বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘জাতীয় পে-কমিশন গঠন’ এবং বেতনে বৈষম্য দূর করতে বেতন গ্রেড ২০টির পরিবর্তে ১০টি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ‘সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের’ নেতারা। তারা নয় দফা দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ‘সরকার কর্তৃক গঠিতব্য পে-কমিশনে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয় নেতারা আশ্বস্ত করেছেন।’ পে-কমিশনে সংযুক্ত পরিষদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হলে পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সংগঠনের সভাপতি বদিউল কবীর জানিয়েছেন, তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে নয় দফা দাবি পেশ করেছেন। দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গত বুধবার জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
সংযুক্ত পরিষদের ৯ দাবি :
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ‘পতিত’ সরকারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত এবং বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানকারী কর্মচারীগণকে স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্বহালের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগে পত্র জারি করা। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে নিয়মিত সরকারি চাকরিকাল অতিক্রম করেছেন তাদের ভূতাপেক্ষ জ্যেষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা।
চাকরিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সব স্তরের কর্মচারীদের জন্য (১ থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত) শতকরা ৫০ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন করা এবং পরবর্তী পে-কমিশন চূড়ান্ত বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ২০টি গ্রেডের মধ্যে ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে ও ১৭তম গ্রেড (ক্যাশ সরকার) ১৫তম গ্রেডে, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গ্রেড-১০ হতে গ্রেড-৯, হিসাবরক্ষক গ্রেড- ১২ হতে উপ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গ্রেড-১০, ক্যাশিয়ার গ্রেড-১৪ হতে গ্রেড-১২ ও ফটোকপি মেশিন অপারেটর/ডিএমও গ্রেড-১৮ হইতে গ্রেড-১৬-তে উন্নীত করা।’
সংগঠনের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন ও গ্র্যাচুইটি হার ৪০০ টাকা বৃদ্ধি করা, সব স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর মুক্ত রাখা এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীগণ পূর্বের চেয়ে দীর্ঘদিন কর্মসম্পাদনে সক্ষম, সেহেতু চাকরি থেকে অবসরের বিদ্যমান ৫৯ বছরের বয়স বা সময় সীমা আরও তিন বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা।
কর্মচারীরা বলেন, ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তিত হয়ে নতুন পদনাম হয়েছে সে প্রেক্ষিতে সচিবালয় কর্মচারীদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ পদনাম হওয়া আবশ্যক বিধায় নতুন পদনাম করনের প্রস্তাব করা হলো। তারা সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বিদ্যমান পদসমূহ পরিবর্তন করে প্রস্তাবিত পদে পদনাম পরিবর্তনের দাবি জানান।
এছাড়া পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতা অনুযায়ী সংযুক্ত সার-সংক্ষেপে বর্ণিত পদ সমূহ সংখ্যানুপাতে সংরক্ষণের আদেশ জারির দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান এবং কর্মচারীদের দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য গঠিত পর্যালোচনা কমিটিতে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একজন প্রতিনিধি অথবা তাদের পক্ষ থেকে মনোনীত একজন প্রতিনিধির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সকল স্তরের কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরিকরণের জন্য বিদ্যমান নিয়োগবিধিতে বর্ণিত পদোন্নতির মেয়াদ পূর্তিতে স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতির বিধান অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়।
রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪
বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘জাতীয় পে-কমিশন গঠন’ এবং বেতনে বৈষম্য দূর করতে বেতন গ্রেড ২০টির পরিবর্তে ১০টি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ‘সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের’ নেতারা। তারা নয় দফা দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ‘সরকার কর্তৃক গঠিতব্য পে-কমিশনে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয় নেতারা আশ্বস্ত করেছেন।’ পে-কমিশনে সংযুক্ত পরিষদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হলে পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সংগঠনের সভাপতি বদিউল কবীর জানিয়েছেন, তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে নয় দফা দাবি পেশ করেছেন। দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গত বুধবার জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
সংযুক্ত পরিষদের ৯ দাবি :
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ‘পতিত’ সরকারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত এবং বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানকারী কর্মচারীগণকে স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্বহালের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগে পত্র জারি করা। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে নিয়মিত সরকারি চাকরিকাল অতিক্রম করেছেন তাদের ভূতাপেক্ষ জ্যেষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা।
চাকরিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সব স্তরের কর্মচারীদের জন্য (১ থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত) শতকরা ৫০ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন করা এবং পরবর্তী পে-কমিশন চূড়ান্ত বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ২০টি গ্রেডের মধ্যে ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে ও ১৭তম গ্রেড (ক্যাশ সরকার) ১৫তম গ্রেডে, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গ্রেড-১০ হতে গ্রেড-৯, হিসাবরক্ষক গ্রেড- ১২ হতে উপ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গ্রেড-১০, ক্যাশিয়ার গ্রেড-১৪ হতে গ্রেড-১২ ও ফটোকপি মেশিন অপারেটর/ডিএমও গ্রেড-১৮ হইতে গ্রেড-১৬-তে উন্নীত করা।’
সংগঠনের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন ও গ্র্যাচুইটি হার ৪০০ টাকা বৃদ্ধি করা, সব স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর মুক্ত রাখা এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীগণ পূর্বের চেয়ে দীর্ঘদিন কর্মসম্পাদনে সক্ষম, সেহেতু চাকরি থেকে অবসরের বিদ্যমান ৫৯ বছরের বয়স বা সময় সীমা আরও তিন বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা।
কর্মচারীরা বলেন, ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তিত হয়ে নতুন পদনাম হয়েছে সে প্রেক্ষিতে সচিবালয় কর্মচারীদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ পদনাম হওয়া আবশ্যক বিধায় নতুন পদনাম করনের প্রস্তাব করা হলো। তারা সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বিদ্যমান পদসমূহ পরিবর্তন করে প্রস্তাবিত পদে পদনাম পরিবর্তনের দাবি জানান।
এছাড়া পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতা অনুযায়ী সংযুক্ত সার-সংক্ষেপে বর্ণিত পদ সমূহ সংখ্যানুপাতে সংরক্ষণের আদেশ জারির দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান এবং কর্মচারীদের দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য গঠিত পর্যালোচনা কমিটিতে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একজন প্রতিনিধি অথবা তাদের পক্ষ থেকে মনোনীত একজন প্রতিনিধির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সকল স্তরের কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরিকরণের জন্য বিদ্যমান নিয়োগবিধিতে বর্ণিত পদোন্নতির মেয়াদ পূর্তিতে স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতির বিধান অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়।