আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বিজিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক খুদেবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।’
চট্টগ্রামে বিজিবি মোতায়েনের বিষয়ে পাঠানো এক খুদে বার্তা বলা হয়, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের খবরে ২৫ নভেম্বর সোমবার রাতে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাদের ‘মারধর’ করে শাহবাগ থেকে সরিয়ে দেয়ার খবরে চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে আরেকটি দল মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া বিক্ষোভ হয়েছে চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতেও।
মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালতে প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে জনসভার পর ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়, সেখানে চিন্ময়কেও আসামি করা হয়। মামলার এক মাসের মাথায় সোমবার বিকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৮ দফা দাবিতে সনাতনি সম্প্রদায়ের মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রক্ষচারী।
এদিকে গত রোববার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ ৩৫টি বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এঘটনায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। দুপুরে এ ঘটনার পর সোহরাওয়ার্দী কলেজে চলমান অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ জোনের উপ কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। পূর্বঘোষিত সেই ‘সুপার সানডে’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ প্রায় ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা এদিন দুপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে অবস্থান নেয়।
এছাড়া আগের দিনের হামলা, সংঘর্ষের জেরে সোমবার পুরাণ ঢাকার দুই কলেজের ‘শিক্ষাথীরা’ যাত্রাবাড়ীর মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। গত রোববার ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার প্রতিশোধ নিতে মোল্লা কলেজে অন্য দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়।
বিকেল ৫টার দিকে ডিএমআরসি অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য কলেজের ছাত্র, বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে কলেজ ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, এ হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে বলা হয়, ‘হামলাকারীদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী নয় বরং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গ।’ সোমবারের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বিজিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক খুদেবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।’
চট্টগ্রামে বিজিবি মোতায়েনের বিষয়ে পাঠানো এক খুদে বার্তা বলা হয়, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের খবরে ২৫ নভেম্বর সোমবার রাতে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাদের ‘মারধর’ করে শাহবাগ থেকে সরিয়ে দেয়ার খবরে চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে আরেকটি দল মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া বিক্ষোভ হয়েছে চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতেও।
মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালতে প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে জনসভার পর ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়, সেখানে চিন্ময়কেও আসামি করা হয়। মামলার এক মাসের মাথায় সোমবার বিকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৮ দফা দাবিতে সনাতনি সম্প্রদায়ের মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রক্ষচারী।
এদিকে গত রোববার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ ৩৫টি বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এঘটনায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। দুপুরে এ ঘটনার পর সোহরাওয়ার্দী কলেজে চলমান অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ জোনের উপ কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। পূর্বঘোষিত সেই ‘সুপার সানডে’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ প্রায় ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা এদিন দুপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে অবস্থান নেয়।
এছাড়া আগের দিনের হামলা, সংঘর্ষের জেরে সোমবার পুরাণ ঢাকার দুই কলেজের ‘শিক্ষাথীরা’ যাত্রাবাড়ীর মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। গত রোববার ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার প্রতিশোধ নিতে মোল্লা কলেজে অন্য দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়।
বিকেল ৫টার দিকে ডিএমআরসি অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য কলেজের ছাত্র, বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে কলেজ ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, এ হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে বলা হয়, ‘হামলাকারীদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী নয় বরং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গ।’ সোমবারের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।