alt

আয়নাঘরের অস্তিত্ব স্বীকার, ক্ষমা চাইলেন র‌্যাবের ডিজি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

বৃহস্পতিবার রাজধানী কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাব ডিজির প্রেস ব্রিফিং-সংবাদ

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুল হক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলসহ বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দপ্তরে গোপন নির্যাতন কেন্দ্র ও গুম খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে গুম ও খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিশনের নির্দেশে আয়নাঘর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সেসব গোপন নির্যাতন কেন্দ্র অপরিবর্তিত অবস্থায় এখনও রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারস্থ র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বাহিনীর বিরুদ্ধে থাকা নানা অভিযোগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন, বর্তমান ডিজি। র‌্যাবের বিরুদ্ধে আনিত গুম, খুনের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিচারের প্রত্যাশা জানিয়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন র‌্যাব প্রধান। অবশ্য এর আগে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।

ডিজি র‌্যাব বলেছেন, গুম, খুন ও আয়নাঘর নিয়ে যত ধরনের অভিযোগ আছে কমিশন তা তদন্ত করছে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। তদন্তের রিপোর্টের পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

র‌্যাবের আয়নাঘর, ছিল কিনা জানতে চাইলে ডিজি বলেন, র‌্যাবের যে আয়নাঘরের বিষয়টা এসেছে। এটা ছিল এখনও আছে। তদন্ত কমিশন র‌্যাবকে নির্দেশ দিয়েছে, যে আয়নাঘর যে অবস্থায় আছে। ওই অবস্থায়ই (আলামত হিসেবে) রাখার জন্য। কোথাও এখন কোনোরকম পরিবর্তন, পরিবর্ধন যেন না করা হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা ঠিক ওইভাবে রেখেছি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী দলের বহু নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার অভিযোগ ওঠে। সেইসব বন্দীশালাকে গোপন টর্চার সেল কিংবা আয়নাঘর নাম দেয়া হয়েছে।

তুলে নিয়ে সেইসব মানুষের মধ্যে কেউ কেউ বহুদিন পর পরিবারের কাছে ফিরে গিয়ে তাদের নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেছেন। আবার অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের এখনও খবর মিলেনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে গত আগস্ট মাসে অবসর প্রাপ্ত একজন বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন হয়।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের দিন পর্যন্ত সময়ে কমিশনে যত অভিযোগ পড়েছে, তার বেশিরভাগই র‌্যাবের বিরুদ্ধে।

র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে জানিয়েছে, ২০০৪ সালে র‌্যাব সৃষ্টির পর থেকে র‌্যাব অস্ত্র উদ্ধার, মাদক বিরোধী কার্যক্রম, শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, জঙ্গি দমনসহ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করেছে।

সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার উপর হামলা, হত্যা, হত্যার নির্দেশদাতা ও নাশকতার ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

র‌্যাবের টিম আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ৪ জন সাবেক মন্ত্রী, ১৭ জন সাবেক এমপি, সাবেক মেয়র ও চেয়ারম্যানসহ ৪০ জন, কাউন্সিলার মেম্বার ১৬ জন, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ১৮৩ জন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে ৩০, সরাসরি গুলিবর্ষণকারীসহ সর্বমোট ৩৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় লুট হওয়া অস্ত্র, গুলি উদ্ধার করেছে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-ের অভিযোগ এনে র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও ২০০৪ সালে এই বাহিনী প্রতিষ্ঠার পর পহেলা বৈশাখে রমনা বটমুলে নিরাপত্তা দেয়া, জুনে প্রথম অপারেশনে বন্দুকযুদ্ধে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার র‌্যাবের ডিজি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভবিষ্যতে নিষ্ঠার সঙ্গে তার বাহিনী দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতি জানিয়ে, আজ পর্যন্ত যে সমস্ত মানুষ র‌্যাব দ্বারা নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হয়েছে। যেমন, নারায়নগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থী।

২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র‌্যাবের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও সাড়া মিলেনি।

র‌্যাবের ডিজি র‌্যাব বিলুপ্তির বিষয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। সরকার যে সিদ্বান্ত নিবেন সেটাই পালন করব। আর র‌্যাবের পোশাক পরিবর্তন নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা চলছে। র‌্যাবের নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। পুলিশ ব্যাটালিয়ন আইন সংশোধন করে র‌্যাব গঠন করা হয়েছে।

হেলিকপ্তারে করে গুলি চালানো সম্পর্কে ডিজি বলেন, এনিয়ে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অনুসন্ধান করছে। আশাকরি প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

ভিডিও দেখে দুই হাতে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি চালানো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ি থেকে লিটন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এনিয়ে এই পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই: উপদেষ্টা

ছবি

মরমী সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭ হাজার ছাড়াল, চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ১৪৭

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিআইজি ও মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম কারাগারে

ছবি

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশে নতুন নিয়ম

ছবি

লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজের গাড়িতে ছুঁড়ে মারা হলে ডিম

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ছবি

কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি সেবা চালু

ছবি

পল্লী বিদ্যুতের ‘গণছুটি’ কর্মসূচি স্থগিত, কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান

ছবি

ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন, এটি আমাদের কমিটমেন্ট: প্রেস সচিব

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের

ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ধর্ম উপদেষ্টার

ছবি

বিদিশার গাড়ি চুরি মামলার আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

ছবি

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়লো

ছবি

ঐকমত্য ছাড়াই ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শেষ

ছবি

৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল: চিকিৎসক নিয়োগে সুপারিশ পেলেন ৩,১২০ জন

ছবি

নেপালে মারধর ও লুটের শিকার এক বাংলাদেশি পরিবার

ছবি

ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ, ‘ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে’ কমেছে ভোটকক্ষের সংখ্যা

ছবি

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

হাই কোর্টের আদেশ: পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ স্থগিত

ছবি

কাতারে ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি

জুলাই সনদ: দলগুলোর সঙ্গে ফের বসবে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

১৬ বছরেই মিলবে জাতীয় পরিচয়পত্র: ইসি

ছবি

২০ জনের হাত বা পা কাটতে হয়েছিল, ট্রাইব্যুনালে চিকিৎসকের ভাষ্য

ছবি

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রেস উইংয়ের বয়ান

ছবি

নেপাল পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে ঢাকা, বাংলাদেশীদের বাইরে না বেরুনোর নির্দেশনা

ছবি

‘মঞ্চ ৭১’: এবার গ্রেপ্তার সাবেক সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম

ছবি

দুর্গাপূজা: ৩৩ হাজার পূজা মণ্ডপে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা থাকবে, বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সাংবাদিকরা স্বাবলম্বী না হলে পাপেট হয়ে যায়: তথ্য উপদেষ্টা

ছবি

জুলাই সনদ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক, ‘বিশেষ আদেশে’ বাস্তবায়নে মত

মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার সুযোগ নেই: সেনাবাহিনী

মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার সুযোগ নেই: সেনাবাহিনী

ছবি

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে গুজবের অভিযোগ অস্বীকার সেনাবাহিনীর

ছবি

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

ছবি

বদরুদ্দীন উমরের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

ছবি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: ৫২ আসনের সীমানায় ব্যাপক রদবদল

tab

news » national

আয়নাঘরের অস্তিত্ব স্বীকার, ক্ষমা চাইলেন র‌্যাবের ডিজি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার রাজধানী কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাব ডিজির প্রেস ব্রিফিং-সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুল হক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলসহ বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দপ্তরে গোপন নির্যাতন কেন্দ্র ও গুম খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে গুম ও খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিশনের নির্দেশে আয়নাঘর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সেসব গোপন নির্যাতন কেন্দ্র অপরিবর্তিত অবস্থায় এখনও রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারস্থ র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বাহিনীর বিরুদ্ধে থাকা নানা অভিযোগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন, বর্তমান ডিজি। র‌্যাবের বিরুদ্ধে আনিত গুম, খুনের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিচারের প্রত্যাশা জানিয়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন র‌্যাব প্রধান। অবশ্য এর আগে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।

ডিজি র‌্যাব বলেছেন, গুম, খুন ও আয়নাঘর নিয়ে যত ধরনের অভিযোগ আছে কমিশন তা তদন্ত করছে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। তদন্তের রিপোর্টের পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

র‌্যাবের আয়নাঘর, ছিল কিনা জানতে চাইলে ডিজি বলেন, র‌্যাবের যে আয়নাঘরের বিষয়টা এসেছে। এটা ছিল এখনও আছে। তদন্ত কমিশন র‌্যাবকে নির্দেশ দিয়েছে, যে আয়নাঘর যে অবস্থায় আছে। ওই অবস্থায়ই (আলামত হিসেবে) রাখার জন্য। কোথাও এখন কোনোরকম পরিবর্তন, পরিবর্ধন যেন না করা হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা ঠিক ওইভাবে রেখেছি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী দলের বহু নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার অভিযোগ ওঠে। সেইসব বন্দীশালাকে গোপন টর্চার সেল কিংবা আয়নাঘর নাম দেয়া হয়েছে।

তুলে নিয়ে সেইসব মানুষের মধ্যে কেউ কেউ বহুদিন পর পরিবারের কাছে ফিরে গিয়ে তাদের নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেছেন। আবার অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের এখনও খবর মিলেনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে গত আগস্ট মাসে অবসর প্রাপ্ত একজন বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন হয়।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের দিন পর্যন্ত সময়ে কমিশনে যত অভিযোগ পড়েছে, তার বেশিরভাগই র‌্যাবের বিরুদ্ধে।

র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে জানিয়েছে, ২০০৪ সালে র‌্যাব সৃষ্টির পর থেকে র‌্যাব অস্ত্র উদ্ধার, মাদক বিরোধী কার্যক্রম, শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, জঙ্গি দমনসহ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করেছে।

সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার উপর হামলা, হত্যা, হত্যার নির্দেশদাতা ও নাশকতার ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

র‌্যাবের টিম আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ৪ জন সাবেক মন্ত্রী, ১৭ জন সাবেক এমপি, সাবেক মেয়র ও চেয়ারম্যানসহ ৪০ জন, কাউন্সিলার মেম্বার ১৬ জন, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ১৮৩ জন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে ৩০, সরাসরি গুলিবর্ষণকারীসহ সর্বমোট ৩৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় লুট হওয়া অস্ত্র, গুলি উদ্ধার করেছে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-ের অভিযোগ এনে র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও ২০০৪ সালে এই বাহিনী প্রতিষ্ঠার পর পহেলা বৈশাখে রমনা বটমুলে নিরাপত্তা দেয়া, জুনে প্রথম অপারেশনে বন্দুকযুদ্ধে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার র‌্যাবের ডিজি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভবিষ্যতে নিষ্ঠার সঙ্গে তার বাহিনী দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতি জানিয়ে, আজ পর্যন্ত যে সমস্ত মানুষ র‌্যাব দ্বারা নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হয়েছে। যেমন, নারায়নগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থী।

২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র‌্যাবের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও সাড়া মিলেনি।

র‌্যাবের ডিজি র‌্যাব বিলুপ্তির বিষয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। সরকার যে সিদ্বান্ত নিবেন সেটাই পালন করব। আর র‌্যাবের পোশাক পরিবর্তন নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা চলছে। র‌্যাবের নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। পুলিশ ব্যাটালিয়ন আইন সংশোধন করে র‌্যাব গঠন করা হয়েছে।

হেলিকপ্তারে করে গুলি চালানো সম্পর্কে ডিজি বলেন, এনিয়ে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অনুসন্ধান করছে। আশাকরি প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

ভিডিও দেখে দুই হাতে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি চালানো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ি থেকে লিটন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এনিয়ে এই পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

back to top