ভারতের সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ৫৪ নাগরিক। একই সাথে তাঁরা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে অপপ্রচার চালানো গণমাধ্যমগুলোকে ‘ভারতের উগ্র ডানপন্থী শাসক দল বিজেপির স্বার্থ রক্ষাকারী’ বলে উল্লেখ করেন এই নাগরিকেরা।
বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তারা বলছেন, জাতি-গোষ্ঠি, ধর্ম ও সামাজিক-রাজনৈতিক বৈচিত্র্যে বাংলাদেশের শক্তি এবং আমরা সবাই মিলে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে রক্ষা করব।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, মুজিববাদী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং ভারতের সহযোগিতায় দেশে যে স্বৈরশাসন ও লুটপাট চলে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার কবল থেকে নিজেদের মুক্ত করেছে বাংলাদেশের মানুষ।
ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে তাদের ‘গদি মিডিয়ায়’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কল্পিত ক্র্যাকডাউনের গল্প প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে চলেছে ‘গদি মিডিয়া’। সম্প্রতি নানা সময়ে দেখা গেছে এইসব কথিত খবর হয় মিথ্যা, নয়তো বিভ্রান্তিমূলক। প্রায় দুই দশক ধরে চলা স্বৈরশাসনকে পরাজিত করার পর এখন জাতি হিসেবে আমরা চেষ্টা করছি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং জাতীয় পুনর্গঠনের পথে যাত্রা শুরু করতে। এই সময় আমাদের অবশ্যই ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং আমাদের দেশের লোকেদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘গদি মিডিয়া’র অপপ্রচার রুখে দিতে হবে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের উৎপাদনে শীর্ষ একটি দেশ হচ্ছে ভারত এবং তাদের দানবীয় প্রপাগান্ডা-যন্ত্র এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘গদি মিডিয়ার’ এই আক্রমণের কারণে জাতি হিসেবে আমরা এখন ভারতের আধিপত্যের বাইরে এসে আমাদের স্বাধীন পথে যাত্রা শুরু করেছি আবার।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন শহিদুল আলম, মোস্তফা নাজমুল মানসুর, লতিফুল ইসলাম, সুমন রহমান, জিয়া হাসান, মারুফ মল্লিক, বখতিয়ার আহমেদ, কাজল শাহনেওয়াজ, হাসান আশরাফ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, সায়েমা খাতুন, স্বাধীন সেন, সাইমুম পারভেজ, পাভেল পার্থ, বীথি ঘোষ, মাহবুব সুমন, ওমর তারেক চৌধুরী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, আ–আল মামুন, সুস্মিতা চক্রবর্তী, মোশরেকা অদিতি হক, আর রাজি, মাহাবুব রাহমান, তুহিন খান, মিছিল খন্দকার, ইসমাইল হোসেন, নাহিদ হাসান, গাজী তানজিয়া, কাজী জেসিন, মৃদুল মাহবুব, ফেরদৌস আরা রুমী, মো. হাবিব জাকারিয়া, শাহতাব সিদ্দিক অনিক, ইমরুল হাসান, শাহনাজ মুন্নী, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মিশায়েল আজিজ, সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান, পারভেজ আলম, আরিফ রহমান, মোহাম্মদ রোমেল, কামরুল আহসান, জিয়া হাশান, আলতাফ শাহনেওয়াজ, শরত চৌধুরী, বায়েজিদ বোস্তামী, পার্থিব রাশেদ, দীপক কুমার গোস্বামী, জি এইচ হাবিব, আবুল কালাম আল আজাদ, আলমগীর স্বপন, সারোয়ার তুষার ও এহসান মাহমুদ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ৫৪ নাগরিক। একই সাথে তাঁরা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে অপপ্রচার চালানো গণমাধ্যমগুলোকে ‘ভারতের উগ্র ডানপন্থী শাসক দল বিজেপির স্বার্থ রক্ষাকারী’ বলে উল্লেখ করেন এই নাগরিকেরা।
বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তারা বলছেন, জাতি-গোষ্ঠি, ধর্ম ও সামাজিক-রাজনৈতিক বৈচিত্র্যে বাংলাদেশের শক্তি এবং আমরা সবাই মিলে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে রক্ষা করব।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, মুজিববাদী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং ভারতের সহযোগিতায় দেশে যে স্বৈরশাসন ও লুটপাট চলে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার কবল থেকে নিজেদের মুক্ত করেছে বাংলাদেশের মানুষ।
ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে তাদের ‘গদি মিডিয়ায়’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কল্পিত ক্র্যাকডাউনের গল্প প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে চলেছে ‘গদি মিডিয়া’। সম্প্রতি নানা সময়ে দেখা গেছে এইসব কথিত খবর হয় মিথ্যা, নয়তো বিভ্রান্তিমূলক। প্রায় দুই দশক ধরে চলা স্বৈরশাসনকে পরাজিত করার পর এখন জাতি হিসেবে আমরা চেষ্টা করছি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং জাতীয় পুনর্গঠনের পথে যাত্রা শুরু করতে। এই সময় আমাদের অবশ্যই ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং আমাদের দেশের লোকেদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘গদি মিডিয়া’র অপপ্রচার রুখে দিতে হবে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের উৎপাদনে শীর্ষ একটি দেশ হচ্ছে ভারত এবং তাদের দানবীয় প্রপাগান্ডা-যন্ত্র এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘গদি মিডিয়ার’ এই আক্রমণের কারণে জাতি হিসেবে আমরা এখন ভারতের আধিপত্যের বাইরে এসে আমাদের স্বাধীন পথে যাত্রা শুরু করেছি আবার।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন শহিদুল আলম, মোস্তফা নাজমুল মানসুর, লতিফুল ইসলাম, সুমন রহমান, জিয়া হাসান, মারুফ মল্লিক, বখতিয়ার আহমেদ, কাজল শাহনেওয়াজ, হাসান আশরাফ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, সায়েমা খাতুন, স্বাধীন সেন, সাইমুম পারভেজ, পাভেল পার্থ, বীথি ঘোষ, মাহবুব সুমন, ওমর তারেক চৌধুরী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, আ–আল মামুন, সুস্মিতা চক্রবর্তী, মোশরেকা অদিতি হক, আর রাজি, মাহাবুব রাহমান, তুহিন খান, মিছিল খন্দকার, ইসমাইল হোসেন, নাহিদ হাসান, গাজী তানজিয়া, কাজী জেসিন, মৃদুল মাহবুব, ফেরদৌস আরা রুমী, মো. হাবিব জাকারিয়া, শাহতাব সিদ্দিক অনিক, ইমরুল হাসান, শাহনাজ মুন্নী, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মিশায়েল আজিজ, সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান, পারভেজ আলম, আরিফ রহমান, মোহাম্মদ রোমেল, কামরুল আহসান, জিয়া হাশান, আলতাফ শাহনেওয়াজ, শরত চৌধুরী, বায়েজিদ বোস্তামী, পার্থিব রাশেদ, দীপক কুমার গোস্বামী, জি এইচ হাবিব, আবুল কালাম আল আজাদ, আলমগীর স্বপন, সারোয়ার তুষার ও এহসান মাহমুদ।