সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দ্বীপটি লিজ দেওয়ার অপপ্রচার। সুশান্ত দাস গুপ্ত নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে দাবি করা হয়, সেন্ট মার্টিন গন? এ ধরনের গুজব প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সেন্ট মার্টিনকে কোনো দেশের কাছে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই। এই গুজব ছড়ানো বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান আলোচনার সঙ্গে সেন্ট মার্টিনের কোনো সম্পর্ক নেই।
এছাড়াও, সেন্ট মার্টিনের পরিবেশগত বিপর্যয় ঠেকাতে সম্প্রতি পর্যটন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাগরে মৎস্য আহরণ ও পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত যাতায়াতের কারণে দ্বীপটির পরিবেশগত ঝুঁকি বেড়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, দ্বীপে প্লাস্টিক দূষণ, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মিঠা পানির সংকট, কচ্ছপের আবাসস্থল ধ্বংস এবং সাদা মাছির উপদ্রব দেখা দিয়েছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, প্রবালের দ্বীপটির ৪১ ভাগ ইতোমধ্যেই ধ্বংস হয়েছে, যা আগামী কয়েক দশকের মধ্যে দ্বীপটির সম্পূর্ণ বিলুপ্তির দিকে ইঙ্গিত করছে।
সেন্ট মার্টিনকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণার পর, পর্যটন নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। আগামী নভেম্বরে দ্বীপে প্রতিদিন ৯০০ পর্যটকের সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি রাতে থাকার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে পর্যটকদের যাতায়াত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, সেন্ট মার্টিন রক্ষা করতে আমরা পর্যটকদের দায়িত্বশীল আচরণ আশা করছি। এটি বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। তবে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সেন্ট মার্টিনে পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়ন জোট মাঠে নেমেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা অনেকের সেন্ট মার্টিনে অবৈধ আবাসিক হোটেল রয়েছে, যা পরিবেশগত সংকট সৃষ্টি করছে।
বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট ও গুজব থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে সরকার দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দ্বীপটি লিজ দেওয়ার অপপ্রচার। সুশান্ত দাস গুপ্ত নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে দাবি করা হয়, সেন্ট মার্টিন গন? এ ধরনের গুজব প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সেন্ট মার্টিনকে কোনো দেশের কাছে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই। এই গুজব ছড়ানো বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান আলোচনার সঙ্গে সেন্ট মার্টিনের কোনো সম্পর্ক নেই।
এছাড়াও, সেন্ট মার্টিনের পরিবেশগত বিপর্যয় ঠেকাতে সম্প্রতি পর্যটন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাগরে মৎস্য আহরণ ও পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত যাতায়াতের কারণে দ্বীপটির পরিবেশগত ঝুঁকি বেড়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, দ্বীপে প্লাস্টিক দূষণ, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মিঠা পানির সংকট, কচ্ছপের আবাসস্থল ধ্বংস এবং সাদা মাছির উপদ্রব দেখা দিয়েছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, প্রবালের দ্বীপটির ৪১ ভাগ ইতোমধ্যেই ধ্বংস হয়েছে, যা আগামী কয়েক দশকের মধ্যে দ্বীপটির সম্পূর্ণ বিলুপ্তির দিকে ইঙ্গিত করছে।
সেন্ট মার্টিনকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণার পর, পর্যটন নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। আগামী নভেম্বরে দ্বীপে প্রতিদিন ৯০০ পর্যটকের সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি রাতে থাকার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে পর্যটকদের যাতায়াত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, সেন্ট মার্টিন রক্ষা করতে আমরা পর্যটকদের দায়িত্বশীল আচরণ আশা করছি। এটি বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। তবে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সেন্ট মার্টিনে পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়ন জোট মাঠে নেমেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা অনেকের সেন্ট মার্টিনে অবৈধ আবাসিক হোটেল রয়েছে, যা পরিবেশগত সংকট সৃষ্টি করছে।
বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট ও গুজব থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে সরকার দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে।