সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে সাধারণ নাগরিকদের মতামত ও প্রস্তাব গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী মঙ্গলবার থেকে এই ওয়েবসাইট কার্যকর হবে।
তিনি জানান, সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে না কমিশন। তবে লিখিত মতামত ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানানো হবে। আলী রীয়াজ ব্যাখ্যা করেন, “সরকার বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে, তাই কমিশন সরাসরি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবে না। তবে তাদের প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হবে।”
বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, সিভিল সোসাইটি, পেশাজীবী সংগঠন, তরুণ চিন্তাবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের মতামত সংগ্রহ করবে কমিশন। এছাড়া, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। আগামী সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার আশা প্রকাশ করেন কমিশনের প্রধান।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের পরামর্শ গ্রহণ করবে না কমিশন। আলী রীয়াজ জানান, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের সময় যারা হত্যাকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল এবং ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম সমর্থন করেছে, তাদের থেকে কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না।”
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নেয়, যার মধ্যে অন্যতম সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশনকে ‘জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত’ করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
সংবিধান সংস্কারের ব্যাপ্তি সম্পর্কে আলী রীয়াজ জানান, বর্তমান সংবিধান পর্যালোচনার পাশাপাশি জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সংবিধানের সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন, পুনর্বিন্যাস এবং পুনর্লিখনের নির্দেশনা রয়েছে।
সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন এই সরকার করবে কি না, এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, “এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তবে এই সরকারই এই সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।”
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, শরীফ ভূঁইয়া, আইনজীবী ইমরান সিদ্দিক, এম মঈন আলম ফিরোজী এবং মো. মুসতাইন বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে সাধারণ নাগরিকদের মতামত ও প্রস্তাব গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী মঙ্গলবার থেকে এই ওয়েবসাইট কার্যকর হবে।
তিনি জানান, সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে না কমিশন। তবে লিখিত মতামত ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানানো হবে। আলী রীয়াজ ব্যাখ্যা করেন, “সরকার বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে, তাই কমিশন সরাসরি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবে না। তবে তাদের প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হবে।”
বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, সিভিল সোসাইটি, পেশাজীবী সংগঠন, তরুণ চিন্তাবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের মতামত সংগ্রহ করবে কমিশন। এছাড়া, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। আগামী সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার আশা প্রকাশ করেন কমিশনের প্রধান।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের পরামর্শ গ্রহণ করবে না কমিশন। আলী রীয়াজ জানান, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের সময় যারা হত্যাকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল এবং ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম সমর্থন করেছে, তাদের থেকে কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না।”
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নেয়, যার মধ্যে অন্যতম সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশনকে ‘জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত’ করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
সংবিধান সংস্কারের ব্যাপ্তি সম্পর্কে আলী রীয়াজ জানান, বর্তমান সংবিধান পর্যালোচনার পাশাপাশি জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সংবিধানের সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন, পুনর্বিন্যাস এবং পুনর্লিখনের নির্দেশনা রয়েছে।
সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন এই সরকার করবে কি না, এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, “এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তবে এই সরকারই এই সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।”
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, শরীফ ভূঁইয়া, আইনজীবী ইমরান সিদ্দিক, এম মঈন আলম ফিরোজী এবং মো. মুসতাইন বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।