alt

জাতীয়

গঠন হলো সার্চ কমিটি, এবার নতুন ইসি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। নতুন ইসি গঠনের লক্ষ্যে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দশজন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে এই কমিটি।

সার্চ কমিটির নামের তালিকা থেকে পাঁচজন বেছে নিয়ে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। নতুন কমিশনের অধীনেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

আইন অনুযায়ী, সার্চ কমিটিতে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের দুই বিচারক এসেছেন প্রধান বিচারপতির মনোনয়নে। সিএজি ও পিএসসি চেয়ারম্যান পদাধিকার বলে এ কমিটির সদস্য। আর বাকি দুজনকে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি।

কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।

সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন জারির দুদিন আগে থেকে এই নামগুলিই আলোচনায় ছিল।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারকদের তালিকায় জ্যেষ্ঠতার বিচারে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নাম রয়েছে তিন নম্বরে। তিনি ১৯৬১ সালের ১৮ মে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবা এএফএম আবদুর রহমান চৌধুরী হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। ২০১৮ সালে বিচারক হিসাবে কর্মজীবন শেষ করেন তিনি।

জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাবির আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগে পেশাগত কাজ শুরু করেন। ২০০৩ সালের আগস্টে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান জুবায়ের রহমান চৌধুরী। নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর পর তার নিয়োগ স্থায়ী হয়।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সুপ্রিম কোর্টে বড় পরিবর্তনের মধ্যে ১৩ আগস্ট বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে আপিল বিভাগের বিচারক করা হয়।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকদের তালিকায় জ্যেষ্ঠতার বিচারে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নাম রয়েছে দুই নম্বরে। তিনি ১৯৫৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতে তালিকাভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হন এ কে এম আসাদুজ্জামান। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর সেই নিয়োগ স্থায়ী হয়। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আয়োজনে ‘অর্থনৈতিক ও আর্থিক অপরাধ’ বিষয়ক সাউথ এশিয়ান জাজেস রিজিওনাল ফোরামে যোগ দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান।

*সিএজি মো. নূরুল ইসলাম*
অষ্টম বিএসএসের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম ২০২৩ সালের মধ্য জুলাইতে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক পদে আসেন। সাংবিধানিক এ পদে আসার আগে আড়াই বছর হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ঢাবির লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করা নূরুল ইসলাম কর্মজীবনে সরকারি হিসাব ও অডিট সংক্রান্ত বিভিন্ন পদে দায়িত্ব ছিলেন। হিসাব মহানিয়ন্ত্রক থাকার সময় পেশাগত ‘উৎকর্ষ ও সুশাসনে’ ভূমিকার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ২০২২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান তিনি।

*অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম*
ঢাবির লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম ৯ অক্টোবর পিএসসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে পিএইডি এবং সাসেক্স ও হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেছেন। লোকপ্রশাসন, সুশাসন ও পাবলিক পলিসি নিয়ে তার গবেষণামূলক কাজ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন।

*অধ্যাপক সি আর আবরার*
ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক। তার গবেষণার বিষয়ের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী, অভিবাসী শ্রমিক, বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব প্রভৃতি। এক সময় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

*অধ্যাপক জেড এন তাহমিদা বেগম*
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুননেসা তাহমিদা বেগম ঢাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। ২০০২ সালের ৯ মে থেকে পাঁচ বছর পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যও ছিলেন। ঢাবির বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সাদাদলের সদস্য তাহমিদা বেগম সিনেট, সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্বে ছিলেন।

*নাম আহ্বান করতে পারবে কমিটি*
গতকাল সার্চ কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়, ‘অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা প্রদান করবে।’

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ’ আইন, অনুযায়ী সার্চ কমিটি যোগ্যদের অনুসন্ধানের জন্য রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করতে পারবে।

২০২২ সালে এ আইনের অধীনে প্রথম নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। ২০২৭ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিদায় নেয় আউয়াল কমিশন।

ছবি

স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদীয় দায়িত্বে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে ১৬০০০ নাম্বার থেকে

ছবি

ঢাকা শহরকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য করতে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে :সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ছবি

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আগুন

ছবি

সিদ্ধান্তে পরিবর্তন, বিসিএস দেওয়া যাবে সর্বোচ্চ চার বার

ছবি

খালেদা জিয়ার আরেক মামলার কার্যক্রম বাতিল

ছবি

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান : অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

গেরুয়া পতাকা টাঙানোর ঘটনায় সমালোচনা, দুইজন গ্রেপ্তার

ছবি

ইসি গঠনে ‘সার্চ কমিটি’ গঠন, সভাপতি বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

ছবি

পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের গাড়িতে আগুন

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

ডিসেম্বরের শুরুতে প্রতিবেদন দেবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন, আশা ফলকার টুর্কের

ছবি

নতুন বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়: ভলকার তুর্ক

ছবি

নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

পুতুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ, ডব্লিউএইচওর সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

রাস্তায় জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

ছবি

আট জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

ছবি

সংস্কার কমিশনকে সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন

ছবি

হজ প্যাকেজ ঘোষণা, কোনটিতে কত খরচ পড়ছে

ছবি

জাতি গঠনের সুযোগ নষ্ট হলে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে : ড. ইউনূস

ছবি

আড়িপাতার ব্যবস্থাসহ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট–সেবা চালুর খসড়া গাইডলাইন প্রকাশ

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ১৩১২ জন হাসপাতালে, ৬ জনের মৃত্যু

ছবি

বৈষম বিরোধী আন্দোলনে উত্তরায় ট্রাকের হেলপার হত্যায় মামলা

ছবি

শিশুদের খেলনায় বিষাক্ত সীসা, ঝুঁকিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম

ছবি

আওয়ামী লীগসহ ১১ দলের বিরুদ্ধে সারজিসদের রিট আজ ‘প্রত্যাহার’

ছবি

আরও ৩০ বাংলাদেশি লেবানন থেকে ফিরেছেন

ছবি

সচিব-কর্মকর্তার ফোনে ট্রেনের টিকিট রাখা যাবে না: রেল উপদেষ্টা

ছবি

রেল টিকিটিংয়ে স্বচ্ছতা আনতে কঠোর পদক্ষেপ

ছবি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় হবে: উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ

ছবি

এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি ওয়াহিদুল হকের জামিন

ছবি

মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব না: আইন উপদেষ্টা

ছবি

আমাদের ভেতরে দুর্নীতি হলে প্রকাশ করে দেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চাওয়া রিটে পক্ষভুক্ত হল বিএনপি

ছবি

দুদকের চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগ

ছবি

নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন আজকালের মধ্যে

tab

জাতীয়

গঠন হলো সার্চ কমিটি, এবার নতুন ইসি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। নতুন ইসি গঠনের লক্ষ্যে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দশজন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে এই কমিটি।

সার্চ কমিটির নামের তালিকা থেকে পাঁচজন বেছে নিয়ে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। নতুন কমিশনের অধীনেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

আইন অনুযায়ী, সার্চ কমিটিতে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের দুই বিচারক এসেছেন প্রধান বিচারপতির মনোনয়নে। সিএজি ও পিএসসি চেয়ারম্যান পদাধিকার বলে এ কমিটির সদস্য। আর বাকি দুজনকে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি।

কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।

সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন জারির দুদিন আগে থেকে এই নামগুলিই আলোচনায় ছিল।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারকদের তালিকায় জ্যেষ্ঠতার বিচারে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নাম রয়েছে তিন নম্বরে। তিনি ১৯৬১ সালের ১৮ মে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবা এএফএম আবদুর রহমান চৌধুরী হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। ২০১৮ সালে বিচারক হিসাবে কর্মজীবন শেষ করেন তিনি।

জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাবির আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগে পেশাগত কাজ শুরু করেন। ২০০৩ সালের আগস্টে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান জুবায়ের রহমান চৌধুরী। নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর পর তার নিয়োগ স্থায়ী হয়।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সুপ্রিম কোর্টে বড় পরিবর্তনের মধ্যে ১৩ আগস্ট বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে আপিল বিভাগের বিচারক করা হয়।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকদের তালিকায় জ্যেষ্ঠতার বিচারে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নাম রয়েছে দুই নম্বরে। তিনি ১৯৫৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতে তালিকাভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হন এ কে এম আসাদুজ্জামান। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর সেই নিয়োগ স্থায়ী হয়। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আয়োজনে ‘অর্থনৈতিক ও আর্থিক অপরাধ’ বিষয়ক সাউথ এশিয়ান জাজেস রিজিওনাল ফোরামে যোগ দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান।

*সিএজি মো. নূরুল ইসলাম*
অষ্টম বিএসএসের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম ২০২৩ সালের মধ্য জুলাইতে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক পদে আসেন। সাংবিধানিক এ পদে আসার আগে আড়াই বছর হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ঢাবির লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করা নূরুল ইসলাম কর্মজীবনে সরকারি হিসাব ও অডিট সংক্রান্ত বিভিন্ন পদে দায়িত্ব ছিলেন। হিসাব মহানিয়ন্ত্রক থাকার সময় পেশাগত ‘উৎকর্ষ ও সুশাসনে’ ভূমিকার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ২০২২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান তিনি।

*অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম*
ঢাবির লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম ৯ অক্টোবর পিএসসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে পিএইডি এবং সাসেক্স ও হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেছেন। লোকপ্রশাসন, সুশাসন ও পাবলিক পলিসি নিয়ে তার গবেষণামূলক কাজ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন।

*অধ্যাপক সি আর আবরার*
ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক। তার গবেষণার বিষয়ের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী, অভিবাসী শ্রমিক, বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব প্রভৃতি। এক সময় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

*অধ্যাপক জেড এন তাহমিদা বেগম*
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুননেসা তাহমিদা বেগম ঢাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। ২০০২ সালের ৯ মে থেকে পাঁচ বছর পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যও ছিলেন। ঢাবির বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সাদাদলের সদস্য তাহমিদা বেগম সিনেট, সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্বে ছিলেন।

*নাম আহ্বান করতে পারবে কমিটি*
গতকাল সার্চ কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়, ‘অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা প্রদান করবে।’

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ’ আইন, অনুযায়ী সার্চ কমিটি যোগ্যদের অনুসন্ধানের জন্য রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করতে পারবে।

২০২২ সালে এ আইনের অধীনে প্রথম নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। ২০২৭ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিদায় নেয় আউয়াল কমিশন।

back to top