ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুমের ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত কমিশনকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তদন্ত কমিশনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গুম সংক্রান্ত এই কমিশনের সদস্যরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের কাছে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেবেন। প্রয়োজন হলে কমিশনের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর এবং ভুক্তভোগীদের সুরক্ষার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান।
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনে প্রায় ১,৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে এবং ইতিমধ্যে ৪০০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের একজন সদস্য বলেন, “গুমের প্রকৃত ঘটনা রিপোর্টকৃত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি হতে পারে।”
বৈঠকে বলা হয়, অনেক ভুক্তভোগী বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন এবং কিছু নিখোঁজ ব্যক্তি প্রতিবেশী ভারতের কারাগারেও আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কমিশনের সদস্যরা গোপন স্থানের প্রমাণ সংরক্ষণ এবং অভিযুক্তদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে সরকারের সহায়তা চান।
বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম গুমের ঘটনাগুলোর অনুসন্ধান জনসমক্ষে প্রকাশের ওপর জোর দেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সালেহউদ্দিন আহমেদ, নূরজাহান বেগম, আদিলুর রহমান খান, এম সাখাওয়াত হোসেন ও নাহিদ ইসলাম।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুমের ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত কমিশনকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তদন্ত কমিশনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গুম সংক্রান্ত এই কমিশনের সদস্যরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের কাছে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেবেন। প্রয়োজন হলে কমিশনের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর এবং ভুক্তভোগীদের সুরক্ষার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান।
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনে প্রায় ১,৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে এবং ইতিমধ্যে ৪০০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের একজন সদস্য বলেন, “গুমের প্রকৃত ঘটনা রিপোর্টকৃত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি হতে পারে।”
বৈঠকে বলা হয়, অনেক ভুক্তভোগী বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন এবং কিছু নিখোঁজ ব্যক্তি প্রতিবেশী ভারতের কারাগারেও আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কমিশনের সদস্যরা গোপন স্থানের প্রমাণ সংরক্ষণ এবং অভিযুক্তদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে সরকারের সহায়তা চান।
বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম গুমের ঘটনাগুলোর অনুসন্ধান জনসমক্ষে প্রকাশের ওপর জোর দেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সালেহউদ্দিন আহমেদ, নূরজাহান বেগম, আদিলুর রহমান খান, এম সাখাওয়াত হোসেন ও নাহিদ ইসলাম।