কিনতাম কেজি ২০-২৫ টাকায়। সেটা এখন কিনা লাগে ৫৫ টাকায়, বেচুম কতো, বলেন?’ রাজধানীর সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রায় সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ টাকার ওপর। বাজার ও জাতভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া টমেটো কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, গাজর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, বরবটি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, কাকরোল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, পোটল-করলা-মূলা-ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা ১০০ টাকায়। একপিস লাউ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে বাজারে ১ কেজি কাঁচা মরিচও বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকায়। ১ মোটা পুইশাক ৫০ টাকায়।
রাজধানীর সেগুন বাগিচা কাচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সজিব সংবাদকে বলেন, ‘সবজির দাম এখনই কমার সম্ভাবনা নাই।’
তবে কিছুটা কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বাজার ও স্থান ভেদে লাল রংয়ের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। একই ডিম গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নুর আলম সংবাদকে বলেন, ‘ডিমের দাম একটু কমছে, আজ ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি করছি। আড়ৎদাররা খারাপ। আড়ৎ বন্ধ কইরা গাড়িতে (ট্রাকে) ডিম বেচাকেনা করে। দোকান খোলা থাকলে দুই চার দোকান দেইখা কিনার আর সুযোগ নাই।’
বাজারে আরও এক দফা বেড়েছে ইলিশের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে বাজারভেদে বাজারে ১ কেজি দুইশ গ্রাম ওজনেরে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায়।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। এ সপ্তাহে আরও বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। এছাড়া প্রায় সব সবজির কেজি এখন শত টাকার উপর। কাঁচা মরিচের কেজি এখনও চারশ টাকা। চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তীত।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, ‘হু হু করে বাড়ছে’ পণ্যের দাম, অথচ ‘বাজার তদারকি নাই’। ‘বাজারে পণ্যের দামের অবস্থা ভালো না, খুবই খারাপ। শুনছি দাম কমছে, বাজারে এসে দেখে দ্বিগুণ। আমরা মধ্যবিত্তরাই কিনতে পারছি না, খেতে পাচ্ছি না।’ আর খুচরা ব্যবসায়ী বলছেন, পণ্যের দাম বাড়ার কারণে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করতে হচ্ছে, লাভও কম হচ্ছে। ‘আগে ত্রিশ হাজার টাকার মাল তুলতাম, এখন সেই মাল তুলতে লাগে ৬০ হাজার টাকা।’
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ও স্থান ঘুরে এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া যায়।
বাড়তি দাম থেকে আরও বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা আর সোনালি মুরগির কেজি ৩০ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। পাশাপাশি সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩১০ টাকায়। একই মুরগি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৬০ টাকায়।
আবারও বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে জাতভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। একই পেঁয়াজ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজার নবী হোসেন মৎস্য বিতানে প্রায় তিন কেজি ওজনের ১টি পঙ্গাস কিনে কাটতে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ধ্রুব। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘কেজি ৩০০ টাকা। কী করবেন? বাজার মনিটরিং টিম নাই, কিচ্ছু নেই। তত্ত্বাবধায়ক (অন্তবর্তী) সরকার চলছে। ১২০ টাকা কেজির নিচে কোনো তরকারি (কাঁচা পেঁপে ও মিষ্টি কদু এই দুটি তরকারি ১০০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে) নাই। বাজারে ৫০০ টাকা নিয়ে গেলে কাঁচা তরকারি কিনতেই শেষ। দেশের বারোটা বেজে গেছে। দেখেন না, জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে।’
ওই বাজার থেকেই হাফ কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) ৬০ টাকা, দুইটা লেবু ১৫ টাকা আর ২০ টাকা কাঁচামরিচ সদাই করে সাদা রংয়ের পলিথিন ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফিরোজা বেগম। বাজার পণ্যের দামের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হলো তিনি সংবাদকে বলেন, ‘না বাবা, বাজারে পণ্যের দামের অবস্থা ভালো না। খুবই খারাপ অবস্থা। শুনছি যে দাম কমছে, বাজারে এসে দেখে দ্বিগুণ বাড়ছে। আমাদের পাওয়ারফুল নতুন নেতারা আসছে দাম নাকি কমবে, কই কমছে আর তিনগুণ বাড়ছে। দাম তখনই কমবে, যখন কৃষকদেরকে সরকার হেল্প করবে, অল্প খরচে উৎপাদন করতে পারবে। তাছাড়া দাম কমার সম্ভাব না।’
নিজের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত, আমরাই কিনতে পারছি না, খেতে পাচ্ছি না। আর নি¤œ শ্রেণী তারা তো .....।’ ‘খালি দাম কমারটাই বেশি লেখে, দাম বেশিরটা তো লেখে না, ’ অভিযোগ তার।
ওই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আগে ত্রিশ হাজার টাকার মাল তুলতাম, এখন সেই মাল তুলতে লাগে ৬০ হাজার টাকা। ১ কেজি মালে পাঁচ-দশ টাকা লাভ করতে জান বের হয়া যাচ্ছে। কাঁচামাল আজকে একদম আরেক দিন আরেক দাম। ধরেন, একটা মাল ২০ কেজি আনলাম আজ ১০ কেজি বেচা হলো, আর দশ কেজি বেচতে বেচতে দুই কেজি ফেলে দিতে হয় ৮ কেজি কম দামে বেচতে হয়।’
সবজির দাম কী পরিমাণ বাড়ছে তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘এক মাস আগে পাইকারিতে মিষ্টি কুমড়া কিনতাম কেজি ২০-২৫ টাকায়। সেটা এখন কিনা লাগে ৫৫ টাকায়, বেচুম কতো, বলেন?’ রাজধানীর সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রায় সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ টাকার ওপর। বাজার ও জাতভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া টমেটো কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, গাজর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, বরবটি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, কাকরোল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, পোটল-করলা-মূলা-ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা ১০০ টাকায়। একপিস লাউ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে বাজারে ১ কেজি কাঁচা মরিচও বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকায়। ১ মোটা পুইশাক ৫০ টাকায়।
রাজধানীর সেগুন বাগিচা কাচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সজিব সংবাদকে বলেন, ‘সবজির দাম এখনই কমার সম্ভাবনা নাই।’
তবে কিছুটা কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বাজার ও স্থান ভেদে লাল রংয়ের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। একই ডিম গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নুর আলম সংবাদকে বলেন, ‘ডিমের দাম একটু কমছে, আজ ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি করছি। আড়ৎদাররা খারাপ। আড়ৎ বন্ধ কইরা গাড়িতে (ট্রাকে) ডিম বেচাকেনা করে। দোকান খোলা থাকলে দুই চার দোকান দেইখা কিনার আর সুযোগ নাই।’
বাজারে আরও এক দফা বেড়েছে ইলিশের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে বাজারভেদে বাজারে ১ কেজি দুইশ গ্রাম ওজনেরে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায়।
