ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসই দেবেন বলে আবারও জানালো তার প্রেস উইং। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে ৭ ডিসেম্বর শনিবার এক উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রোববার (৮ ডিসেম্বর) ব্রিফিং করে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হলো।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে মন্তব্য করার পর প্রেস উইং একই কথা জানিয়েছিল।
রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে করা ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে একটি ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এটি তার ব্যক্তিগত মতামত। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নির্বাচন বিষয়ক কোনো ঘোষণা আসেনি। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই নির্বাচন বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’
এর আগে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে’ এ বিষয়ে নিজ নিজ মতামত জানিয়েছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসই আগামী জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন, এ কথা গত ২৪ নভেম্বর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। সেদিন সন্ধ্যায় তিনি বলেছিলেন, আগামী নির্বাচন কবে হবে, তা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হবে। এ নিয়ে বাকিরা যারা কথা বলছেন, সেগুলো তাদের ব্যক্তিগত মতামত।
জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা কবে আসতে পারে, রোববার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যখন ঘোষণা আসবে তখন সবার আগে আপনারা জানতে পারবেন।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রোববার সাক্ষাৎ করেন মেটার পরিচালক (মানবাধিকার নীতি) মিরান্ডা সিসন্স। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেসব অপপ্রচার চলছে সেগুলো মেটা (ফেইসবুক) থেকে সরাতে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব। প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী কাউকে ফেরাতে হলে বিচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বিচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের সঙ্গে কথা বলবে সরকার।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা চাই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো হোক। তবে ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে হোক। ভারতীয় গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের আমন্ত্রণ আপনারা দেশে (বাংলাদেশ) এসে প্রতিবেদন করেন। অনেকে মিথ্যাই প্রচার করতে চায়, এতে তাদের লাভ।’
ফেইসবুকে অপপ্রচার প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে মেটার পর্যবেক্ষক আছে। তারা দেখছে কোত্থেকে অপতথ্য ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে যেকোনো অপতথ্য আমরা মেটার নজরে আনব।’
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসই দেবেন বলে আবারও জানালো তার প্রেস উইং। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে ৭ ডিসেম্বর শনিবার এক উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রোববার (৮ ডিসেম্বর) ব্রিফিং করে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হলো।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে মন্তব্য করার পর প্রেস উইং একই কথা জানিয়েছিল।
রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে করা ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে একটি ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এটি তার ব্যক্তিগত মতামত। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নির্বাচন বিষয়ক কোনো ঘোষণা আসেনি। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই নির্বাচন বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’
এর আগে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে’ এ বিষয়ে নিজ নিজ মতামত জানিয়েছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসই আগামী জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন, এ কথা গত ২৪ নভেম্বর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। সেদিন সন্ধ্যায় তিনি বলেছিলেন, আগামী নির্বাচন কবে হবে, তা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হবে। এ নিয়ে বাকিরা যারা কথা বলছেন, সেগুলো তাদের ব্যক্তিগত মতামত।
জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা কবে আসতে পারে, রোববার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যখন ঘোষণা আসবে তখন সবার আগে আপনারা জানতে পারবেন।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রোববার সাক্ষাৎ করেন মেটার পরিচালক (মানবাধিকার নীতি) মিরান্ডা সিসন্স। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেসব অপপ্রচার চলছে সেগুলো মেটা (ফেইসবুক) থেকে সরাতে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব। প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী কাউকে ফেরাতে হলে বিচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বিচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের সঙ্গে কথা বলবে সরকার।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা চাই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো হোক। তবে ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে হোক। ভারতীয় গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের আমন্ত্রণ আপনারা দেশে (বাংলাদেশ) এসে প্রতিবেদন করেন। অনেকে মিথ্যাই প্রচার করতে চায়, এতে তাদের লাভ।’
ফেইসবুকে অপপ্রচার প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে মেটার পর্যবেক্ষক আছে। তারা দেখছে কোত্থেকে অপতথ্য ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে যেকোনো অপতথ্য আমরা মেটার নজরে আনব।’
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।