পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ভারতের সঙ্গে চলমান সম্পর্কের অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ভারত যদি আমাদের সবাইকে একসঙ্গে নিতে পারতো তাহলে ভারতের সুবিধা হতো, আমাদের সুবিধা হতো। কিন্তু সেটা দুঃখজনকভাবে হচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান খুবই ভালো। কিন্তু গত দুই-তিন মাসে যে ব্যবসায়িক মন্দা যাচ্ছে সেটা কি শুধু বাংলাদেশকে ইফেক্ট করছে?
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপ্টার আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশকে ইফেক্ট করছে না, ভারতকেও ইফেক্ট করছে। পরিমাণটা অত কিন্তু বেশি না, তবে ইফেক্ট কিন্তু পড়ছে। কলকাতার অর্থনীতি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করি এই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারব। অচলবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো যোগাযোগ স্থাপন। আগামীকাল ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসছেন আমাদের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে। এটা স্ট্যান্ডিং মেকানিজম, অস্বাভাবিক কিছু না। প্রতিবছর আমাদের একজন যান ওপাশে, পরের বছর ওপাশ থেকে একজন আসেন। এটাকে কনসাল্টেশন বলা হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আমি আশা করব তারা একটা ফলপ্রসূ আলোচনা করবেন।
তিনি বলেন, আমি এর আগে বলেছি, যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে স্বীকার করতে হবে যে সমস্যা আছে। আমাদের এটিও স্বীকার করতে হবে যে পাঁচ আগস্টের আগে এবং পরে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের একটি গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে। সে হিসেবে আমি প্রস্তাব করেছিলাম আমাদের যে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কনসালটেশন আছে সেটি শুরু করব।
আঞ্চলিক দারিদ্র্য দূর করতে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি পরস্পরকে সহযোগিতা করি তাহলে এই অঞ্চলের দারিদ্র্য দূর করা যাবে। দারিদ্র্য থেকে সবাইকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। আমরা কিছুটা সাফল্য অর্জন করিনি তা কিন্তু না। আরো কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হবে। সেজন্য সবার সহযোগিতা লাগবে। সার্ককে আমাদের কর্মক্ষমতা পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, গত দু-তিন মাস ধরে যে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক মন্দা যাচ্ছে, তা ভারত ও বাংলাদেশ উভয়কেই প্রভাবিত করছে। ৫ আগস্টের আগে এবং পরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে।
সার্কের কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পজিটিভ জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সঠিক পদক্ষেপ নিলে আমাদের এ অঞ্চলের দারিদ্র্য কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে সার্কের কার্যক্রম শুরু করা দরকার। প্রতি বছর সামিট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১০ বছরেও তা হয়নি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবেকে উদ্বৃত করে বলেন, সার্ক এখন মৃত, তবে তাকে কবর দেওয়া যেন না হয়। আমিও তার সঙ্গে একমত। এ অঞ্চলের মানুষের জন্যই সার্ককে এগিয়ে নিতে হবে।
ফোরামের প্রেসিডেন্ট নাসির আল মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা কামাল মজুমদার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল আওয়াল মিন্টু, ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া প্রমুখ।
রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ভারতের সঙ্গে চলমান সম্পর্কের অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ভারত যদি আমাদের সবাইকে একসঙ্গে নিতে পারতো তাহলে ভারতের সুবিধা হতো, আমাদের সুবিধা হতো। কিন্তু সেটা দুঃখজনকভাবে হচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান খুবই ভালো। কিন্তু গত দুই-তিন মাসে যে ব্যবসায়িক মন্দা যাচ্ছে সেটা কি শুধু বাংলাদেশকে ইফেক্ট করছে?
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপ্টার আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশকে ইফেক্ট করছে না, ভারতকেও ইফেক্ট করছে। পরিমাণটা অত কিন্তু বেশি না, তবে ইফেক্ট কিন্তু পড়ছে। কলকাতার অর্থনীতি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করি এই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারব। অচলবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো যোগাযোগ স্থাপন। আগামীকাল ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসছেন আমাদের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে। এটা স্ট্যান্ডিং মেকানিজম, অস্বাভাবিক কিছু না। প্রতিবছর আমাদের একজন যান ওপাশে, পরের বছর ওপাশ থেকে একজন আসেন। এটাকে কনসাল্টেশন বলা হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আমি আশা করব তারা একটা ফলপ্রসূ আলোচনা করবেন।
তিনি বলেন, আমি এর আগে বলেছি, যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে স্বীকার করতে হবে যে সমস্যা আছে। আমাদের এটিও স্বীকার করতে হবে যে পাঁচ আগস্টের আগে এবং পরে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের একটি গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে। সে হিসেবে আমি প্রস্তাব করেছিলাম আমাদের যে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কনসালটেশন আছে সেটি শুরু করব।
আঞ্চলিক দারিদ্র্য দূর করতে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি পরস্পরকে সহযোগিতা করি তাহলে এই অঞ্চলের দারিদ্র্য দূর করা যাবে। দারিদ্র্য থেকে সবাইকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। আমরা কিছুটা সাফল্য অর্জন করিনি তা কিন্তু না। আরো কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হবে। সেজন্য সবার সহযোগিতা লাগবে। সার্ককে আমাদের কর্মক্ষমতা পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, গত দু-তিন মাস ধরে যে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক মন্দা যাচ্ছে, তা ভারত ও বাংলাদেশ উভয়কেই প্রভাবিত করছে। ৫ আগস্টের আগে এবং পরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে।
সার্কের কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পজিটিভ জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সঠিক পদক্ষেপ নিলে আমাদের এ অঞ্চলের দারিদ্র্য কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে সার্কের কার্যক্রম শুরু করা দরকার। প্রতি বছর সামিট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১০ বছরেও তা হয়নি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবেকে উদ্বৃত করে বলেন, সার্ক এখন মৃত, তবে তাকে কবর দেওয়া যেন না হয়। আমিও তার সঙ্গে একমত। এ অঞ্চলের মানুষের জন্যই সার্ককে এগিয়ে নিতে হবে।
ফোরামের প্রেসিডেন্ট নাসির আল মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা কামাল মজুমদার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল আওয়াল মিন্টু, ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া প্রমুখ।