নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামোকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য দ্রুত সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে ইইউতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বৈধতা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ খাত চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং ইইউর পক্ষে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি নেতৃত্ব দেন। ইইউ প্রতিনিধি দল মানবাধিকার, সুশাসন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া, গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে ইইউ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংশোধনসহ কয়েকটি বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতির আভাসও পেয়েছে।
বৈঠকে গত জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে আলোচনা হয় এবং আগের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর বিচার নিশ্চিতের বিষয়ে একমত হয় দুই পক্ষ। আইসিটি আইনের দ্রুত সংশোধনও এজেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।
সভার আলোচনায় নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং তাদের মানবাধিকার সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। ইইউ জানায়, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীসহ সকল নাগরিকের সহিংসতা, হয়রানি এবং বৈষম্য থেকে মুক্ত জীবন নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় দেশগুলোতে বৈধ পথে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, ২০২৬ সালের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়, যার জন্য শ্রম অধিকার, পরিবেশ ও সুশাসনের মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বাংলাদেশকে।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ প্রস্তুতের জন্য দুই পক্ষ একমত হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামোকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য দ্রুত সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে ইইউতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বৈধতা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ খাত চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং ইইউর পক্ষে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি নেতৃত্ব দেন। ইইউ প্রতিনিধি দল মানবাধিকার, সুশাসন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া, গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে ইইউ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংশোধনসহ কয়েকটি বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতির আভাসও পেয়েছে।
বৈঠকে গত জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে আলোচনা হয় এবং আগের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর বিচার নিশ্চিতের বিষয়ে একমত হয় দুই পক্ষ। আইসিটি আইনের দ্রুত সংশোধনও এজেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।
সভার আলোচনায় নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং তাদের মানবাধিকার সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। ইইউ জানায়, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীসহ সকল নাগরিকের সহিংসতা, হয়রানি এবং বৈষম্য থেকে মুক্ত জীবন নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় দেশগুলোতে বৈধ পথে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, ২০২৬ সালের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়, যার জন্য শ্রম অধিকার, পরিবেশ ও সুশাসনের মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বাংলাদেশকে।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ প্রস্তুতের জন্য দুই পক্ষ একমত হয়েছে।