alt

জাতীয়

আদানির বিদ্যুৎ: দোটানার মধ্যে অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, রয়টার্সের প্রতিবেদন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

দাম নিয়ে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতের বেসরকারি সংস্থা — আদানি পাওয়ার — থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত ‘রাখবে’ বাংলাদেশ। দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি ‘বাতিল করা হচ্ছে না’।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, ঝাড়খণ্ডের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চাহিদার প্রায় এক দশমাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সে কারণে ওই চুক্তি রাতারাতি বাতিল করে দেওয়া সরকারের জন্য কঠিন।

তাছাড়া বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ ছাড়া চুক্তি বাতিল করলে আদানি বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিতে পারে, সে কথাও সরকারকে ভাবতে হচ্ছে।

দ্বিতীয় সূত্রটি রয়টার্সকে বলেছে, চুক্তি থেকে সরে আসা যদি সম্ভব নাও হয়, বিদ্যুতের দাম কমাতে আদানির সঙ্গে আলোচনায় বসা হতে পারে সরকারের জন্য একমাত্র বিকল্প।

আদানির একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, বাংলাদেশ যে চুক্তি পর্যালোচনা করছে, সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। দিন দিন বকেয়া বাড়ছে, তারপরও তো আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছি। বকেয়ার বিষয়টি দিনকে দিন আমাদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রমকেই এটা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

রয়টার্সের তথ্যমতে, আদানির বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশের বকেয়ার পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আর অন্য ভারতীয় কোম্পানিগুলো মিলিয়ে বকেয়ার পরিমাণ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ডলার সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশকে ওই অর্থ পরিশোধে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে।

আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের শিগগিরই বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে আদানির সরবরাহ করা বিদ্যুতের দাম কেন অন্যদের চেয়ে বেশি, সে প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে মূল্য-সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এই চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার আমলে এ চুক্তি করার সময় সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, বিনা বিনিয়োগে স্বল্পমূল্যে বা স্থানীয় বাজারমূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর ফলে বিনিয়োগের ধকল পোহাতে হবে না, বরং অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। চুক্তি হওয়ার পর ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় ২০২০ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শুরু করে আদানি। কিন্তু সেই চুক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা বা তথ্যউপাত্ত বাংলাদেশের মানুষের হাতে ছিল না।

অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কি না, তা যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ক্ষেত্রে আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

অন্তর্বর্তী সরকার ওই চুক্তি পর্যালোচনার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আদানির কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। সরকার ওই চুক্তি পর্যালোচনা করছে, এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলেই আমি আশা করি।

ছবি

ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক: একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ৯

ছবি

রান্নার গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবি

ছবি

ছিনতাই-চাঁদাবাজি প্রতিরোধে শুরু হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান: আইজিপি

ছবি

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছেন ড. ইউনূস

ছবি

কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না: জি এম কাদের

ছবি

মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ

ছবি

অভিনেতা জামাল উদ্দিন মারা গেছেন

ছবি

বৈশিক ক্ষুধা সূচকে ৩ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

ছবি

সাত অঞ্চলেরে ওপর দিয়ে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

ছবি

সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানো গেলে ৪০ শতাংশ খরচ কম পড়বে : ধর্ম উপদেষ্টা

ছবি

দুর্গোৎসবে আজ মহানবমী

ধর্মীয় সংঘাতের রাজনৈতিক ফায়দা নিতে দেব না : নাহিদ

ছবি

হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

ছবি

তাঁতিবাজারের পূজা মণ্ডপে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, ছুরিকাঘাতে আহত ৪

ছবি

ডিমের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ছবি

দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা হত্যায় এক ‘বিএনপি নেতার দায় দেখছে’ পুলিশ, ওসি প্রত্যাহার

ছবি

পূজা উদযাপন কমিটির নেতার অনুরোধেই মণ্ডপে যান শিল্পীরা : পুলিশ

ছবি

বাংলাদেশি জেলে হত্যা: মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিবাদ

ছবি

মায়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ২

ছবি

পুরনো মামলাগুলোর তদন্ত পুণরায় শুরু হয়েছে: আইজিপি

ছবি

প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে ‘সংরক্ষিত পুরাকীর্তি’ ঘোষণার উদ্যোগ

ছবি

পূজায় দশমী পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

ডেঙ্গুতে এবছর ১৯৯ জনের মৃত্যু

ছবি

লিবিয়ায় ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থাকা ১৫০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

ছবি

‘পূজা হবে শান্তিপূর্ণ, মাঝে মধ্যে যা ঘটে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’

ছবি

‘রিসেট বাটন’ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ছবি

দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ

ছবি

ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানদের বিচারপতির মর্যাদা: বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ

বড় সংখ্যায় পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু

ছবি

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘অনুমোদনে অনিয়ম’, খতিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

ডিসি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে তিন সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন

লেবানন থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নথিভুক্তির আহ্বান

ছবি

বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত

ছবি

শিক্ষা প্রকৌশলের গাড়ি নিয়ে বিলাসিতা, ৩৮ গাড়ির ২০টিই বেহাত

সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ

ছবি

মূল্যস্ফীতি হঠাৎ বাড়েনি, কমতে সময় লাগবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

tab

জাতীয়

আদানির বিদ্যুৎ: দোটানার মধ্যে অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, রয়টার্সের প্রতিবেদন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

দাম নিয়ে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতের বেসরকারি সংস্থা — আদানি পাওয়ার — থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত ‘রাখবে’ বাংলাদেশ। দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি ‘বাতিল করা হচ্ছে না’।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, ঝাড়খণ্ডের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চাহিদার প্রায় এক দশমাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সে কারণে ওই চুক্তি রাতারাতি বাতিল করে দেওয়া সরকারের জন্য কঠিন।

তাছাড়া বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ ছাড়া চুক্তি বাতিল করলে আদানি বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিতে পারে, সে কথাও সরকারকে ভাবতে হচ্ছে।

দ্বিতীয় সূত্রটি রয়টার্সকে বলেছে, চুক্তি থেকে সরে আসা যদি সম্ভব নাও হয়, বিদ্যুতের দাম কমাতে আদানির সঙ্গে আলোচনায় বসা হতে পারে সরকারের জন্য একমাত্র বিকল্প।

আদানির একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, বাংলাদেশ যে চুক্তি পর্যালোচনা করছে, সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। দিন দিন বকেয়া বাড়ছে, তারপরও তো আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছি। বকেয়ার বিষয়টি দিনকে দিন আমাদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রমকেই এটা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

রয়টার্সের তথ্যমতে, আদানির বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশের বকেয়ার পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আর অন্য ভারতীয় কোম্পানিগুলো মিলিয়ে বকেয়ার পরিমাণ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ডলার সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশকে ওই অর্থ পরিশোধে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে।

আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের শিগগিরই বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে আদানির সরবরাহ করা বিদ্যুতের দাম কেন অন্যদের চেয়ে বেশি, সে প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে মূল্য-সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এই চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার আমলে এ চুক্তি করার সময় সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, বিনা বিনিয়োগে স্বল্পমূল্যে বা স্থানীয় বাজারমূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর ফলে বিনিয়োগের ধকল পোহাতে হবে না, বরং অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। চুক্তি হওয়ার পর ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় ২০২০ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শুরু করে আদানি। কিন্তু সেই চুক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা বা তথ্যউপাত্ত বাংলাদেশের মানুষের হাতে ছিল না।

অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কি না, তা যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ক্ষেত্রে আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

অন্তর্বর্তী সরকার ওই চুক্তি পর্যালোচনার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আদানির কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। সরকার ওই চুক্তি পর্যালোচনা করছে, এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলেই আমি আশা করি।

back to top