শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধীরা পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। আমি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এ ধরনের চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান জানাচ্ছি।”
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও দিবসটি উপলক্ষে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।”
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। খ্যাতনামা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, লেখকসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাহিত্যিক আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজউদ্দীন হোসেনসহ বহু মেধাবীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।”
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, “দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার প্রাক্কালে বুদ্ধিজীবী হত্যার এ ঘটনা ছিল জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বিজয়ের প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বর এই হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা একটি বৈষম্যহীন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।”
সরকারের প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা এক হাজার ২২২ জন। জাতি এই দিনটিতে বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংসতার স্মরণে শ্রদ্ধা জানায় এবং স্বাধীনতাবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধীরা পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। আমি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এ ধরনের চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান জানাচ্ছি।”
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও দিবসটি উপলক্ষে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।”
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। খ্যাতনামা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, লেখকসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাহিত্যিক আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজউদ্দীন হোসেনসহ বহু মেধাবীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।”
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, “দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার প্রাক্কালে বুদ্ধিজীবী হত্যার এ ঘটনা ছিল জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বিজয়ের প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বর এই হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা একটি বৈষম্যহীন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।”
সরকারের প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা এক হাজার ২২২ জন। জাতি এই দিনটিতে বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংসতার স্মরণে শ্রদ্ধা জানায় এবং স্বাধীনতাবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।