alt

জাতীয়

একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির ‘চক্রান্ত’ প্রতিহতের আহ্বান ইউনূসের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরে ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি’র যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ‘নিজ নিজ অবস্থান থেকে’ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আগে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউনূস বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

দিবসটি পালনে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও। সেখানে বৈষম্যহীন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের পক্ষে লড়াই করা বিভিন্ন বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।

শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

প্রায় অর্ধ শতক পর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির অংশ হিসেবে সরকার ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জনের একটি তালিকা করে।

‘মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ’
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।’

মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোয় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে বলেও উল্লেখ করা হয় বাণীতে।।

ইউনূস বলেন, ‘বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে।

‘তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বি, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরও অনেকে।’

‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ’ বলেও বাণীতে তুলে ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

‘জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের শোষণ, বঞ্চনা আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ধীরে ধীরে মুক্তি সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গোটা জাতি মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে চূড়ান্ত বিজয়।’

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি এবং যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রাখেন।’

স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় বলেও লেখা হয় বাণীতে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বস্তুত ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বর এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়।’

দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকা-কে জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে বলে আমি মনে করি।’

‘২০২৪ সালের বিজয় স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিয়েছে’ — নাহিদ ইসলাম

ছবি

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা

ছবি

২০২৫ সালের শেষ দিক জাতীয় নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আজ সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস

ছবি

বিদেশে চিকিৎসায় প্রতি বছর বাংলাদেশ হারাচ্ছে ৫ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর

এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ নিয়ে ‘ভাবছে’ অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব

ছবি

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের বার্তা এলো যেদিন

ছবি

দুর্নীতি দমনে নিয়োজিতদের সম্পত্তির হিসাব উন্মুক্ত হওয়া উচিত: দুদক কমিশনার

ছবি

চাঁদাবাজির সমঝোতা সহজ, রাজনৈতিক সমঝোতা কঠিন: সালেহউদ্দিন আহমেদ

ছবি

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ কেন অবৈধ নয়, জানতে চায় উচ্চ আদালত

ছবি

সচিব থেকে পিওন পর্যন্ত সবাই মহার্ঘ ভাতা পাবেন : সিনিয়র সচিব

ছবি

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি

ছবি

জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তরের সামনে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অবস্থান

ছবি

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আপাতত কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না

ছবি

সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা দেবে সরকার

ছবি

ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বে তৃতীয়

ছবি

ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী নদী গ্রেপ্তার

ছবি

কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করলেন জুডিশিয়াল কাউন্সিল

এবার ৭টি ট্রেনিং সেন্টারের ৩ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্যদের কুচকাওয়াজ স্থগিত

সুনামগঞ্জে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪

ছবি

শ্রদ্ধাভরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ

গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার ‘সম্পৃক্ততা’ পেয়েছে কমিশন, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

নারায়ণগঞ্জে হত্যা চেষ্টার মামলায় আসামি শামীম ওসমান-জিএম কাদের-মুজিবুল চুন্ন

ছবি

আলোচনায় বক্তারা, ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যাচারে ভর করে বলা যায় না, সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়নি

ছবি

গুম: ‘নির্দেশ দাতা’ শেখ হাসিনা, ‘প্রমাণ পেয়েছে’ কমিশন, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

ছবি

‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’- কবি হেলাল হাফিজ চিরনিদ্রায় শায়িত

ছবি

মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

ছবি

মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান: আসিফ নজরুল

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

ছবি

সেন্টমার্টিন নৌ-পথে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ওপারে আবার গুলির শব্দ

ছবি

১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১: রায়েরবাজার বধ্যভূমি, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ

ছবি

১৯৭১ এ পরিকল্পিত তালিকা করে বুদ্ধিজীবী হত্যা: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: রিজওয়ানা হাসান

ছবি

হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের শেষ দিন: ব্যাংক খোলা রাখতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ

tab

জাতীয়

একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির ‘চক্রান্ত’ প্রতিহতের আহ্বান ইউনূসের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরে ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি’র যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ‘নিজ নিজ অবস্থান থেকে’ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আগে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউনূস বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

দিবসটি পালনে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও। সেখানে বৈষম্যহীন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের পক্ষে লড়াই করা বিভিন্ন বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।

শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

প্রায় অর্ধ শতক পর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির অংশ হিসেবে সরকার ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জনের একটি তালিকা করে।

‘মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ’
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।’

মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোয় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে বলেও উল্লেখ করা হয় বাণীতে।।

ইউনূস বলেন, ‘বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে।

‘তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বি, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরও অনেকে।’

‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ’ বলেও বাণীতে তুলে ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

‘জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের শোষণ, বঞ্চনা আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ধীরে ধীরে মুক্তি সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গোটা জাতি মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে চূড়ান্ত বিজয়।’

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি এবং যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রাখেন।’

স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় বলেও লেখা হয় বাণীতে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বস্তুত ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বর এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়।’

দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকা-কে জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে বলে আমি মনে করি।’

back to top