দূষণমুক্ত বাসযোগ্য ঢাকা শহর গড়তে যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এসময় তিনি বলেন,আমাদের তরুণ-তরুনীরা ১৫ বছরের ফ্যাসিজম মুক্ত করে নতুন দেশ উপহার দিয়েছে, তারা অবশ্যই পারবে আমাদের নগরীকেও বাসযোগ্য করে তুলতে। এই কাজে বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়াবে।
বিশ্ব শহর দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার, ডেইলী স্টার হলে বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর যৌথভাবে আয়োজিত যুব সংলাপ অনুষ্ঠিনে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠিনে অন্য বক্তারা শহর উন্নয়নে তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা ও সচেতন অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। উপস্থিত তরুণরা ঢাকা শহরের পরিবেশ ও স্থাপনার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং তাদের সুপারিশ তুলে ধরেন।
প্ল্যানিং ও পলিসির জায়গায় তরুণদের অন্তর্ভুক্তীর গুরুর্ত্ব দিয়ে বিশেষ অতিথি ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, আমাদের সিচুয়েশন আসলেই ক্রিটিক্যাল, তাই যুবদের এগিয়ে আসতে হবে। যুবদের লিডারশীপে থাকতে হবে। আমাদের সহনশীল হয়ে তরুণদের আইডিয়াগুলো নিতে হবে এবং যুবদের স্টেকহোল্ডারদের কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। এই তরুণরা বাস্তবায়নে যদি এগিয়ে আসে তবেই পরিবর্তন আসবে। বিকেন্দ্রিকরন করতে হবে বলা সহজ, কিন্তু করা কঠিন। আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করতে হবে এবং তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ডেপুটি ডিরেক্টর মঞ্জু মারিয়া পালমা তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, মানব উন্নয়ন সূচকে অন্যান্য শহরগুলোর তুলনায় ঢাকা পিছিয়ে আছে। বর্তমানে দুই কোটিরও বেশি মানুষ এই শহরে বাস করে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা ধরণের সমস্যায় আমাদের এই শহর পর্যদুস্ত হলেও আশার বিষয় যে আমাদের যুবরা এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের যুবরা বৃক্ষরোপণ,বর্জ্যমুক্ত রাস্তা, ওয়ার্ড ঘোষণা করছে। তাই আমরা আশা করি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যে ক্ষতি হচ্ছে তা থেকে যেন বাংলাদেশ মুক্ত হতে পারে।
যুব সংলাপে বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বর্তমানে আমরা পরিবেশ সংস্কারের যে জায়গায় আছি, আমাদের উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার পরিকল্পনা করা। তরুণদের নেতৃত্বে দূষণমুক্ত শহরের তালিকায় ঢাকার নাম যেন আসে, সেই প্রত্যাশা করি। তিনি বায়ু দূষণ, শব্দ, দূষণ এবং প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় সরকারকে সহায়তা করার জন্য যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর চন্দন জেড.গোমেজ বলেন, বসবাসযোগ্য শহর এবং দূষণমুক্ত শহর বিনির্মাণে সবাই যার যার জায়গা থেকে কন্ট্রিবিউশন করলেই সমস্যার উত্তরণ সম্ভব। এই মুহূর্তে আমাদের ৫০০ স্কুলে জলবায়ু বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের কর্ম এলাকায় আমরা শিশু ও যুবদের নিয়ে ক্লিনিং কর্মসূচী করবো। এখন থেকে প্রতিমাসে একদিন আমরা ক্লিনিং ডে হিসেবে ঘোষণা করবো। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ক্লাইমেট জাস্টিস নিয়ে কাজ করতে চাই।
বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট এর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশেদুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমাদের পরিবেশ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত আইন রয়েছে, তবে বাস্তবায়ন ও সচেতনতা নাই। পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কেউ অভিযোগ করে না। যুবকদের পরিবেশ আইন বিষয়ে আরও বেশী সচেতন হতে হবে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তারা তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং শহর উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেন।
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
দূষণমুক্ত বাসযোগ্য ঢাকা শহর গড়তে যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এসময় তিনি বলেন,আমাদের তরুণ-তরুনীরা ১৫ বছরের ফ্যাসিজম মুক্ত করে নতুন দেশ উপহার দিয়েছে, তারা অবশ্যই পারবে আমাদের নগরীকেও বাসযোগ্য করে তুলতে। এই কাজে বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়াবে।
বিশ্ব শহর দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার, ডেইলী স্টার হলে বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর যৌথভাবে আয়োজিত যুব সংলাপ অনুষ্ঠিনে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠিনে অন্য বক্তারা শহর উন্নয়নে তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা ও সচেতন অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। উপস্থিত তরুণরা ঢাকা শহরের পরিবেশ ও স্থাপনার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং তাদের সুপারিশ তুলে ধরেন।
প্ল্যানিং ও পলিসির জায়গায় তরুণদের অন্তর্ভুক্তীর গুরুর্ত্ব দিয়ে বিশেষ অতিথি ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, আমাদের সিচুয়েশন আসলেই ক্রিটিক্যাল, তাই যুবদের এগিয়ে আসতে হবে। যুবদের লিডারশীপে থাকতে হবে। আমাদের সহনশীল হয়ে তরুণদের আইডিয়াগুলো নিতে হবে এবং যুবদের স্টেকহোল্ডারদের কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। এই তরুণরা বাস্তবায়নে যদি এগিয়ে আসে তবেই পরিবর্তন আসবে। বিকেন্দ্রিকরন করতে হবে বলা সহজ, কিন্তু করা কঠিন। আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করতে হবে এবং তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ডেপুটি ডিরেক্টর মঞ্জু মারিয়া পালমা তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, মানব উন্নয়ন সূচকে অন্যান্য শহরগুলোর তুলনায় ঢাকা পিছিয়ে আছে। বর্তমানে দুই কোটিরও বেশি মানুষ এই শহরে বাস করে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা ধরণের সমস্যায় আমাদের এই শহর পর্যদুস্ত হলেও আশার বিষয় যে আমাদের যুবরা এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের যুবরা বৃক্ষরোপণ,বর্জ্যমুক্ত রাস্তা, ওয়ার্ড ঘোষণা করছে। তাই আমরা আশা করি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যে ক্ষতি হচ্ছে তা থেকে যেন বাংলাদেশ মুক্ত হতে পারে।
যুব সংলাপে বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বর্তমানে আমরা পরিবেশ সংস্কারের যে জায়গায় আছি, আমাদের উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার পরিকল্পনা করা। তরুণদের নেতৃত্বে দূষণমুক্ত শহরের তালিকায় ঢাকার নাম যেন আসে, সেই প্রত্যাশা করি। তিনি বায়ু দূষণ, শব্দ, দূষণ এবং প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় সরকারকে সহায়তা করার জন্য যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর চন্দন জেড.গোমেজ বলেন, বসবাসযোগ্য শহর এবং দূষণমুক্ত শহর বিনির্মাণে সবাই যার যার জায়গা থেকে কন্ট্রিবিউশন করলেই সমস্যার উত্তরণ সম্ভব। এই মুহূর্তে আমাদের ৫০০ স্কুলে জলবায়ু বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের কর্ম এলাকায় আমরা শিশু ও যুবদের নিয়ে ক্লিনিং কর্মসূচী করবো। এখন থেকে প্রতিমাসে একদিন আমরা ক্লিনিং ডে হিসেবে ঘোষণা করবো। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ক্লাইমেট জাস্টিস নিয়ে কাজ করতে চাই।
বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট এর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশেদুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমাদের পরিবেশ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত আইন রয়েছে, তবে বাস্তবায়ন ও সচেতনতা নাই। পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কেউ অভিযোগ করে না। যুবকদের পরিবেশ আইন বিষয়ে আরও বেশী সচেতন হতে হবে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তারা তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং শহর উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেন।