চার-পাঁচদিন ধরে ক্রমাগত বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কোথাও কোথাও কেজি বিক্রি ১৭০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণে বাজারে পেঁয়াজের এই দাম। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির হিসাবে এক বছরে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ দশমিক শতাংশ।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানী কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার ও স্থানভেদে এবং মান ও জাতভেদে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। কোথাও কোথাও ১৭০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
এর মধ্যে পাবনায় উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা আর ফরিদপুর উৎপাদিত পেঁয়াজ ১৫০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০ টাকা।
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার পেঁয়াজের আড়তে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পাইকারিতে পাবনা জেলায় উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। এছাড়া ফরিদপুর জেলার উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়।
টিসিবির ঢাকা মহানগরীর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের খুচরা বাজারদরের তালিকায় দেখা গেছে, রোববার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা, একমাস আগে সর্বোচ্চ ১১৫ বিক্রি আর একবছর আগে বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ৯৫ টাকা। এছাড়া রোববার আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা, একমাস আগে ১০০ টাকা আর এক বছর আগে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
টিসিবির হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এক বছরে দেশি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির হার ৪০ দশমিক শতাংশ আর আমদানি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
পেয়াঁজের পাইকারি আড়তে দেশি পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলে খাইরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পাবনারটা (পেঁয়াজ) কেজি ১৫২ থেকে ১৫৬ টাকা। আর ফরিদপুরেরটা ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। ’
পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কবে থেকে এমন প্রশ্নে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওই পাইকারি আড়তের মেসার্স মাতৃভান্ডারের বিক্রেতা কালাম শেক সংবাদকে বলেন, ‘চার-পাচ দিন ধরে এই রকম চলতাছে (দাম বাড়ছে)। চার পাঁচ দিন আগে দেশিটা ছিল ১১৮-১২০ টাকা আর ইন্ডিয়ানটা ছিল ১০০ টাকা।’
‘সরবরাহ কম আর মোকামেই বেশি দামে কিনতে হয়,’ বলে জানান ওই বাজারের আরেক আড়তদার।
কারওয়ান বাজার পেঁয়াজের আড়তের পাশের গলিতে খুচরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন রিফাত। তার কাছে দেশি পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আজ (রোববার) বেচতাছি কেজি ১৬০ টাকা।’
দাম বাড়লো কবে থেকে? জবাবে তিনি বলেন, ‘কাল রাতেও বিক্রি করেছি ১৫০ টাকা আর আজ (রোববার) সকাল থেকে বিক্রি করছি ১৬০ টাকা।’ ‘প্রতিদিনই কেজিতে ৫-১০ টাকা করে বাড়তাছে, চার-পাঁচ দিন ধরে দাম বাড়তাছে,’ জানান রিফাত।
রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচা বাজারে কথা হয় খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ জসিম মিয়া সঙ্গে। দেশি পেঁয়াজের দামের বিষয়ে জানতে চাই তিনি সংবাদকে বলেন, ‘পাবনারটা কেজি ১৭০ টাকা আর ফরিদপুরটা ১৬০ টাকা। শ্যামবাজারে পাইকারিতে পাবনার পেঁয়াজ আজ আমাদের কিনতেই পড়ছে ১৬০ টাকা।’ ‘পেঁয়াজ বেচে লাভ নেই,’ বলেও জানান জসিম।
শান্তিনগর কাঁচা বাজারে কথা হয় মুন্নার সঙ্গে। তিনি সম্পর্কে বলেন, ‘গত সপ্তাহে কিনলাম ১২০ টাকা দিয়ে। একই পেঁয়াজ আজ কিনতে পারলে ১৫০ টাকা।’
দাম বৃদ্ধিটাকে কীভাবে দেখছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে তো কোনো গার্ডিয়ান নেই। গত সরকারের সময় দাম বাড়েনি, এমন না। কিন্তু সরকার চলে যাবার পরে একটা উচ্ছৃঙ্খল অবস্থায় চলে আসছে সবকিছু।’
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
চার-পাঁচদিন ধরে ক্রমাগত বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কোথাও কোথাও কেজি বিক্রি ১৭০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণে বাজারে পেঁয়াজের এই দাম। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির হিসাবে এক বছরে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ দশমিক শতাংশ।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানী কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার ও স্থানভেদে এবং মান ও জাতভেদে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। কোথাও কোথাও ১৭০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
এর মধ্যে পাবনায় উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা আর ফরিদপুর উৎপাদিত পেঁয়াজ ১৫০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০ টাকা।
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার পেঁয়াজের আড়তে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পাইকারিতে পাবনা জেলায় উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। এছাড়া ফরিদপুর জেলার উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়।
টিসিবির ঢাকা মহানগরীর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের খুচরা বাজারদরের তালিকায় দেখা গেছে, রোববার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা, একমাস আগে সর্বোচ্চ ১১৫ বিক্রি আর একবছর আগে বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ৯৫ টাকা। এছাড়া রোববার আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা, একমাস আগে ১০০ টাকা আর এক বছর আগে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
টিসিবির হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এক বছরে দেশি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির হার ৪০ দশমিক শতাংশ আর আমদানি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
পেয়াঁজের পাইকারি আড়তে দেশি পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলে খাইরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পাবনারটা (পেঁয়াজ) কেজি ১৫২ থেকে ১৫৬ টাকা। আর ফরিদপুরেরটা ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। ’
পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কবে থেকে এমন প্রশ্নে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওই পাইকারি আড়তের মেসার্স মাতৃভান্ডারের বিক্রেতা কালাম শেক সংবাদকে বলেন, ‘চার-পাচ দিন ধরে এই রকম চলতাছে (দাম বাড়ছে)। চার পাঁচ দিন আগে দেশিটা ছিল ১১৮-১২০ টাকা আর ইন্ডিয়ানটা ছিল ১০০ টাকা।’
‘সরবরাহ কম আর মোকামেই বেশি দামে কিনতে হয়,’ বলে জানান ওই বাজারের আরেক আড়তদার।
কারওয়ান বাজার পেঁয়াজের আড়তের পাশের গলিতে খুচরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন রিফাত। তার কাছে দেশি পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আজ (রোববার) বেচতাছি কেজি ১৬০ টাকা।’
দাম বাড়লো কবে থেকে? জবাবে তিনি বলেন, ‘কাল রাতেও বিক্রি করেছি ১৫০ টাকা আর আজ (রোববার) সকাল থেকে বিক্রি করছি ১৬০ টাকা।’ ‘প্রতিদিনই কেজিতে ৫-১০ টাকা করে বাড়তাছে, চার-পাঁচ দিন ধরে দাম বাড়তাছে,’ জানান রিফাত।
রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচা বাজারে কথা হয় খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ জসিম মিয়া সঙ্গে। দেশি পেঁয়াজের দামের বিষয়ে জানতে চাই তিনি সংবাদকে বলেন, ‘পাবনারটা কেজি ১৭০ টাকা আর ফরিদপুরটা ১৬০ টাকা। শ্যামবাজারে পাইকারিতে পাবনার পেঁয়াজ আজ আমাদের কিনতেই পড়ছে ১৬০ টাকা।’ ‘পেঁয়াজ বেচে লাভ নেই,’ বলেও জানান জসিম।
শান্তিনগর কাঁচা বাজারে কথা হয় মুন্নার সঙ্গে। তিনি সম্পর্কে বলেন, ‘গত সপ্তাহে কিনলাম ১২০ টাকা দিয়ে। একই পেঁয়াজ আজ কিনতে পারলে ১৫০ টাকা।’
দাম বৃদ্ধিটাকে কীভাবে দেখছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে তো কোনো গার্ডিয়ান নেই। গত সরকারের সময় দাম বাড়েনি, এমন না। কিন্তু সরকার চলে যাবার পরে একটা উচ্ছৃঙ্খল অবস্থায় চলে আসছে সবকিছু।’